Place Of Mathematics In School Curriculum||বিদ্যালয়ের পাঠক্রমের গনিতে স্থান ও প্রাসঙ্গিকতা
বিদ্যালয়ের পাঠক্রমের গনিতে স্থান ও প্রাসঙ্গিকতা
- গণিত হল মানুষের বিমূর্ত চিন্তন ক্ষমতাকে বাস্তব প্রয়োগ করার বিজ্ঞান।
- দ্বন্দ্বমূলক পরিবেশে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম করে তোলার বিজ্ঞান হল গণিত।
- সংখ্যা,প্রতীক,মাত্রা ভিত্তিক আকার গতি,সময়, বিভিন্ন বিষয়কে রূপ বদ্ধ করার বিজ্ঞান হল গণিত।
- দর্শন চিন্তার প্রতিফলন কে যুক্তির ভিত্তিতে আকার বদ্ধ করা বিকাশ হল গণিত।
- প্রকৃতিতে বিরাজমান বিভিন্ন বস্তু ও ঘটনাবলীকে প্রতীকের দ্বারা বিজ্ঞানসম্মত ভাবে উপস্থাপিত করার বিজ্ঞান হল গণিত।
- গণিত হল অভিজ্ঞতা,অনুমান,যুক্তিতর্ক এবং প্রতীকের মধ্যে যুক্তি গ্ৰাহ্য সমম্বয় সাধনকারী বিজ্ঞান।
- গণিতকে উপভোগ করা এবং তার সামাজিক ও প্রয়োগ সম্পর্কে উপলব্ধি করা,ও তার ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন হওয়া।
- গাণিতিক সমস্যা বিষয়ে আলোচনা করা, কথাবার্তা ও একত্রে কাজ এবং চিন্তা করার মানসিকতা প্রদর্শন করা।
- গণিত সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্থাপন করা এবং গাণিতিক সমস্যা ও ধাঁধার সমাধান করা।
- শুধুমাত্র গণিত শিক্ষার উপযোগিতা ও যান্ত্রিক মূল্য উপলব্ধিই নয়, সেই অবশ্যই গণিতের অন্তর্জাত গুরুত্বকে বিকশিত করা।
- গণিতের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার তত্ত্ব,সূত্র ও উপপাদ্য কে পরীহ্মায় করার ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দহ্মতা অর্জন করে।
- শিক্ষার্থীর মধ্যে সৃজনশীলতা বৃদ্ধি ঘটে।
- গণিত পরীহ্মাগারে বিভিন্ন শিহ্মন - শিখন প্রদীপন ব্যবহারের দহ্মতা অর্জন করে।
- বিভিন্ন গাণিতিক তত্ত্ব ও ধারনার সত্যতা যাচাইয়ের দহ্মতা বিকশিত হয়।
- অভিজ্ঞতা ও অনুশীলনের মাধ্যমে ঘটনাকে বাস্তবিক রূপদান করা।
- বিভিন্ন সমস্যাকে সঠিকভাবে চিহ্নিত করে তার সমাধানের পথ বের করা।
- শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বোধ গড়ে তোলা।
- শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণিতের যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত পদ্ধতির উন্নয়ন সাধিত হয়।
আমাদের দেশে গণিত পাঠক্রমের বিকাশ বেশিরভাগই ঘটেছে বিংশ শতাব্দীর ত্রিশ অথবা চল্লিশের দশকের দিকে। এটা সম্ভব হয়েছে প্রযুক্তির বিকাশের কারণে।প্রযুক্তি এবং শিল্প বিপ্লবের বিকাশ ভারতের শিক্ষাক্ষেত্রে পাঠক্রম বিকাশের দিকটিতেও বড়ো পরিবর্তন এনেছে।এই বিপ্লবের প্রভাব পড়েছে এখনকার সমাজবিজ্ঞান ও আধুনিক প্রযুক্তি উপর যা বিজ্ঞান শিক্ষা এবং গণিত শিক্ষার ক্ষেত্রেও প্রভাবিত করেছে।ফলে এই দুটি শিহ্মা হ্মেত্রে পাঠক্রমে লহ্ম করা যায় গতিশীলতার বৈশিষ্ট্য। স্বাভাবিকভাবেই গণিত শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, গণিতের বিষয়বস্তু দৃষ্টিভঙ্গি এবং পাঠক্রম উন্নয়নের পদ্ধতিতেও পরিবর্তনের প্রয়োজন স্বাভাবিকভাবেই প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠেছে।
ভারতবর্ষের স্বাধীনতা লাভের পর শিহ্মা ব্যবস্থা এর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কমিশন ও কমিটি গণিত শিক্ষার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে সচেষ্ট হয়েছে।গণিত শিক্ষণ এবং গণিত শিখনের মান উন্নয়নের জন্য গণিত শিক্ষার ক্ষেত্রে নীতিগত পরিবর্তন করা হয়েছে।
জাকির হোসেন কমিটি (1937) সুপারিশ করেছেন -," Knowledge of Mathematics is an essential part of any curriculum, Every child is expected to work out the ordinary calculation required in the course of his craft work or his personal and Community concern and activities."
NCERT বিদ্যালয়ে গণিত শিক্ষার বিষয়ে যে নির্দেশিকা তৈরি করেছিল(2006) তাতে বিদ্যালয়ে গণিত শিক্ষার হ্মেত্রে বিশেষ নির্দেশনা করা হয়েছে।সেগুলি হল -
- শিক্ষার্থীকে অবশ্যই বিদ্যালয়ের গণিত বিষয়টিকে উপভোগ করতে শিখতে হবে।সেক্ষেত্রে সেই অনুভব গণিত শিহ্মা কে বিকশিত করতে সম্ভব হবে।
- গতানুগতিক গনিত কৌশল গুলি পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক প্রয়োগ সম্পর্কে বুঝতে হবে, যে কখন ও কিভাবে এই গাণিতিক কৌশলগুলি ব্যবহৃত হবে।
- একটি শিশুর জীবনে অভিজ্ঞতার একটি অংশ হবে গণিত।
- শিক্ষার্থীকে অর্থপূর্ণ গাণিতিক সমস্যাগুলো চিহ্নিতকরণ করতে এবং তা সমাধান করতে হবে।
- শিক্ষার্থীর যৌক্তিক চিন্তাধারাকে গণিত শিক্ষার দ্বারা বিকশিত করতে হবে।
- গণিতের মৌলিক কাঠামো সম্পর্কে শিক্ষার্থীকে অবহিত করা এবং সেই গুলিকে পাটিগণিত, বীজগণিত,জ্যামিতি,ত্রিকোণমিতি মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা।
- গণিত শিক্ষক একটি শ্রেণিকক্ষে প্রত্যেকটি শিশুকে গনিত শিহ্মার সক্রিয় অংশগ্রহণে প্রত্যাশা করে।
কোঠারি কমিশন(1964-66) বিদ্যালয়ে শিক্ষার পাঠক্রমে হ্মেত্রে ব্যাপক রদবদল আনার সুপারিশ করেও তা কার্যকরী রূপ পায় নি।বস্তুত 1974 খ্রিস্টাব্দে পর্যন্ত আমাদের রাজ্যের পশ্চিমবঙ্গের বিজ্ঞান শিক্ষা এবং গণিত শিক্ষার স্থানটি স্পষ্ট ছিল না। মুদালিয়ার কমিশনকে অনুসরণ করে এখনো পর্যন্ত অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সাধারন স্তর হিসেবেই পড়ানো হত এবং নবম থেকে বিজ্ঞান বিভাগ আলাদা ভাবে স্বতন্ত্র একটি বিভাগ হিসেবে পড়ানো হত।স্বাভাবিক কারণেই অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত গণিতকে আবশ্যিকভাবে শিক্ষার্থীদের পড়ানো হলেও নবম শ্রেণী থেকে তা আবশ্যিক ছিল না।দশম শ্রেণীতে 'কোর' গণিত রাখার ব্যবস্থা ছিল।কিন্তু যেহেতু উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় (নবম থেকে একাদশী পর্যন্ত) তাই গণিত পরীক্ষা দেওয়ায় বাধ্যতামূলক ছিল না,তাই বেশীর ভাগ বিদ্যালয়ে এই গণিত শিহ্মাকে খুব একটা গুরুত্ব দেওয়া হত না। সেই সময় বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে যে সমস্ত শিক্ষার্থীরা পড়ত তারা গণিতকে গুরুত্ব দিয়ে পড়ত সে কথা স্বীকার করতেই হয়। এইভাবেই 1973 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত চলে এবং খুবই শীঘ্রই এই অসংগতি দূর করার জন্য শিক্ষা ক্ষেত্রে সচেষ্টতা লহ্ম্য করা যায়।
1974 খ্রিস্টাব্দে কোঠারি কমিশন সপারিশ অনুসারে সারা দেশের সাথে আমাদের রাজ্য ও শিক্ষা কাঠামো পরিবর্তনের সূত্র ধরে দশম শ্রেণী পর্যন্ত সাধারণত শিক্ষার স্তর শুরু হয়।অর্থাৎ 10+2+3+2 শিক্ষা স্তরে কার্যকরী করে তোলার চেষ্টা হয়। 1975 খ্রিস্টাব্দে থেকে বিদ্যালয় শিক্ষার পাঠক্রমে গণিত একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান পায় এবং মাতৃভাষায় শিক্ষা পরেই তাকে স্থান দেওয়া হয়।ফলে দশম শ্রেণী পর্যন্ত সবার ক্ষেত্রেই গণিত শিক্ষা বাধ্যতামূলক ভাবে প্রতিষ্ঠা পায়।
অনেকে আবার এই মত পোষণ করেন যে, গণিত একটি কঠিন বিষয় এবং সকলের পক্ষে বিষয়টিতে পাণ্ডিত্য লাভ করা সম্ভব নয়,একথা সত্যি হলেও এটাও ঠিক যে একটা নির্দিষ্ট স্তর (দশম শ্রেণী) পর্যন্ত শিক্ষা লাভ সবার জন্য প্রয়োজন এবং তা সম্ভবও।উপযুক্ত শিক্ষণ পদ্ধতি অবলম্বন করলে এবং যথাযথ শিহ্মন পদ্ধতি ফোন করলে এবং যথাযথ শিখন পরিবেশ রচনা করতে পারলেও সমস্ত সাধারণ মানের শিক্ষার্থীদের গণিত সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম। তাছাড়া আমাদের ব্যবহারিক জীবনের নানান ক্ষেত্রে গণিতের প্রভাব সুস্পষ্ট।
একথা ঠিক যে,প্রায় এক দশকের বেশি সময় ধরে মুদালিয়ার কমিশনের সুপারিশ করতে শিক্ষা কাঠামোয়, গণিতের গুরুত্ব একটি অংশে শিক্ষার্থীদের নিকট অনুভূত হলেও একটি বড়ো অংশের শিক্ষার্থীদের নিকট তেমন গুরুত্ব পায় নি। মুদালিয়ার কমিশনের সুপারিশের মতো যে বহুমুখী পাঠক্রম প্রবর্তিত হয়, তাতে কেন্দ্রীয় এবং প্রান্তিক দুই প্রকারের পাঠক্রমের কথা উল্লিখিত ছিল কেন্দ্রীয় পাঠক্রমের অন্তর্গত বিষয় হিসেবে গণিত সেখানে আবশ্যিক পাঠ্য ছিল। কিন্তু সেক্ষেত্রেও গণিত শিক্ষার ফল খুব ভালো হয় নি। পরবর্তীকালে কোঠারি কমিশন সুপারিশ কার্যকর হলে কিছুটা আশাপ্রদ হয়।
সাম্প্রতিককালে 2011 খ্রিস্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গে সরকার একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করে। বর্তমানে প্রচলিত প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত বিদ্যালয় স্তরের পাঠ্যক্রম,পাঠ্যসূচি,পাঠ্যপুস্তক গুলির সমীক্ষা এবং পুনর্বিবেচনা করার দায়িত্ব প্রদান করা হয় এই বিশেষজ্ঞ কমিটির হাতে।জাতীয় পাঠক্রমের রূপরেখা 2005 এবং শিক্ষার অধিকার আইন 2009 দুটিকে সমানে রেখে বিশেষজ্ঞ কমিটি পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন পাঠক্রম,পাঠ্যসূচির এবং পাঠ্যপুস্তক প্রনয়নের কার্য সম্পন্ন করেছেন।
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুসারে নবম - দশম শ্রেণির পাঠ্যক্রম দ্বি - বিভাজিত হয়ে শুধুমাত্র দশম শ্রেণীতে পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে 2012 খ্রিস্টাব্দ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে।এখানেও গণিতকে আবশ্যিক বিষয় হিসেবে পাঠক্রমে স্থান দেওয়া হয়েছে।
7. বিদ্যালয়ের পাঠক্রমের গণিতের প্রয়োজনীয়তা -
পাঠক্রম হল শিক্ষা প্রক্রিয়ার প্রাণকেন্দ্র। শিখন - শিক্ষন কার্যাবলী কে সুস্পষ্ট পরিচালিত করার ক্ষেত্রে পাঠক্রমের গুরুত্ব অপরিসীম।পাঠক্রম ব্যতীত ধারাবাহিক এবং সার্বিকভাবে শিক্ষাদান প্রক্রিয়ার কাজ সংগঠিত করা সম্ভব হতো না।প্রথাগত শিক্ষা ব্যবস্থাকে উদ্দেশ্য ভিত্তিক,সময়োপযোগী এবং গতিশীল করে তোলার জন্য পাঠক্রম কে প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়।পাঠক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়।বিষয় কেন্দ্রিক পাঠক্রমের অংশ হিসাবে গণিত পাঠক্রমের দিকটিও সেই প্রসঙ্গে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে।গণিত পাঠক্রমের প্রয়োজনীয়তা প্রধানত কয়েকটি দিক উল্লেখ করা হল -
- বিদ্যালয়ের গণিত পাঠক্রমের মাধ্যমে শিক্ষককে শ্রেণী কক্ষের ভেতরে ও বাইরে গণিত শিক্ষণ পদ্ধতিটি কার্যকরী করে তুলতে সহায়তা করে।
- শিহ্মন পদ্ধতিতে বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল বিভিন্ন শিখন সম্পদ।গণিত শিখন পদ্ধতিতে শিক্ষক কোনো কোনো শিখন সম্পদকে কাজে লাগাবেন, তা একটি তালিকা দিতে সাহায্য করে গণিত পাঠক্রম।
- শিক্ষার্থীর শিখন কতখানি সার্থকতা লাভ করেছে তার পরিমান করা হয় মূল্যায়ন কৌশলের দ্বারা। বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে শিক্ষকের মূল্যায়ন কৌশল ব্যবহার করবেন তা স্থির করতে সহায়তা করে গণিত পাঠক্রমে।
- গণিত শিখনের যাবতীয় উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য পূরণকে সঠিক পথ অর্জন করার ক্ষেত্রে সুশৃঙ্খল পথ রেখা তৈরি করে গণিত পাঠক্রম।
- শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক বিকাশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শিক্ষার্থীদের বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে ও জীবনমুখী শিক্ষার দিকটিকে তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলতে সহায়তা করে গণিত পাঠক্রম।
- শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ পেশাগত জীবনে, পেশা নির্বাচনে,বিকল্প পেশা স্থির করেন,উচ্চ স্তরের বিজ্ঞান ও গণিত অধ্যায়নের বিষয়টিকে যথার্থভাবে সফল করে তোলার জন্য যে গাণিতিক ভিত্তির প্রয়োজন হয়,তা প্রদান করে গণিত পাঠক্রম।
- শিক্ষার্থীদের বৌদ্ধিক বিকাশের হ্মেত্রে, যেমন - বুদ্ধি,চিন্তন ক্ষমতা,কল্পনা শক্তি,যুক্তি ও চিন্তার ক্ষমতা, সৃজন ক্ষমতার সামগ্রিক রূপটিকে যথার্থ কার্যকরী করে তুলতে গণিত প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করে।
- একটি উন্নত মানের গণিত পাঠক্রম শিক্ষার্থীর বৌদ্ধিক বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে তার প্রাহ্মোভিক, সামাজিক বিকাশ সাধনের কার্যে সহায়তা দানের সঙ্গে নৈতিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটিয়ে সার্বিক বিকাশ সাধনের পথকে প্রশস্ত করে।
8. একজন সুদক্ষ গনিত শিহ্মকের গুনাবলী -
একজন সুদক্ষ গণিত শিক্ষকের গুণাবলী গুলি হল -
- কোনো ব্যক্তি বা শিহ্মার্থী গণিত ছাড়া অর্থপূর্ণ জীবন যাপন করতে পারবেন না।
- দুর্ভাগ্যবশত বিদ্যালয়ে এই বিষয়টিকে ব্যবহারিক দক্ষতাকে অত্যন্ত অবহেলা করা হয়।সেই কারণেই শিক্ষার্থীদের মনে যে ক্রমশ গণিতের প্রতি ভয় ও বিতৃষ্ণার জন্ম নিচ্ছে তা নিরসনের কোনো প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠে না।
- গণিতের পাঠক্রমে প্রতিভাবান ছাত্রছাত্রীদের কাছে সন্তুষ্ট করতে পারে না।
- অনেক সময় সুদক্ষ শিক্ষকের অভাবে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে গণিতের প্রতি ভয়ে সৃষ্টি হয়।
- বিদ্যালয়ে গণিত শিখনের অকার্যকারিতার মধ্যেই এর বীজ নিহিত আছে।তাই বিদ্যালয়ে গণিত পঠনের পদ্ধতিতে সংশোধন করা প্রয়োজন।