Gender Bias And Gender Inequality||লিঙ্গ পহ্মপাত এবং লিঙ্গ বৈষম্য

Gender Bias And Gender Inequality||লিঙ্গ পহ্মপাত এবং লিঙ্গ বৈষম্য

Gender Bias And Gender Inequality||লিঙ্গ পহ্মপাত এবং লিঙ্গ বৈষম্য

BENGALI VERSION||ENGLISH VERSION

Concept, Issues And Effects Of Gender Bias And Gender Inequality
Gender Bias And Gender Inequality

Assignment Questions -

1. What is Gender Bias.||লিঙ্গ পহ্মপাতিত্ব কী।

2. Write The Issues Of Gender Bias In Family.||পরিবারে লিঙ্গ পহ্মপাতের প্রকাশ সম্পর্কিত বিষয় গুলি লেখ।

3. Discuss The Effect Of Gender Bias in Family.||পরিবারে লিঙ্গ পহ্মপাতের প্রভাব আলোচনা কর।

4. Write The Issues Of Gender Bias In Society.||সমাজে লিঙ্গ পহ্মপাতের প্রকাশ সম্পর্কিত বিষয় গুলি লেখ।

4. Discuss The Effect Of Gender Bias In Society.||সমাজে লিঙ্গ পহ্মপাতের প্রভাব আলোচনা কর।

5. Write Down The Issues Of Gender Bias In Family And Society.Discuss The Effect Of Gender Bias In Family And Society.||পরিবার এবং সমাজে লিঙ্গ পহ্মপাতের বিষয় সম্পর্কে আলোচনা কর। পরিবার এবং সমাজে লিঙ্গ পহ্মপাতের প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা কর।

6. What is Gender Inequality.||লিঙ্গ বৈষম্য কী।

7. Discuss The Reasons Or Causes Of Gender Inequality In Our Society.|| সমাজে লিঙ্গ বৈষম্য কারণ গুলি সম্পর্কে আলোচনা কর।

8. What are The Effect Of Gender Inequality In Our Society.||সমাজে লিঙ্গ বৈষম্যের ফলশ্রুতি সম্পর্কে বর্ণনা কর।

Gender Bias And Gender Inequality||লিঙ্গ পহ্মপাত এবং লিঙ্গ বৈষম্য

BENGALI VERSION -

(ENGLISH VERSION FILE BELOW THE ARTICLE BY PDF FORMAT)

1. ভূমিকা -

লিঙ্গ বা 'Gender' শব্দটির সঙ্গে সাধারণভাবে জৈবিক লিঙ্গের ধারণা জড়িত থাকলেও বর্তমানে সমাজ বিজ্ঞানীরা নারী পুরুষের মধ্যে সামাজিক,সাংস্কৃতিক, মানসিক ও কৃত্রিম পার্থক্যকে বোঝায়।এই পক্ষপাত সচেতন কিংবা অসচেতনভাবে হতে পারে,কিংবা প্রকাশ্য বা অপ্রকাশ্য হতে পারে।এরই ফলশ্রুতি পুরুষের প্রতি পক্ষপাতিত্ব এবং নারী হয়েছে বৈষম্যের শিকার।কখনো কখনো একে বলা হয়েছে লিঙ্গ বৈষম্য। Cambridge University Press দ্বারা প্রকাশিত Cambridge Business English Dictionary তে বলা হয়েছে লিঙ্গ পক্ষপাতিত্ব হল এমন একটি উপায় বা পথ যেখানে নারী ও পুরুষের মধ্যে পক্ষপাতিত্ব মূলক পার্থক্য নির্দেশ করা হয়।সুতরাং লিঙ্গ পহ্মপাতিত্ব বলতে শুধু নারীর প্রতি বা শুধু পুরুষের প্রতি পহ্মপাতিত্ব বোঝায় না,কোনো একটি বিশেষ লিঙ্গের প্রতি পহ্মপাতিত্বকেই নির্দেশ করে অথচ যেখানে নিরপেক্ষতা থাকার যথেষ্ট প্রয়োজন আছে। সমাজবিজ্ঞানীদের মতে মানব সমাজের ইতিহাসে মাতৃতান্ত্রিক সমাজ বিলুপ্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষের আধিপত্য নারী পুরুষের বৈষম্য কৃত্রিমভাবে সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে পক্ষপাতিত্ব আরও প্রকটভাবে আবির্ভাব ঘটেছে।সমাজের এই পক্ষপাতিত্ব যত বাড়বে, লিঙ্গ বৈষম্য তত তীব্র আকার ধারণ করবে। নারীবাদী দার্শনিক সাইমন ডি. বভয়ের একটি বিখ্যাত উক্তি হল - "Born a women, becomes a women."

        ভারতের মতো অধিকাংশ দেশের সংবিধানে নারী পরুষের সমান অধিকার দেওয়া থাকলেও এখনও প্রায় সর্বত্র বেতন কাঠামো, কর্মজীবনের ধারা, বৃত্তি ইত্যাদি ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষের সমান জায়গা আসতে পারে নি। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে সামাজিক,পারিবারিক, দৈহিক, সাংস্কৃতিক ইত্যাদি ক্ষেত্রে মেয়েদের স্বাধীনতাকে সুকৌশলে নিয়ন্ত্রিত করার ফলে এই বৈষম্য দিন দিন বাড়ছে।

     এককথায় লিঙ্গ পক্ষপাতিত্ব হল এমন একটি উপায় যেখানে নারী ও পুরুষের মধ্যে পক্ষপাতিত্ব মূলক পার্থক্য নির্দেশ করা হয়।এই লিঙ্গ পক্ষপাতিত্ব কখনো কখনো বালিকা বা নারীর পক্ষে যায় আবার কখনো কখনো বালক বা পুরুষের পক্ষে যায়।সুতরাং লিঙ্গ পক্ষপাতিত্ব বলতে শুধু নারীর প্রতি বা শুধু পুরুষের প্রতি পহ্মপাতিত্ব বোঝায় না।কোনো একটি বিশেষ লিঙ্গের প্রতি পক্ষপাতিত্ব কেই নির্দেশ করে অথচ যেখানে নিরপেক্ষতা থাকার যথেষ্ট প্রয়োজন আছে।লিঙ্গ পহ্মপাতিত্বে পরিবারের ও সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।নিম্নে তা বর্ণনা করা হল।

2. লিঙ্গ পহ্মপাতিত্বের পরিবারের ভূমিকা -

একটি পরিবার সম্পূর্ণ হয় তখন তাদের সন্তানের জন্ম হয়।আর তার থেকে সূত্রপাত ঘটে লিঙ্গ পহ্মপাতের। পরিবারে পুত্র সন্তান ও কন্যা সন্তানের মধ্যে একটি তফাৎ করে শুরু হয়। সাধারণত ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে সমাজব্যবস্থার প্রত্যেক পরিবার এই লিঙ্গ পহ্মপাতিত্ব লহ্ম্য করা যায়,তবে কিছু হ্মেত্রে ব্যতিক্রম লহ্ম্য করা যায়।নিম্নে লিঙ্গ পহ্মপাতিত্বের পরিবারের ভূমিকা সম্পর্কে বর্ণনা করা হল।

১. পুষ্টি -

একটি পরিবারের যদি দুটি সন্তান অর্থাৎ ছেলে ও মেয়ে থাকলে দেখা যায় ছেলের মেয়ের তুলনায় বেশি পরিমাণও ভালো খাবার পায়।ছেলেদের পুষ্টির প্রতি অপেক্ষাকৃত বেশি নজর দেওয়া হয়।সেখানে খাদ্যের পরিমাণ সীমিত সেখানে তুলনামূলকভাবে মেয়েদের বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। 

২. শিক্ষা -

শিক্ষার ক্ষেত্রে লিঙ্গ পক্ষপাতিত্ব দেখা যায়।সাধারণত ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মধ্যে সাক্ষরতার হার কম এবং মেয়েদের বিদ্যালয় ছুট হয়ে যাওয়ার হার বেশি। অন্যান্য নানা কারণের মধ্যে মেয়েদের পশ্চাদর্তিতার অন্যতম কারণ পরিবারে মেয়েদের উপর নানা দায় দায়িত্ব অর্পণ করে বাধা সৃষ্টি করা।ছোটো ভাই বা বোনের দেখাশোনা,গৃহ কর্মে সাহায্যে করা,কখনো কখনো রান্না করা,গৃহপালিত পশুর দেখাশোনা করা ছাড়াও নানা রকম ছোটো খাটো ফরমায়েশ পালন করার ভার সাধারনত মেয়েদের উপরই বর্তায়।এর ফলে স্কুলে ঘনঘন অনুপস্থিতির পর একসময় পড়া বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে নানা সুযোগ সুবিধা দেওয়া সত্ত্বেও উপরোক্ত মনোভাব সম্পূর্ণ পরিবর্তিত হয়ে গেছে এমন কথা বলা কঠিন। 

৩. দারিদ্রতা -

দারিদ্রতা হল এমন একটি অবস্থা যার ফলে কোনো ব্যক্তি বিশেষ তার জীবন ধারণের জন্য খাদ্য,বস্ত্র, বাসস্থান,শিক্ষা,স্বাস্থ্যের মতো ন্যূনতম প্রয়োজনীয় সামগ্রী সমুহ সংগ্রহে অক্ষমতা প্রকাশ করে এবং যার ফলশ্রুতিতে ব্যক্তির অন্তর্নিহিত সম্ভাবনা গুলির প্রকাশ ঘটতে সক্ষম হয়।ভারতে প্রায় 30 শতাংশ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে অবস্থান করে এবং এদের মধ্যে 70% হল নারী।ভারতে নারীর দারিদ্র্যতার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে সম্পর্কিত বিষয় গুলি হল অর্থনৈতিক সুযোগের অপর্যাপ্ততা, অর্থনৈতিক সম্পদ অর্জনের ক্ষেত্রে সুযোগের অভাব,শিহ্মা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অভাব এবং সমর্থন মূলক পরিস্থিতির অভাব।

৪. কর্মসংস্থান -

প্রকৃতপক্ষে দেখা গেছে বেশিরভাগ অর্থনীতিই নারীদের দেয় মাত্র ¾ পুরুষের অধিকার।মনে করা হয় সকল কাজে জন্য পুরুষরাই শ্রেষ্ট। তাই নারীদের প্রতি কর্মক্ষেত্রের পহ্মপাতিত্ব লহ্ম্য করা যায়।

৫. আয় উপার্জন - 

কর্মসংস্থানের মধ্যে লিঙ্গ পহ্মপাতিত্ব একটি প্রধান কারণ হল চাকরি ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্ব।বেশিরভাগ সমাজে একটি অন্তর্নিহিত বিশ্বাস রয়েছে যে পুরুষেরা কেবলমাত্র নির্দিষ্ট কাজ গুলি পরিচালনা করার জন্য আরও ভালোভাবে সজ্জিত।তাই সেই কাজ গুলিতে সেরা বেতন দেয়।এই পহ্মপাতিত্বের ফলে নারীদের আয় কম হয়।

৬. বিবাহের হ্মেত্রে পহ্মপাতিত্ব -

এখনও পর্যন্ত আমাদের দেশে অল্প বয়সে বিবাহ বা কন্যা বিবাহের হার উদ্বেগজনক ভাবে বেশি।বাল্য বিবাহের প্রথার সবচেয়ে বেশি হ্মতিগ্ৰস্ত হয় মেয়েরা।তার কারন পরিবারে এমন একটি যুক্তি দেখানো হয় যে প্রতিপালন ও ভরন পোষনে অহ্মম হয়ে মেয়ের খাওয়া পড়া সম্বন্ধে কিছু টা নিশ্চিত হওয়ার জন্য অল্প বয়সে বিবাহ দিয়ে মেয়েকে বিদায় করা হয়।বাস্তবিক পহ্মে এই যুক্তি একান্তই অজুহাত মাত্র,আসল কথা মেয়ের প্রতি নেতিবাচক পহ্মপাত।

৭. পুত্র সন্তানের প্রতি আকাঙ্খা -

অতীতকাল থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত প্রত্যেক পরিবারে পুত্র সন্তানের প্রতি প্রবলভাবে আকাঙ্খা আর কন্যা সন্তানের প্রতি অবহেলা লহ্ম্য করা যায়।প্রত্যেক পরিবারে পুত্র সন্তানের প্রতি আকাঙ্খার কারন হল ভবিষ্যতে তাদের দেখবে, ধর্মীয় অবিশ্বাস(বংশ রহ্মা) ও অর্থনৈতিক দিক। কিন্তু বিপরীত দিকে কন্যা বিবাহের পর অন্যের সংসারে চলে যাবে।এই ধারনার জন্য পুত্রের সন্তানের প্রতি বেশি আকাঙ্খা আর এর থেকে শুরু হয় লিঙ্গ পহ্মপাতিত্ব।

3. পরিবারে লিঙ্গ পহ্মপাতের প্রভাব -

নারী পুরুষের মধ্যে লিঙ্গ পহ্মপাতিত্ব ফলে পরিবারের মধ্যে নানা সমস্যা সৃষ্টি হয়।সেগুলি হল -
  • পরিবারের ছেলে এবং মেয়ে মধ্যে ছেলের প্রতি পহ্মে এবং মেয়ের প্রতি বঞ্চনা মনোভাব প্রকাশ পায়।
  • পরিবারে লিঙ্গ বৈষম্যের সৃষ্টি হয়।
  • পরিবারের প্রতিটি ক্ষেত্রে মেয়েরা পশ্চাদবর্তিতা লহ্ম্য করা যায়।
  • পরিবারের নারীরা পুষ্টিহীনতা লহ্ম্য করা যায়।
  • নারীরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ফলে নিরহ্মরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
  • নারীদের মধ্যে অর্থনৈতিক উন্নয়নের বা স্বয়ং নির্ভর বাধা সৃষ্টি হয়েছে।
  • নারীরা নিজেদের হ্মমতায়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

4. লিঙ্গ পহ্মপাতিত্বের সমাজের ভূমিকা -

পরিবারের বাইরে বৃহত্তম সমাজে মেয়েদের হ্মেত্রে অনেক বিধিনিষেধ আছে যা পুরুষদের হ্মেত্রে অনেক শিথিল। মেয়েদের কাছে সামাজিক প্রত্যাশা কম।সেই কারণে তাদের সাফল্য ও ব্যর্থতার বিচার হয় স্বতন্ত্র মানদন্ডে।

১. পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা -

ভারতীয় সমাজ ব্যবস্থা আজও পুরুষ শাসিত। সেখানে নারীর হ্মমতা ও প্রধান্য দেখা যায় না। নারীরা প্রতিটি হ্মেত্রে নারীরা বঞ্চিত হয়।

২. সামাজিক প্রথা, বিশ্বাস এবং চর্চা -

লিঙ্গ পহ্মপাতিত্বের মূলে রয়েছে সামাজিক প্রথা, বিশ্বাস এবং জীবন চর্চা। সমাজ জীবনে নানা প্রথা, বিশ্বাস এবং চর্চার দিকগুলি নারীদের নানা সমস্যার জর্জরিত করে রাখে। এগুলি থেকে অনেক নারীই মুক্ত হতে পারে না।গৃহ পরিবেশে মধ্যে বর্তমান বিভিন্ন রীতি নীতি,প্রথা ও বিশ্বাসকে মান্যতা দিতে গিয়ে তারা পুরুষদের মতো সমান অধিকার ও হ্মমতা লাভের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয় এবং অধঃস্তন সমস্যা হিসেবে পরিবারে অবস্থান করতে হয়।বহু পরিবারের মধ্যে এখনও দেখা যায় পুত্রের সন্তান যে মর্যাদা পায়,কন্যা সন্তানেরা তা পায় না। দেখা যায় পুরুষ প্রতি পহ্মপাতিত্ব এবং নারীর প্রতি বৈষম্য।

৩. সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি -

লিঙ্গ পহ্মপাতিত্বে হ্মেত্রে সামাজিক অনেকখানি দায়ী। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং সভ্যতার বিকাশ অনেক খানি ঘটলেও সমাজে নারীর জীবনে অধিকার ও সুযোগ সুবিধা প্রাপ্তির হ্মেত্রে পরিস্থিতির আশানুরূপ উন্নতি ঘটেনি।আজও নারীরা শোষন,বঞ্চনা, কুসংস্কার,নিরহ্মরতা, নিষ্ঠুর সামাজিক আচরনের শিকার হন।নারীরা আজও গৃহের চার দেয়ালের মধ্যে বন্দি। নারীরা নিজেদের ভাগ্য তৈরি করার সুযোগ, শিক্ষা,স্বাস্থ্য ও কর্ম নিযুক্তির সুযোগ পান না। পরিবারের সম্মানহানি,মর্যাদার আঘাত বা পারিবারিক সংস্কৃতিকে আগ্ৰাহ্য করার সাহস দেখাতে পায় না নারীরা। পরিবারের পুত্র সন্তান বা পুরুষ যে পরিমাণ খাদ্য গ্ৰহনের সুযোগ পায়,কন্যা সন্তান বা নারীরা তা পায় না। স্বাভাবিক ভাবেই স্বাস্থ্য রহ্মায় পুরুষ বা ততখানি গুরুত্ব লাভ করে, নারীরা তা পায় না। অর্থাৎ প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের বঞ্চিত হবার হার বেশি।

৪. সামাজিক জাতি ভিত্তিক স্তর বিভাজন -

সামাজিক স্তর বিভাজন একটি স্বাভাবিক ঘটনা এবং ভিন্ন ভিন্ন ভিত্তি থাকতে পারে। কিন্তু যে সামাজিক স্তর বিভাজনের সঙ্গে মনুষ্যত্বের অবমাননা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত তেমন স্তর বিভাজন পৃথিবীর খুব কম দেশেই আছে। এই বিষয়টি সমাজতান্ত্রিক পন্ডিতদের একটি প্রধান আলোচ্য বিষয়। কিন্তু লিঙ্গ পহ্মপাতিত্বের প্রসঙ্গে এই জাতির স্তর বিভাজনের সঙ্গে আরও একটি স্বতন্ত্র মাত্রা যুক্ত হয়।

৫. যৌন নির্যাতন -

যৌন নির্যাতনের প্রধান কারণ হল লিঙ্গ পহ্মপাত। মেয়েদের নানা হ্মেত্রে পরিবার বাইরে বেড়াতে হয়।পথে ঘাটে, স্কুলের গেটে, বাজার দোকানে,বাসে,ট্রেনে,পার্ক ও কর্মহ্মেত্রে মেয়েদের প্রতি কুটক্তি করা, অশ্লীল ইঙ্গিত ও ভাষার ব্যবহার অতি সাধারণ ও নিয়মিত ঘটনা। অধিকাংশ হ্মেত্রেই এই জাতীয় নির্যাতন ঘটে দলবদ্ধ পুরুষদের হাতে। চূড়ান্ত অবমাননা, অবহেলা,ধর্ষন ইত্যাদি প্রায় নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। মেয়েদের স্বাধীনভাবে চলাফেরা বহু জায়গাতেই দুরুহ ব্যাপার। শুধুমাত্র যৌন হেনস্থার ফলে পড়া ছেড়ে দেওয়ার সংখ্যা অনেক।

৬. নারীর সচেতনতার অভাব -

বেশির ভাগ নারীর তাদের মৌলিক অধিকার এবং সহ্মমতার দিকগুলি সম্পর্কে সচেতন নয়। তাদের এই উপলদ্ধি নেই রে,আর্থ সামাজিক এবং রাজনৈতিক হ্মমতা তাদের জীবনকে কতখানি প্রভাবিত করতে পারে। পরিবার ও সমাজে যে সমস্ত বৈষম্য বা পহ্মপাতিত্ব গুলি বিদ্যমান সেগুলিকে তারা নিজেদের জীবনে মেনে নেয়। তাদের অজ্ঞতা ও অসচেতনতা কার্যত তাদের প্রতি পহ্মপাতিত্ব গুলিতে পরিবার এবং সমাজে টিকিয়ে পরোহ্ম ভাবে সাহায্যে করে।

৭. রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বের অভাব -

বছরের পর বছর ধরে এই হ্মেত্রে অগ্ৰগতি সত্ত্বেও সরকার এবং রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার এখনও নারীদের ব্যাপকভাবে কম প্রতিনিধিত্ব করা হয়।এর মানে হল যে কিছু বিষয় যা মহিলা রাজনীতিবিদরা উত্থাপন করেন।যেমন পিতামাতার ছুটি এবং শিশুর যত্ন,পেনশন লিঙ্গ সমতা আইন এবং লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা প্রায়শই উপেহ্মিত হয়।

5. সমাজে লিঙ্গ পহ্মপাতিত্বের প্রভাব -

নারী পুরুষের পহ্মপাতের জন্য সমাজে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়।সেগুলি হল।-

  • সমাজের প্রকৃত উন্নয়ন কখনও হয় না।
  • সমাজে উন্নয়নের জন্য মানসিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রয়োজন। মানবীয় উন্নয়ন না হলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটে না। 
  • নারী জাতির মান অনুন্নত থাকার তৃতীয় বিশ্বের অধিকাংশ দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নের মান কম।
  • এমন অনেক কাজ আছে যা পুরুষের তুলনায় নারীরা অনেক ভালো করতে পারে।অথচ তাদের গৃহের কাজে বন্দি করে রাখার প্রকৃত অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয় না। 
  • সমাজে যদি নারী পুরুষ মিলিতভাবে থাকত তাহলে বেশি সম্পদ উন্নয়ন করা সম্ভব হত।তা না হওয়ায় অর্থনৈতিক উন্নয়নের কম হয়। 
  • সমাজে নারী জাতির অবমাননা ও অকাল মৃত্যুর ফলে জনসংখ্যা হ্রাস পায়। পুরুষদের তুলনায় নারীর সংখ্যা কমে গেলে বংশ বিস্তারে অসুবিধা দেখা দেয় যা অন্যতম সমস্যা রূপ প্রতিভাত হয়।
  • সমাজে নারী জাতির শিক্ষা জ্ঞানে তাদের মত প্রকাশের স্বাধীন হ্মমতা বাড়বে,উৎপাদন শক্তি বাড়বে ও সমাজের সার্বিক উন্নয়ন সাধিত হবে।অথচ সমাজে নারী জাতি অশিহ্মার অন্ধকারে থাকার তাদের সঠিক উন্নয়ন ব্যাহত হয় ও তার সাথে সাথে সমগ্ৰ সমাজের উন্নয়ন ব্যহত হয়।

•• লিঙ্গ পহ্মপাতিত্বের ফলে সৃষ্টি হয় লিঙ্গ বৈষম্যের।নিম্নে লিঙ্গ বৈষম্য সম্পর্কে বর্ণনা করা হল। -

6. লিঙ্গ বৈষম্য -

লিঙ্গ বৈষম্য হল নারী ও পুরুষের মধ্যে সাম্য বা সমতার অভাব।ক্রিস্টিন ডি পিজনে লিঙ্গ সমতার একজন প্রাথমিক প্রবক্তা, তাঁর 1405 সালের বই "দ্য বুক অফ দ্য সিটি অফ লেডিস" এ বলেছেন যে নারীর নিপীড়ন অযৌক্তিক কুসংস্কারের উপর প্রতিষ্ঠিত।সম্ভবত নারীদের দ্বারা সৃষ্ট সমাজে অসংখ্য অগ্ৰগতি নির্দেশ করে। অর্থাৎ যখন সমাজে নারী ও পুরুষের মধ্যে দৈহিক, মানসিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক সাম্য বা সমতার অভাব দেখা যায়,তখন তাকে লিঙ্গ বৈষম্য বলে।

নারী ও পুরুষের বৈষম্য নানা ধরনের হওয়ার কারণে লিঙ্গ বৈষম্যকেও বিভিন্ন ভাবে করা হয়।যেমন নারী পুরুষের জন্ম হারের বৈষম্য, পেশাগত বৈষম্য,মজুরি ভিত্তিক বৈষম্য,শিহ্মা ও সাহ্মরতার বৈষম্য,সহ্মমতার বৈষম্য, পারিবারিক হ্মেত্রে পুরুষের তুলনায় নারীর আপেহ্মিক বঞ্চনা ইত্যাদি।প্রতিটি হ্মেত্রে জন্ম, শিক্ষা, কর্মসংস্থানে,সাহ্মরতা, পারিবারিক দিক থেকে এই লিঙ্গ বৈষম্য লহ্ম্য করা যায়। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ভারতের নারী পুরুষের হ্মেত্রে সামাজিক বৈষম্য লিঙ্গ বৈষম্যের অন্যতম উদাহরন।মূলত যখন নারী পুরুষের মধ্যে পহ্মপাতিত্ব ও বঞ্চনা দেখা যায়, তখনই লিঙ্গ বৈষম্যের সৃষ্টি হয়।সমাজে পুরুষের সমান উৎপাদনশীল সদস্য হবার পরিবর্তে অধিকাংশ পরিবারে নারীরা সামাজিক কারনে নিছক স্বামীর উপর নির্ভর করে গৃহবধূ হিসাবে বেঁচে থাকতে পছন্দ করে।এহ্মেত্রে পরিবারের যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্ৰহনের হ্মমতা পুরুষদের উপর থাকে। ধর্মীয় বেড়াজাল অনেক সময় নারী পুরুষের বৈষম্য কারণ হতে পারে।সমাজে নারী পুরুষের বৈষম্যের মূলে আছে ধর্মীয় ও সামাজিক অনুশাসন এবং শিক্ষার প্রসারের অভাব।এই দুটি হ্মেত্রে অভাব পূরনের জন্য প্রয়োজন সামাজিক বিপ্লব বিখ্যাত দার্শনিক এঙ্গেলস তাঁর "Origin Of Family, Private Property,State" শীর্ষক প্রবন্ধে (1844) ব্যক্তিগত সম্পত্তি সমাজে শ্রেনির উদ্ভব এবং নারীর অবনমিত হয়ে থাকার মধ্যে এক সুন্দর যোগসূত্র দেখিয়েছেন। তাঁর মতে সামাজিক বিপ্লব ছাড়া এই বৈষম্য কখনো দূর করা সম্ভব নয়।

রাষ্ট্রসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (UNDP) প্রতিবছর মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন প্রকাশ করার সাথে সাথে লিঙ্গ ভিত্তিক বৈষম্য সূচক তৈরি করা হয়।

7. লিঙ্গ বৈষম্যের কারন -

ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশের নারী ও পুরুষের প্রভেদ অনেক বেশি।এর কারনগুলি হল -

১. লিঙ্গ অনুপাত -

উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে ভারতে সমাজে নারীদের অবাঞ্চিত বলে মনে করা হয়।কার্য হ্মেত্রে দেখা যায় ভারতে সমাজে কন্যা ভ্রুণ হত্যা,কন্যা সন্তানের হত্যা,নারী পাচার,পুত্র সন্তানের প্রতি আকাঙ্খা প্রভৃতি ধরনের কার্যকলাপ চলছে।ফলে সমাজে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা কম হয়।2011 সালের আদমশুমারি অনুসারে ভারতে প্রতি 1000 জন পুরুষের মধ্যে নারীর সংখ্যা 940 জন।

২. নারীদের আয়ুষ্কাল -

ভারতীয় সমাজে লিঙ্গ পহ্মপাতিত্বের ফলে নারী শিশুর অবহেলা, প্রসূতি মায়ের প্রতি অবহেলা,ভগ্ন স্বাস্থ্য,সঠিক খাদ্য ও পুষ্টির অভাব,সদ্যোজাত শিশু ও সদ্য প্রসূতি মায়ের সঠিক দেখাশুনার অভাব ইত্যাদি কারনে নারীদের অকাল মৃত্যু হয়।যে দেশে নারী অবমাননা বেশি সে দেশের নারীদের প্রত্যাশিত আয়ু ততই কম। Census Of India Report এ ভিত্তিতে 1990 সালে পুরুষের আয়ুষ্কাল ছিল 59.4 সেই খানে নারীদের আয়ুষ্কাল ছিল 59.7, 2000 সালে পুরুষের আয়ুষ্কাল ছিল 62.3 এবং নারীদের 65.3 এবং 2011 সালে ভিত্তিতে পুরুষের আয়ুষ্কাল ছিল 66.08 এবং নারীদের আয়ুষ্কাল ছিল 68.33।

৩. নারীর অবজ্ঞা -

ভারতের মতো উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে সমাজ ব্যবস্থার নারী শিক্ষার দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এর কারন হিসেবে বলা যায় পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা।ফলে অধিকাংশ বাবা - মা মনে করেন যে মেয়েদের কিছুদিন পরেই বিয়ে দিয়ে পরের বাড়িতে চলে যাবে।অন্যদিকে ছেলেরা ভবিষ্যতের তাদের খাওয়াবে এই ভাবনার ছেলে সন্তানের আকাঙ্খা ও যত্ন নেওয়া হয়।মেয়ে সন্তান যতই মেধাবী হক না কেন কম মেধাবী সম্পন্ন ছেলে প্রতি অধিক সুযোগ প্রদান করা হয়। 

৪. বাল্য বিবাহ -

ভারতীয় সমাজে বিভিন্ন কুসংস্কারের মধ্যে অন্যতম হল বাল্যবিবাহ।তাই দেখা যায় মেয়েদের প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার আগে জোর করে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়।তবে বর্তমানে আর একটি লহ্মনীয় বিষয় হল মাধ্যমিক ও প্রাক মাধ্যমিক দেওয়ার আগে প্রেম ঘটিত বিষয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিবাহ করেছে।ফলে তাদের ওপর শারীরিক ও মানসিক চাপ পড়ে ও তাদের সার্বিক উন্নতি ব্যাহত হয়।

৫. পুত্র সন্তানের প্রতি আকাঙ্খা -

ভারতীয় পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার মনে করা হয় পুরুষ হল ভবিষ্যতে পিতামাতা খাওয়ানো ও দেখাশোনার একমাত্র মাধ্যম হল ছেলেরাই,তারাই হল বংশ রহ্মক এবং পিতামাতার মৃত্যুর পর স্বর্গ লাভের একমাত্র মাধ্যম।আর অন্যদিকে মেয়েরা হল সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র ফলে মেয়েদের স্বাস্থ্য কথা না ভেবে বার বার তাদের সন্তান ধারনে বাধ্য করা হয়। 

৬. প্রসবকালীন মৃত্যু হার -

প্রতি বছর প্রতি দুই লহ্ম প্রসূতি মায়ের মধ্যে যতজন গর্ভাবস্থা কালীন মারা যায়, তাকে Maternal Mortality Rate বলে। ভারতের মতো উন্নয়নশীল রাষ্ট্র বা দেশে পুত্র সন্তানের আকাঙ্খা উপর জোর দেওয়া হয় কিন্তু প্রসূতি সেই মায়ের প্রতি যত্ন নেওয়া হয় না।

৭. পুষ্টি অভাব -

ভারতের রহ্মনশীল সমাজব্যবস্থার দেখা যায় পরিবারের কন্যা সন্তান ও পুত্র সন্তান থাকলে সেহ্মেত্রে পুত্র সন্তানের বেশি পুষ্টিকর খাদ্য ও অন্যান্য সুবিধা প্রদান করা হয় আর অপর দিকে কন্যা সন্তান তুলনামূলক কম এবং সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। মহিলাদের মধ্যে অপুষ্টি লহ্ম করা যায়।অথচ পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের অধিক কাজ করতে হয়।অথচ পুরুষদের মতো তাদের যত্ন নেওয়া হয় না, তাদের সঠিক খাদ্যের জোগান না থাকায় শারীরিক অসুস্থতা ও অপুষ্টির জন্য তাদের মৃত্যু হার বেশি হয়।

৮. সাহ্মরতা হার -

লিঙ্গ বৈষম্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারন হল সাহ্মরতা। ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থা একটি তারতম্য লহ্ম্য করা যায়। নারী তুলনায় পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার বেশি। বর্তমানে নারী শিক্ষা প্রসার ঘটলেও পুরুষ ও নারীর মধ্যে সাহ্মরতার হারের তারতম্য রয়ে গিয়েছে।

৯. কর্মসংস্থান -

মেয়েরা যত কর্মে নিযুক্ত থাকবে,তত বেশি আর্থিকভাবে স্বাধীন হবে এবং তাদের সঠিক মান বৃদ্ধি পাবে।তাদের কর্মের নিযুক্তি হওয়া প্রয়োজন।অথচ অধিকাংশ দেশে মেয়েদের কর্মে নিয়োগের হ্মেত্রে নানা বাধার সম্মুখীন হতে হয়।ফলে অনেক সময় তাদের কর্মে নিয়োগের ইচ্ছা হ্রাস পায়। তাদের সঠিক উন্নতি হয় না।

১০. আয় উপার্জন -

অনেক সময় দেখা যায়, কোনো কর্মহ্মেত্রে নারীরা পুরুষের সমান পারিশ্রমিক পায় না।এমনকি কখনো তাদের কে সামাজিক সম্মান দেওয়া হয় না।ফলে অনেক সময় তাদের কর্মে নিয়োগের ইচ্ছা হ্রাস পায়। তাদের সঠিক উন্নতি হয় না।

১১. নারীর সচেতনতা বোধের অভাব -

ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশের নারীদের মধ্যে যেহেতু সাহ্মরতার হার কম,তাই তাদের মৌলিক অধিকার এবং হ্মমতা দিক গুলি সম্পর্কে সচেতন নয়।ফলে তাদের মধ্যে ধর্মীয় অন্ধ আনুগত্য,অদৃষ্টবাদিতা, গোঁড়ামি,কু সংস্কার প্রভৃতি অনেক বেশি দেখা যায়।

8. লিঙ্গ বৈষম্যের ফলশ্রুতি -

পরিবার এবং সমাজে লিঙ্গ বৈষম্য ফলে যে সমস্ত ফলাফল প্রকাশ পাচ্ছে,সে গুলি হল -

  • পরিবারে মধ্যে নারীরা শিক্ষা আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আবার সমাজের মধ্যে একটি বৃহৎ অংশ হিসেবে নারীরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলস্বরূপ নিরহ্মরতা সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
  • অশিহ্মার ফলে নারীদের মধ্যে কর্মহীনতার দারিদ্র্যতার স্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
  • নারী ও পরিবারে ক্রমশ দারিদ্র্যের স্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
  • নারীদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ব্যঘাত ঘটছে।
  • সামাজিক উন্নয়ন ঘটছে না।
  • নারীদের নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসের অভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে।
  • নারীরা ক্রমশ নিজের প্রতি আত্মমর্যাদা বোধ হ্রাস পাচ্ছে।
  • স্বামীর উপরে নারীর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
  • প্রতিটি নারীর ব্যক্তিগত বিচ্ছিন্নতার সৃষ্টি হচ্ছে।
  • নারীদের প্রাহ্মোভিক আঘাত জনিত অসুস্থতা লহ্ম্য করা যাচ্ছে।
  • পুত্র সন্তানের প্রতি আকাঙ্খার ফলে প্রসূতি মায়ের মাতৃত্বের উচ্চ মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
  • শিশুর মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।

9. উপসংহার -

পরিশেষে বলা যায় যে, Gender Bias এবং Gender Inequality মূলত একই প্রকার। কিন্তু আপাত দৃষ্টিতে দেখলে বোঝা যায় যে, সমাজে ও পরিবারে নারী ও পুরুষের মধ্যে পক্ষপাতিত্বের দ্বারা নারীদেরই বঞ্চিত হতে হয়।তবে কিছু হ্মেত্রে ব্যতিক্রম রয়েছে। তার ফলে সৃষ্ট হয় লিঙ্গ পহ্মপাতিত্বের।আর এই লিঙ্গ পক্ষপাতিত্বের ফল স্বরূপ ঘটে লিঙ্গ বৈষম্য। অর্থাৎ এককথায় বলা যায় লিঙ্গ পহ্মপাতিত্ব কারন এবং তার ফল হল লিঙ্গ বৈষম্য।

CLICK HERE -

ENGLISH VERSION PDF FILE

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post