গঙ্গা দূষণ||Ganga Pollution

গঙ্গা দূষণ||Ganga Pollution

গঙ্গা দূষণ||Ganga Pollution

BENGALI VERSION ENGLISH VERSION

Ganga Pollution (Concept, Ganga River,Cause, Effect And Prevention, Workshop)
Ganga Pollution

Assignment Questions -

1. গঙ্গার দূষণ সম্পর্কে ধারণা দাও।Give An Idea About Ganga Water Pollution.

2. জলদূষণের মধ্যে নদী দূষণ সম্পর্কে ধারণা দাও।Give An Idea About River Pollution In Water Pollution.

গঙ্গা জলদূষণ -

BENGALI VERSION -

(ENGLISH VERSION FILE BELOW THE ARTICLE BY PDF FORMAT)

1. ভূমিকা -

গঙ্গা নদী হল বিশ্বাস,আশা, সংস্কৃতি এবং বিচহ্মণতার প্রতীক। অনাদিকাল থেকে লহ্ম লহ্ম মানুষের জীবিকা নির্বাহের উৎস।এটি ভারতীয় উপমহাদেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় ঐতিহ্যের কেন্দ্রবিন্দু এবং বিশেষভাবে হিন্দু ধর্মের পবিত্রতার প্রতীক। কিন্তু আজ সেই গঙ্গা প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে মানুষের ক্রিয়াকলাপের দ্বারা।একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, বর্তমানে গঙ্গা যে পরিমাণে দূষণের মাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।তাই বর্তমানে গঙ্গাকে বিশ্বের পঞ্চম সবচেয়ে দূষিত নদী হিসেবে বিবেচিত করা হয়েছে। পৃথিবীতে জল দূষণে মধ্যে শতকরা একটি অংশ হিসেবে নদী দূষণকে ধরা হয়।আর ভারতবর্ষে দীর্ঘতম নদী হল গঙ্গা।যার দূষণ একটি চিন্তার বড়ো কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমানে।তাই জলদূষন মধ্যে নদী দূষণ হিসেবে গঙ্গার জল দূষণ বা গঙ্গা দূষণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

2. গঙ্গা নদী -

ভারতবর্ষের দীর্ঘতম নদী হল গঙ্গা।গঙ্গা নদী হল ভারতের শ্রেষ্ঠ প্রধান নদী।

• উৎস - 

গঙ্গা কুমায়ুন হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহের গোমুখ নামে তুষার গুহা থেকে ভাগীরথী নামে উৎপন্ন হয়।

• উচ্চগতি -

গোমুখ নামে তুষার গুহা থেকে উৎপন্ন হয়ে সংকীর্ণ গিরিখাতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে দেবপ্রযোগে অলকানন্দার সঙ্গে মিলিত হয়েছে এবং এই দুই মিলিত স্রোত গঙ্গা নামে পরিচিত হয়েছে।

• মধ্যগতি -

গঙ্গা পরে শিবালিক পর্বত অতিক্রম করে হরিদ্বারের কাছে সমভূমিতে অবতরণ করেছে।পরে বিহারের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে রাজমহল পাহাড় পর্যন্ত মধ্যগতি।

• নিন্মগতি -

গঙ্গা বিহারের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে রাজমহল পাহাড়ের কাছে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করে কিছু দূর প্রবাহিত হয়ে মুর্শিদাবাদ জেলার মিঠিপুরের কাছে ভাগীরথী ও পদ্মা নামে দুটি শাখায় বিভক্ত হয়েছে।

Ganga River (Howrah bridge)
Ganga River (Howrah bridge)

• মিলন স্থল -

গঙ্গা পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে।

• দৈর্ঘ্য -

এর মোট দৈর্ঘ্য 2525 কিলোমিটার প্রবাহিত হচ্ছে।

• নদী অববাহিকা অঞ্চল -

1.32 Million Km²

• উপনদী -

গঙ্গার প্রধান উপনদী যমুনোত্রী হিমবাহ থেকে উৎপন্ন হয়ে এলাহাবাদ বা প্রয়োগে এসে ডান দিক থেকে গঙ্গায় পতিত হয়েছে,তাই এটি গঙ্গার ডানতীরের উপনদী।চম্বল,বেতোয়া,কেন প্রভৃতি যমুনার উল্লেখযোগ্য উপনদী,এরা দাহ্মিণাত্য মালভূমি থেকে উৎপন্ন হয়েছে।গঙ্গার ডান তীরের উপনদী গুলোর মধ্যে শোন নদীটি সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য,এটিও দাহ্মিণাত্য মালভূমি থেকে উৎপন্ন হয়েছে। ব্রাক্ষ্মণী,ময়ূরাক্ষী,অজয়,দামোদর, রূপনারায়ণ,কাঁসাই প্রভৃতি উপনদী গুলো ভাগীরথী হুগলি নদীর দক্ষিণ তীরে মিলিত হয়েছে।গঙ্গার বাম তীরের উপনদী গুলির মধ্যে রামগঙ্গা,গোমতী,ঘর্ঘরা, গণ্ডক,কুশি,মহানন্দা প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

• ব-দ্বীপ -

গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র মেঘনার ব-দ্বীপটি পৃথিবীর মধ্যে বৃহত্তম।

• প্রধান ও বিখ্যাত শহর ও তীর্থস্থান -

গঙ্গার তীরে কলকাতা,পাটনা,বেনারস,এলাহাবাদ, কানপুর,হরিদ্বার প্রভৃতি বিখ্যাত শহর ও তীর্থকেন্দ্রগুলি গড়ে উঠেছে।

3. গঙ্গা দূষণ -

গঙ্গা ভারতের দীর্ঘতম নদী,যা উত্তর ভারতের শিক্ষা, দীহ্মা,কৃষ্টি,সংস্কৃতি,কৃষি,শিল্প, বাণিজ্য ও বসতি সবকিছুতেই গঙ্গার আত্মিক যোগ রয়েছে। বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির এবং বাড়তি চাহিদা দরুন মানুষ প্রতিনিয়ত গঙ্গাকে দূষিত করছে।গঙ্গার তীরে গড়ে ওঠা শহর বা বৃহত্তম নগরের ক্রিয়াকলাপ গঙ্গার জলকে দূষিত করছে।

4. গঙ্গার জল দূষণের কারণ -

১. নর্দমা নিকাশি বর্জ্য জল -

গঙ্গার জল দূষিত হওয়ার প্রধান কারণ হল গঙ্গার তীরবর্তী শহরের থেকে নির্গত নর্দমা নিকাশী নালার বর্জ্য জল।গঙ্গা নদীটির 100000 জনসংখ্যার ১০০ টি শহরের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়।গঙ্গা নদীর তীরে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও উত্তর প্রদেশেই বড় বড় শহরের সংখ্যা 27 টি।একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে,বড় বড় শহর গলি থেকে নর্দমা নিকাশী নালার মধ্যে দিয়ে সমস্ত ধরনের আবর্জনা গঙ্গায় ফেলার জন্যে দূষিত হচ্ছে।যার দৈনিক পরিমান হল 120 কোটি লিটার।এই শহরগুলি থেকে মলমূত্র, বর্জ্য,আবর্জনা,গৃহস্থালির ব্যবহৃত জল নর্দমা নিকাশী জল হিসেবে প্রতিদিন গঙ্গায় মিশে গঙ্গার জলকে ভয়াবহ দূষণের দিকে ঠেলে দিয়েছে।

২. শিল্পজাত বর্জ্য জল -

গঙ্গার জল দূষণ অন্যতম প্রধান কারণ হল শিল্পজাত বর্জ্য জল।ভারতবর্ষে মূলত গঙ্গা নদীর তীরে বিভিন্ন শিল্প ও কলকারখানা গড়ে ওঠছে এবং এই সমস্ত শিল্প ও কলকারখানা থেকে শিল্পজাত আবর্জনা সাধারণত তামা,সীসা,দস্তা,সোডিয়াম,ক্যাডমিয়াম,সালফার,ফসফরাস, ক্লোরিন,লেড প্রভৃতি প্রতিদিন গঙ্গা নদীতে ফেলার জন্য বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ সমুহ জলে মিশেছে এবং গঙ্গা দূষিত হচ্ছে। বিভিন্ন শিল্প গুলির মধ্যে পাট,চামড়া,বয়ন, ইঞ্জিনিয়ারিং, রাসায়নিক শিল্প প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। 

৩. তাপজনিত উষ্ণ জল -

কয়লা বা তেজস্ক্রিয় পদার্থ দ্বারা চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি জলে তাপীয় দূষণের সঙ্গে যুক্ত। গঙ্গা নদীতে বিভিন্ন জায়গায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে উঠেছে এই তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা বা জীবাশ্ম জ্বালানির দহনে উৎপন্ন প্রতি 41.8 জুল তাপশক্তির মধ্যে 16.7 জুল তাপশক্তির অপচয় এখনো ঘটে।কনডেনসারকে ঠান্ডা করার জন্য গঙ্গা নদী থেকে জল নেওয়া হয় এবং শীতলীকরণ করার পর এই উষ্ণ জল পুনরায় গঙ্গা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।তখন এই জলে তাপমাত্রা থাকে ১০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস বা তার বেশি হয়।এই উষ্ণ জলের ক্ষতিকারক প্রভাবে জলজ জীবকুল বিনষ্ট হয় এবং গঙ্গা নদী দূষিত হয়।

৪. কৃষিজ বর্জ্য -

ভারতবর্ষ একটি কৃষি প্রধান দেশ।তাই গঙ্গা নদীর জলের উপর ভিত্তি করে কৃষিকাজ হয়ে থাকে উত্তর ভারতের। এই কৃষি কার্যে ব্যবহৃত রাসায়নিক যেমন কৃত্রিমভাবে উৎপাদিত রাসায়নিক সার এবং কীটনাশক।এইসব কৃষি জনিত রাসায়নিক পদার্থ বাতাসের উড়ে কিংবা কৃষি ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত নালা বা খালের জলে মিশে গঙ্গায় এসে পড়ে,যার ফলে গঙ্গার জল দূষিত হয়।

৫. মানুষের সামাজিক জীবন -

ভারতবর্ষের বহু অঞ্চলে আজও কাপড় কাচার  ডিটারজেন্টের জলে এসে মিশেছে।এছাড়াও গঙ্গার পাড়ে মলমূত্র ত্যাগ,গবাদি পশু স্নান করালে,দরিদ্র পরিবারের সৎকারের খরচের অভাবে গঙ্গাজলে মৃতদেহ নিক্ষেপ করলে গঙ্গার জলে রোগ জীবাণুর সংখ্যাধিক্য ঘটে গঙ্গার জল দূষিত হচ্ছে। 

৬. ধার্মিক মতাদর্শ -

ভারতবর্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের বারো মাসে তেরো পাবনের সমস্ত দেব-দেবীর প্রতিমা বিসর্জন,পূজোর ফুল, বেলপাতা, কলা বউ ফেলা এবং পূজার বাদবাকি উপকরণ গুলি গঙ্গার জলে ফেলে দেওয়া হয়। এছাড়াও হরিদ্বার ও বারানসী ঘাট গুলিতে প্রতিদিন অনেক ফুল ফেলা হয় যা, গঙ্গা জলদূষণের অন্যতম কারণ।

৭. প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যা -

বর্ষার সময় বৃষ্টির জল দ্বারা গঙ্গার জল উপকূলবর্তী অঞ্চলে প্লাবিত হয় যা চাষের জমি থেকে শুরু করে স্থলভাগকে বসবাসকারী মানুষের স্থান সহ বিভিন্ন জায়গায় বন্যার সৃষ্টি হয়।ফলে নর্দমা জল ও কৃষিজমি থেকে ধুয়ে জল নদীপথে গঙ্গায় এসে পড়ে।ফলে গঙ্গার জল দূষিত হয়। 

৮. মানুষের অসচেতনতা বোধ -

অনেক সময় মানুষের নিজের সচেতনতা বোধের অভাবে বিভিন্ন বর্জ্যজাত দ্রব্য ও আবর্জনা গঙ্গায় ফেলে দেয়,যা গঙ্গার জল দূষণের অন্যতম একটি কারণ।

৯. পলল দূষক -

গঙ্গা নদীর উপকূলবর্তী অঞ্চলে প্রাকৃতিক ক্রিয়ার ভূমিহ্ময়ের ফলে গঙ্গার নদীর জলে পলি ও কাদা যুক্ত হয়।গঙ্গার উপরিভাগে জলে মিশ্রিত পলি হল একটি ভয়াবহ জলদূষক।গঙ্গার তলদেশে অক্সিজেন অনুপস্থিতিতে পলি বিজারিত অবস্থায় থাকে।থিতিয়ে পড়া ভাসমান পলিকণায় মাটির থেকে বেশি পরিমাণ জৈব পদার্থ থাকে। এমতাবস্থায় তলদেশে থাকা মৃত্তিকাকণা গুলির মধ্যে আয়নের আদানপ্রদান ঘটে থাকে।এই পলি কণাগুলির স্বল্পমাত্রিক মৌলিক উপাদান।যেমন - Cr,Cu,Mo,Ni,Co এর উৎস বটে।যা গঙ্গা নদীর জল দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ হিসাবে ধরা হয়।

১০. তৈলাক্ত দূষণ -

গঙ্গার নিম্ন গতিতে অর্থাৎ কলকাতা বন্দরে আগত এবং জাহাজ কর্তৃক পরিত্যক্ত পোড়া জ্বালানি তেল ও কয়লার অবশেষ গঙ্গার ফেলার ফলে গঙ্গা জলকে দূষিত করছে।

১১. বাঁধ নির্মাণ -

গঙ্গা নদীর উপর বিভিন্ন সময় বাঁধ নির্মাণ করে গঙ্গার জলকে সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।যা একটি খুব ভালো দিক। কিন্তু এই বাঁধ নির্মাণের ফলে গঙ্গার তলদেশে লবণাক্তের পরিমাণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে যা গঙ্গার জলকে দূষণে সহায়তা করছে।

5. গঙ্গা জল দূষণের প্রভাব -

  1. গঙ্গার জলে ভাসমান পলিকণা মাছ,শামুক,ঝিনুক প্রভৃতির ফুলকায় আবরণ তৈরী করার জন্য এই সব জলজ প্রাণীদের শ্বাসকার্যে ব্যাঘাত ঘটে।
  2. নদীর বাস্তুতান্ত্রিক ভারসাম্যতা নষ্ট হয় এবং জীববৈচিত্র্যের অবলুপ্ত হচ্ছে।
  3. গঙ্গা নদীতে আর্বজনা ও বর্জ্য পদার্থ জমতে থাকার ফলে নদীর নাব্যতা নষ্ট হয়।
  4. নদীতে আর্বজনা জমার ফলে নদীর গভীরতা হ্রাস পায়,তার ফলে নৌ পরিবহনের অযোগ্য হয়ে যায়।
  5. পলি ও আর্বজনা ফলে কৃত্রিম বন্যার সৃষ্টি হয়।
  6. নদীর গতিপথের পরিবর্তন এবং নদীর পাড় ভাঙনে সৃষ্টি হয়।
  7. নদীর ভাঙনের ফলে কৃষিজমিতে হ্মতি দেখা যায়।যার ফলে উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
  8. দূষিত জল দিয়ে চাষের জমি সেচ করলে মৃত্তিকা দূষণ ঘটতে পারে।
  9. গঙ্গার বিশুদ্ধতা নষ্ট হচ্ছে।
  10. গঙ্গার মাছের উৎপাদনের হার হ্রাস পাচ্ছে।
  11. গঙ্গা অববাহিকা বরাবর বাঁধ নির্মাণের ফলে পার্শ্ববর্তী বনাঞ্চলকে নিশ্চিহ্ন করতে পারে। অর্থাৎ বনভূমি পরিবেশের উপর একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
  12. গ্ৰীষ্মকালীন ও বর্ষাকালীন সময়ে গঙ্গা নদী জল পান করার ফলে বহু শিশু জলবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়।যেমন - অন্ত্রের, আমাশয়,কলেরা, হেপাটাইটিস, ডায়রিয়া প্রভৃতি।
  13. আগে পূজার জন্য গঙ্গার জল ব্যবহৃতি হত বর্তমানে দূষণে ফলে পূজার প্রতি গ্ৰহণযোগ্যতা কমেছে।

6. গঙ্গা নদী দূষণ নিয়ন্ত্রণের উপায় -

  • বড় বড় শহরগুলি থেকে আর্বজনা বা বর্জ্য সরাসরি গঙ্গা নদীতে না ফেলে খালগুলির মুখ অন্যদিকে ফেরানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
  • গঙ্গা নদীতে শহরের কিংবা শিল্পজনিত বর্জ্য বা আর্বজনা বা নর্দমা নিকাশী নোংরা ময়লা জল ফেলার আগে পরিশোধন করে ফেলতে হবে।2020 সালের ইন্দো মার্কিন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফোরামের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে বিষাক্ত ভারী ধাতু গুলির পরিপ্রেক্ষিতে সাম্প্রতিক বছর গুলিতে পরিচ্ছন্নতার মাত্রা উল্লেখযোগ্য ভাবে উন্নত হয়েছে। 
  • গঙ্গা নদীর তীরবর্তী স্নানের ঘাটগুলির সংস্কার করা প্রয়োজন।
  • শ্মশান গুলিতে ইলেকট্রিক চুল্লীর ব্যবহার আবশ্যক করা।
  • গঙ্গার পাড়ে মলমূত্র ত্যাগ করতে না দিয়ে কম খরচে বেশী সংখ্যক শৌচাগার নির্মাণ করতে হবে।
  • বনসৃজন বা অন্যান্য সঠিক পদহ্মেপ নিয়ে গঙ্গার তীরের ভূমিহ্ময় রোধ করা।
  • কলকারখানা থেকে শিল্পজনিত বর্জ্য পদার্থের নির্গমনের আগে পরিশোধন আবশ্যক করা এবং এই বিষয়ে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রয়োজনে আরো কঠোর হওয়া।
  • গঙ্গায় জলের প্রবাহ নিয়মিতকরণ।
  • কৃষিকাজে প্রয়োজনে বিষাক্ত কৃষিজমিতে রাসায়নিক পদার্থ সমুহের ব্যবহার বন্ধ করা।
  • আইন প্রনয়ন করে পুরসভা গুলিকে এবং কলকারখানার মালিক বা শিল্পপতিদের বর্জ্য বা আর্বজনা গঙ্গার নিষ্ক্রমন রোধ করা।
  • গঙ্গা দূষণ সম্বন্ধে জনগনকে সচেতন করানো অতি অবশ্য কর্তব্য কারণ আইনের প্রয়োগ এবং পাড় বাঁধিয়ে বা গাছ লাগিয়ে গঙ্গার সৌন্দর্যায়ন কেবলমাত্র মানুষেরই কাজ।
  • গঙ্গা দূষণকারী ব্যক্তি বা শিল্পপতি বা পুরসভার উপর কড়া নজরদারি বহাল রাখতে হবে যাতে গঙ্গার জলে জল দূষক কোনও পদার্থ ফেলতে না পারে।
7. গঙ্গার জল দূষণে বিভিন্ন পদহ্মেপ -
গঙ্গার জল দূষণের জন্য যে সমস্ত কর্মসূচি গ্ৰহন করা হয়েছে,সেই গুলি হল -
  1. গঙ্গা মহাসভা।
  2. গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান
  3. জাতীয় নদী গঙ্গা অববাহিকা কর্তৃপহ্ম (N.R.G.B.A.)।
  4. সরকারী সাফাই অভিযান 2010।
  5. নামামি গাঙ্গে প্রোগ্ৰাম।
  6. গঙ্গা মান্থান।
8. উপসংহার -
গঙ্গা হল ভারতের দীর্ঘতম নদী। ভারতের বিশেষ করে উত্তর ভারতের শিক্ষা,দীহ্মা,কৃষ্টি,সংস্কৃতি,কৃষি,শিল্প, বাণিজ্য ও বসতি সবকিছুতেই গঙ্গার আত্মিক যোগ রয়েছে।প্রধানত শহর ও নগরের আবর্জনা ও বজ্র পদার্থ গঙ্গার জলে মিশে গঙ্গার নদী জল দূষিত হচ্ছে।গঙ্গা নদী ও তার উপনদী,শাখা নদীসহ গঙ্গা নদী উপত্যকা ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রাকৃতিক সম্পদ। তাই ভারতবাসী হিসাবে গঙ্গার নদী রহ্মা করা আমাদের একান্ত কর্তব্য।

CLICK HERE -

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post