তৃতীয় লিঙ্গ এবং রূপান্তরকামী||Third Gender And Transgender
BENGALI VERSION||ENGLISH VERSION
Third Gender And Transgender people's Policy Initiatives And Laws For Recognition In india |
Assignment Questions -
1. Write the concept of Third Gender.||তৃতীয় লিঙ্গের ধারণা দাও।
2. Short note on Transgender.|| রূপান্তরকামী সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা কর।
3. Write The Problems Faced Third Gender And Transgender Persons.||তৃতীয় লিঙ্গ এবং রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের যে সমস্ত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়,সেই সম্পর্কে ধারণা প্রদান কর।
4. Briefly Discuss About Policy Initiatives And Laws For Recognition Of Transgender And Third Gender.||তৃতীয় লিঙ্গ এবং রূপান্তরকামীদের আইনি স্বীকৃতি এবং নীতিগত উদ্যোগ সম্পর্কে ব্যাখ্যা কর।
5. Describe The Recently Policy Initiatives And Laws For Recognition Taken By Government Of India Of Third Gender And Transgender Persons.||সাম্প্রতিক সময়ে নিরিখে তৃতীয় লিঙ্গ ও রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের স্বীকৃতি প্রসঙ্গে ভারত সরকারে গৃহীত আইনি পদক্ষেপ ও নীতিগত উদ্দ্যোগ সম্পর্কে বর্ণনা কর।
6.Discuss About transgender people's Empowerment Issue.|| রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের হ্মমতায়নের সম্পর্কে ধারণা দাও।
তৃতীয় লিঙ্গ এবং রূপান্তরকামী -
BENGALI VERSION -
1. ভূমিকা -
ইংরেজি 'Gender' শব্দটির আভিধানিক অর্থ দাঁড়ায় লিঙ্গ।সাম্প্রতিককালের সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষত উন্নয়নমূলক সাহিত্যে 'Gender' ব্যাপক অর্থে নারী পুরুষ হিসেবে প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্ট জৈবিক বা শারীরিক বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তে সামাজিক সাংস্কৃতিকভাবে সৃষ্ট সত্যটিকে প্রতিষ্ঠিত করে।প্রকৃতিতে জৈবিক বা শারীরিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে নারী ও পুরুষের স্বাতন্ত্র্য পরিচায়ক বৈশিষ্ট্যটি অপরিবর্তনীয় কিন্তু 'Gender' প্রত্যয় টি হল পরিবর্তনীয়।আপাত দৃষ্টিতে যাকে পুরুষ বা নারী হিসেবে মনে করা হয়েছে মানসিক ভাবে সে যদি তার বিপরীত লিঙ্গের পরিচয় অনুভব করে তবে ব্যক্তির লিঙ্গ পরিচয় নিয়ে মে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয় তার প্রভাব শুধুমাত্র নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না।একসময় তা ব্যক্তি ও পরিবার ছাপিয়ে গিয়ে সামাজিক সমস্যার পরিনত হয়।1980 এর দশকের মধ্যে থেকে শেষ ভাগের মধ্যে "যৌনতা ও লিঙ্গ পরিচয় ভিত্তিক সংস্কৃতি গুলির" বৈচিত্র্যের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করার জন্য "LGBT" শব্দটি ব্যবহৃত হয়। "LGBT" বলতে এখানে 'L' অর্থ 'Lesbian' বা 'মহিলা সমকামী','G' অর্থ 'Gay' বা 'পুরুষ সমকামী','B' অর্থ 'Bi-Sexual' বা 'দ্বি লিঙ্গ' এবং 'T' অর্থ 'Transgender' বা 'লিঙ্গান্তর'।
সাধারণত সমকামী, উভকামী বা রূপান্তরকামী কোনো ব্যক্তিকে বোঝাতে এই শব্দটি ব্যবহৃত হয়।এই ধরনের অন্তর্ভুক্তির স্বীকৃতি হিসেবে আদ্যহ্মরটির একটি জনপ্রিয় পাঠান্তরে ইংরেজি"কিউ"(Q) অহ্মরটি মুক্ত করা হয় যৌন অভিমুখিতার স্থলে কুইয়্যার বা কোয়েশ্চনিং (প্রশ্নবিদ্ধ) বোঝাতে "LGBTQ" বা "GLGBTQ" 1996 সাল থেকে নথিভুক্ত করা হয়।
2. তৃতীয় লিঙ্গ -
প্রাথমিক অর্থে সমাজজীবনে দুই দিক থেকে সাধারণত দেখি পুরুষ ও নারী। সামাজিক ভাবে নির্মিত এই দুই সতর্কতা ছাড়াও আর এক ধরনের ব্যক্তি সতর্কতা আমরা লহ্ম করি তা হল পুরুষ ও নারীর মধ্যবর্তী এক লিঙ্গ যা তৃতীয় লিঙ্গ নামে পরিচিত।লিঙ্গের সংজ্ঞায় বলা হয়েছিল যে,এই ধারনার ভিত্তি জৈবিক লিঙ্গ এবং সমাজ ও কৃষ্টির মাধ্যমে অর্জিত মানসিক গঠন। অর্থাৎ জন্মসূত্রে স্বাভাবিক যৌনাঙ্গের ভিত্তিতে একজন নারী বা পুরুষ হিসেবে চিহ্নিত তখন তার অর্জিত ধারণা, বিশ্বাস, আচার আচরণ,ব্যক্তিত্ব ইত্যাদির মাধ্যমে গড়ে ওঠে লিঙ্গ বোধ,আত্মপ্রত্যয় এবং লিঙ্গ পরিচয়।
যদি নানা কারণে এমন ঘটনা ঘটে যে শিশুর জন্মের সময় তার মধ্যে পুরুষ ও নারীর জননাঙ্গ দুইই বর্তমান অথবা কোনোটিই সম্পূর্ণভাবে গঠিত হয়,তখন তার পহ্মে নিজেকে একজন নারী অথবা পুরুষ হিসেবে ভাবতে বা পরিচয় দিতে সমস্যা হয়। অর্থাৎ তারা নারী ও পুরুষ নয়,মধ্যবর্তী কিছু।এই জাতীয় ব্যক্তিরাই তৃতীয় লিঙ্গভুক্ত। ভারতবর্ষ হল একটি গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র।2011 সালের আদমশুমারি অনুসারে ভারতে আনুমানিক 4,87,803 জন ট্রান্সজেন্ডার রয়েছে। ভারতীয় সমাজে এদের কোনো স্বীকৃতি নেই।এরা মানসিক অধিকার গুলি থেকে বঞ্চিত। রূপান্তরকামী ও তৃতীয় লিঙ্গেরা ভোটে দাঁড়াতে পারে না,চাকুরি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য হ্মেত্রে বৈষম্যের শিকার, উপরন্তু সামাজিক জীবনে বঞ্চনা, অবহেলা, বৈষম্য,হেনস্থা, বিদ্রুপ,কটাহ্ম, কটুক্তি প্রভৃতি নিত্যসঙ্গী।
• রূপান্তরকামী -
"Transgender" শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোচিকিৎসক John F Oliven তাঁর প্রনীত গ্ৰন্থ "Sennal Hygiene And Pathology" তে 1965 খ্রিস্টাব্দে। মানুষের লিঙ্গ পরিচয় ঘটে দুইভাবে তার একটি জৈবিক ভাবে এবং অপরটি হল সামাজিক ও মানসিক ভাবে। কোনো একজন ব্যক্তি জৈবিক ভাবে নারী হওয়া সত্ত্বেও পুরুষ হওয়ার প্রত্যাশা পোষন করে সেই অনুযায়ী পুরুষ সুলভ আচরন সম্পাদন করতে উদ্যোগী হন।এই ভাবে শরীরবৃত্তীয় ও অঙ্গ সংস্থান গত বৈশিষ্ট্য সমন্বিত পুরুষ যখন নিজেকে নারীত্ব প্রদর্শন করতে চায় অথবা নারী যখন পুরুষত্বের প্রদর্শন করতে চায় তখন তারা "রূপান্তরকামী" বা "Transgender" হিসেবে পরিচিত লাভ করেন।
চিকিৎসকদের ব্যাখ্যা অনুসারে বেশিরভাগ হ্মেত্রেই এই রূপান্তরকামীদের এই ধরনের মানসিক টানাপোড়েনের বিষয়টি ঘটে থাকে কৈশোর কালেই এবং এই কারনে বেশিরভাগ হ্মেত্রেই কম বয়সি রূপান্তর কামীরা অস্ত্রোপচারের জন্য চিকিৎসকের নিকট ছুটে আসেন। আবার এমন ঘটনাও ঘটে যে পুরুষ লিঙ্গ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয়ে কোনো ছেলে নিজেকে ছেলে বা পুরুষ জৈবিক লিঙ্গের অন্তর্গত সদস্য হিসেবে মেনে নিতে না পারলেও ভেতরে ভেতরে মানসিক দিক থেকে নারী হওয়া সত্ত্বেও পরিবারের চাপে পুরুষ হয়েই থাকতে হয়।বিয়ে, সংসার,ধর্ম পালনও করতে হয়, কিন্তু মানসিক সমস্যা থেকেই যায়। প্রকৃতপক্ষে এই সমস্ত মানুষগুলির প্রধান সমস্যা হল লিঙ্গ পরিচিতির সংকট। রূপান্তরকামীরা আজও সমাজে অনেকখানি ব্রাত্য,তাঁর সেটা পদে পদে টের পান।
শারীরবৃত্তীয় ও অঙ্গ সংস্থানগত বৈশিষ্ট্য সমন্বিত পুরুষ যখন নিজেকে নারীত্ব প্রদর্শন করতে চায় অথবা নারী যখন পুরুষত্বে প্রদর্শন করতে চায় তখন তারা "রূপান্তরকামী" বা "Transgender" হিসেবে পরিচিত লাভ করে।সম্প্রতি ভারতের সর্বোচ্চ আদালত (সুপ্রিমকোর্ট) 2014 সালে তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে রূপান্তর কারীদের স্বীকৃতি দিয়েছেন।
3. তৃতীয় লিঙ্গের সম্পর্কিত সমস্যাসমূহ -
১. ব্যক্তির পরিচয় ও পিতৃপরিচয় -
তৃতীয় লিঙ্গ বলতে নারী ও পুরুষের মধ্যবর্তী কিছু কে বোঝায়।তাই প্রাথমিকভাবে তারা যে সমস্যার সম্মুখীন হয় তা হল তাদের ব্যক্তি পরিচয় এবং পিতৃপরিচয়। কারণ প্রত্যেক পুরুষ ও নারীর ব্যক্তি পরিচয় ও পিতৃপরিচয় রয়েছে কিন্তু তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিরা না পুরুষ হিসেবে না নারী হিসেবে পরিচয় পাই নি।ফলে তারা ব্যক্তি পরিচয় ও পিতৃপরিচয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
২. জন্মগ্ৰহনের পর ত্যাগ -
অনেক সময় দেখা যায়, হাসপাতালে কোনো প্রসূতি নারী শিশু জন্মদানের পর যখন জানতে পারেন যে নবজাত শিশু তৃতীয় লিঙ্গের। তখন পারিবারিক ভাবে শিশুকে ত্যাগ করে।
৩. বাড়ি থেকে বিতাড়ন করা -
কোনো পরিবারের একবার যদি শিশু সন্তানের বাবা মা জানতে পারেন তার লিঙ্গ পরিচিতির জনিত সমস্যা আছে তাহলে বাড়ি থেকে তাকে বিতাড়িত করার চেষ্টা হয় বহু হ্মেত্রেই।
৪. নিপীড়ন জনিত সমস্যা -
সমাজ জীবনে তৃতীয় লিঙ্গের অন্তর্গত এই ব্যক্তিগন কোনো সম্মান বা শ্রদ্ধা পান না।লিঙ্গ পরিচিতির জনিত সমস্যার কারণে এই সমস্ত ব্যক্তিদের সমাজে কোনো স্বীকৃতি দেওয়া হয় না বলে কার্যত তারা নিপীড়িত হন। সমাজে তারা করুনার পাত্র হিসেবে বিবেচিত হন।
৫. অবাঞ্চিত মনোযোগ জনিত সমস্যা -
জনসমাজে স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অতিবাহিত করার সুযোগ তারা পান না, সমাজের বিভিন্ন ব্যক্তিগন তাদের প্রতি অবাঞ্চিত মনোযোগ নিয়ে তাদের কে অস্বস্তিতে ফেলে দেয়।বিদ্রুপ,শাস্তি,অপব্যবহার, অসম্মান জোটে তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের।
৬. অশ্রদ্ধা জনিত সমস্যা -
তৃতীয় লিঙ্গ ব্যক্তিগত জীবনে প্রায় প্রতিটি হ্মেত্রেই তাদের অশ্রদ্ধার মুখোমুখি দাঁড়াতে হয়। সমাজ থেকে সামান্য টুকু শ্রদ্ধা তারা পান না। শুধুমাত্র নবজাত শিশুর আর্শীবাদ করা ও নব দম্পতিকে আর্শীবাদ করা।এই দুটি কাজের জন্য সামান্য শ্রদ্ধা পায়।তবে তা সবহ্মেত্রে নয়।
৭. সামাজিক সমস্যা -
সামাজিক সম্পর্ক স্থাপন, সমাজ অনুমোদিত মান অনুযায়ী আচরন করা এবং নিজেকে পুরুষ বা নারী হিসেবে ঘোষণা করে নিজেকে কোনো একটি দলভুক্ত না করা হলে মানসিকভাবে অন্যদের সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধান করা কঠিন হয়। তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের সম্পর্কে নানা কুসংস্কার তাদের দূরে সরিয়ে রাখে।এই সমস্ত কারণে তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিরা নিজেদের স্বতন্ত্র সম্প্রদায় হিসেবে ধরে নিয়ে কিছুটা বিচ্ছিন্নতার মনোভাব পোষন করে।
৮. শিক্ষা হ্মেত্রে ভর্তি,প্রবেশ ও শিক্ষা লাভে সমস্যা -
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বা বিদ্যালয়ের ভর্তি হ্মেত্রে প্রত্যেক আবেদনকারী শিক্ষার্থীর তাদের লিঙ্গ পরিচয় লেখা বাধ্যতামূলক।তাই তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের লিঙ্গ পরিচয় না থাকায় তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তি বা প্রবেশ করতে পারে না। আবার অনেক সময় দেখা যায়, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের বিদ্যালয়ের ভর্তি নেয় না,কারন এতে বিদ্যালয়ে সম্মান ও অন্যান্য শিক্ষার্থীরা উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
৯. অন্য শিহ্মার্থীর সঙ্গে মেলামেশা সমস্যা -
অনেক সময় দেখা যায়, যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বা বিদ্যালয়ের ভর্তি হওয়া কোনো তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তির সঙ্গে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা মেলামেশা করতে চাই না বা কথোপকথন বলতে চাই না।শ্রেণিকহ্মে তৃতীয় লিঙ্গের শিক্ষার্থীকে বুঝিয়ে দেওয়া হয় যে সে পৃথক এবং সেই তৃতীয় লিঙ্গের শিক্ষার্থী একা থাকতে বাধ্য করা হয়।এতে একটি নেতিবাচক আচরণ প্রতীতি এবং নিম্ন আচরণ মর্যাদাবোধ সৃষ্টি করে।তার ফলে বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারলেও পড়া শেষ করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
১০. মানসিক সমস্যা -
তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের ব্যক্তিত্ব ও মানসিক গঠন অন্য ব্যক্তিদের থেকে আলাদা হয়। তাদের প্রহ্মোভের অভিব্যক্তি ও প্রহ্মোভমূলক আচরণ এই কারণেই কিছুটা হলেও ভিন্নতর।
১২. নৈতিক সমস্যা -
তৃতীয় লিঙ্গের প্রতি মানবিক আচরন, তাদের নাগরিক অধিকার ও মানবাধিকার আইনত স্বীকৃত হলেও বহু সমাজে ওই নৈতিক বিষয়টি অবহেলিত হয়।এই কারণে একজন তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিকে প্রাপ্ত নাগরিক মর্যাদা থেকে বঞ্চিত করলেও সেটা অনৈতিক বলে মনে হয় না।
১৩. বৈষম্য জনিত সমস্যা -
তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের সবচেয়ে বড়ো সমস্যা হল বৈষম্য।তারা প্রতিটি ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হন। শিক্ষা,স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান,আনন্দ বিনোদন,আইনগত প্রভৃতি অধিকার থেকে তাদের বৈষম্য লহ্ম করা যায়।
১৪. কর্মসংস্থান গত সমস্যা -
তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের অন্যতম সমস্যা হল কর্মসংস্থান। যেহেতু তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিরা শিক্ষা লাভ করতে পারেন না তাই শিহ্মাগত যোগ্যতা না থাকায় তারা সরকারি বা বেসরকারি সংস্থা চাকুরি বা স্বল্প শিহ্মাগত যোগ্যতার চাকুরিতে প্রবেশ করতে পারে না। আবার অনেকে সময় শিহ্মাগত যোগ্যতা থাকলেও তারা চাকরি পায় না।
১৫. গণিকাবৃত্তি -
তৃতীয় লিঙ্গ ব্যক্তিদের কর্মসংস্থানের সমস্যার কারণে অনেক সময় তাদের গণিকাবৃত্তি গ্ৰহন করতে বাধ্য করা হয়। এই ব্যবস্থাকরনের কাজে লিপ্ত থাকে তাদের সম্প্রদায়, বন্ধুবান্ধব,আত্মীয়স্বজন,এমনকি অনেক হ্মেত্রে তাদের পিতামাতারাই।
১৬. যৌন নির্যাতনের সমস্যা -
অনেক সময় দেখা যায়, তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের কর্মহ্মেত্রে বা অন্য কোনো হ্মেত্রে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সাধারণত যৌন নির্যাতনের নারী ও শিশুদের কথা প্রকাশ্যে আসলে সেই হ্মেত্রে তা আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের যৌন নির্যাতনের হলে তা সমাজের কাছে হাস্যকর হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু সেই ব্যক্তিটির কথা কেউ ভাবেন না, না সমাজ না আইন।
১৭. সুরহ্মা ও নিরাপত্তা জনিত সমস্যা -
তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হলেও তাদের সুরহ্মা ও নিরাপত্তা একান্ত অভাব রয়েছে।
নিম্নলিখিত সমস্যা গুলির কথা ভাবে এবং তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের অধিকার নিয়ে বিগত কয়েক দশক ধরে নানান ধরনের আন্দোলনের এবং আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের পরিচয় ও অধিকার সম্পর্কে।
4. আইনি স্বীকৃতির তাৎপর্য -
ভারতীয় আইনি স্বীকৃতি থাকার ফলে অন্যান্য নাগরিকরা সংবিধানের রহ্মাকবচ বলে যে সমস্ত সুযোগ সুবিধা, অধিকার ও দায়িত্ব কর্তব্যের রাখার আবদ্ধ এই সমস্ত ব্যক্তিরা তা থেকে বঞ্চিত।তার কয়েকটি হল -
- "Dr. S. Radharkrishnan Post- Doctoral Fellowship In Humanities And Social Sciences"
- "Swami Vivekananda Single Girl Child Scholarship For Research In Social Sciences"
- "Post- Doctoral Fellowship To Women Candidates"
- "Post- Doctoral Fellowship To SC/ST Candidates"
- "National Fellowship For Scheduled Caste Students"
- "Maulana Azad National Fellowship For Minority Students"
- "National Fellowship For OBC Candidate"
- 'Self Indentified Gender' অর্থাৎ ব্যক্তি নিজের পছন্দমতো লিঙ্গ পরিচয় নির্ধায়ন করতে পারবে বা লিঙ্গান্তরিত হতে পারবে এবং এদের কে আইনগত ভাবে সরকার 'Trans Gender' বা রূপান্তরকামী হিসেবে স্বীকৃতি দেবে।
- সরকার রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের সামাজিক ও শিহ্মাগত দিক থেকে পশ্চাদপদ হিসেবে বিবেচনা করবে এবং এদের জন্য চাকুরি ও শিহ্মাহ্মেত্রে সংরহ্মনের ব্যবস্থা করবে।
- অন্যান্যদের মতো Transgender দের স্বতন্ত্র HIV sero Survaillan প্রদানের ব্যবস্থা করবে এবং যথাযথ স্বাস্থ্য পরিসেবা প্রদানের ব্যবস্থা করবে।
- 2016 সালে 2য়া আগষ্ট রূপান্তরকামীদের স্বীকৃতি দেওয়ার লহ্ম্যে এবং অধিকারকে সুরহ্মিত করার জন্য লোকসভার Transgender Persons (protection Of Right) Bill,2016 পাস করা হয়েছে।
- এই বিলে বলা হয় সংবিধানে স্পষ্ট বলা হয়েছে লিঙ্গ,বর্ন,ধর্মের ভিত্তিতে কারও প্রতি কোনো বৈষম্য করা যাবে না এবং সেই অনুসারে রূপান্তরকামীদের বিরুদ্ধে বৈষম্য দূর করতে এই উদ্যোগ গ্ৰহন করতে হবে।
- রূপান্তরকামীদের যে অধিকার প্রদানের কথা বলা হয়েছে তা হল রূপান্তরকামীদের নির্দিষ্ট আবেদনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট জেলা শাসকের নিকট থেকে একটি পরিচয়পত্র পাবেন।
- শিক্ষাহ্মেত্রে রূপান্তরকামীদের বা তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের অবাধ প্রবেশ,ভর্তি এবং শিক্ষা লাভ ও উচ্চত্তর শিক্ষা লাভের ও বৃত্তি গ্ৰহণের সুযোগ করে করে দেওয়া হচ্ছে।
- কর্মক্ষেত্রে বা চাকরি জন্য রূপান্তরকামী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের আবেদন করার সুযোগ এবং চাকরিতে পদোন্নতি সুযোগ দিতে হবে।
- শিক্ষাহ্মেত্রে ও কর্মহ্মেত্রে এই ব্যাপারে রূপান্তরকামীদের সঙ্গে কোনো রকম অবিচার বা বৈষম্য করা যাবে না।
- রূপান্তরকামী বা তৃতীয় লিঙ্গ ব্যক্তিদের অভিযোগের মীমাংসার জন্য এই জাতীয় কাউন্সিল গঠন করা হবে। তাদের প্রতি কোনো প্রকার বৈষম্য বা নির্যাতন করা হলে শাস্তি পেতে হবে।
- রূপান্তরকামী বা তৃতীয় লিঙ্গ ব্যক্তিদের উন্নয়নে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কাজে সুযোগে প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনায় এ রাজ্যে কয়েকটি সংস্থা কাজ শুরু করে দিয়েছে।যেমন পশ্চিমবঙ্গে কলকাতার "কলকাতা রিস্তা" নামে রাজ্যের ট্রান্সজেন্ডাদের একটি সংগঠন। তাদের কাছে নানান প্রশিক্ষণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনায়।
6. উপসংহার -
পরিশেষে বলা যায়, ভারতীয় সমাজে পুরুষ ও নারীদের ন্যায় হয়তো তৃতীয় লিঙ্গের সংখ্যা কম। তবুও প্রত্যেক মানুষের মতো এদেরও সসম্মানে বাঁচা অধিকার রয়েছে। তাঁদের কর্ম, শিক্ষা,বসাবস,স্বাস্থ্য, সুষ্ঠ ও জীবনযাপন এবং সবচেয়ে প্রয়োজনীয় হল তাদের ব্যক্তিত্ব ও পিতৃপরিচয়।তাই দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে তাদের সংগ্ৰাম ও আন্দোলন গুরুত্বপূর্ণ। ভারতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আইন দ্বারা তাদের স্বীকৃতি ও অন্যান্য সমস্ত অধিকার পেয়েছে এবং পাবে।হয়তো ভবিষ্যতে এদের পরিচয়, অধিকার ও মর্যাদা গত উন্নয়নের জন্য আরো নতুন এবং ভালো পদহ্মেপ নেওয়া হবে।
CLICK HERE -