ভার্চুয়াল বিশ্ববিদ্যালয়||virtual University
BENGALI VERSION||ENGLISH VERSION
ভার্চুয়াল বিশ্ববিদ্যালয়||Virtual University
BENGALI VERSION
(ENGLISH VERSION PDF FILE BELOW THE ARTICLE)
1. Virtual University -
ভার্চুয়াল বিশ্ববিদ্যালয় হল একটি অনলাইন শিখন প্রতিষ্ঠান। ভার্চুয়াল বিশ্ববিদ্যালয় বলতে সেই সমস্ত কোর্স গুলিকে যেগুলি অনলাইন মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দ্বারা পরিচালিত হয়। অর্থাৎ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইন মাধ্যমে শিখন প্রদান করে,তাকে ভার্চুয়াল বিশ্ববিদ্যালয় বলে। এখানে ইন্টারনেট ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন রকম ক্লাস ও সেমিনার প্রদান করা হয়। অনলাইনে শিখন বা ই-শিখনের মতো এখানে শিক্ষার্থীদেরকে কম্পিউটার বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক যন্ত্র ব্যবহার করে ইন্টারনেটের সাহায্যে শিহ্মাগ্ৰহন করতে হয়। এখানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইন্টারনেটে শিখনের ব্যবস্থা করে এবং ডিগ্ৰি প্রদান করে থাকে।
অনেক সময় দেখা যায় যে অনেক ছেলেমেয়ে সরাসরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে শিহ্মা লাভ করতে পারে না বা সরাসরি গিয়ে শিক্ষা লাভ করার মতো সময় থাকে না।আর ঠিক এই কারণেই ভার্চুয়াল বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছিল।এর প্রধান লহ্ম্য ছিল সকলের মধ্যে শিহ্মার সুযোগ সরবরাহ করা, যেতে করে তারা বাড়িতে বসেই শিহ্মা কার্য চালিয়ে যেতে পারে।এই অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট কোর্স,ব্যাচেলর কোর্স ও মাস্টার ডিগ্ৰি,ডক্টরেটের মতো বিভিন্ন কোর্স সমাপ্ত করতে পারে।
ভার্চুয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শিহ্মক শিহ্মিকার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে এবং বিভিন্ন রকম সমস্যা জানতে পারে। এছাড়াও বিভিন্ন রকম ফোরামে শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারে।এর ফলে শিহ্মার্থীরা যেমন তাদের বিষয় সংক্রান্ত সমস্যা জানতে পারে, তেমনি তার সমাধানের সঠিক পথ পেতে পারে।এর ফলে তারা সঠিকভাবে শিহ্মা গ্ৰহনে সমর্থ হয়।এই সমস্ত কারণে বর্তমান যুগে ভার্চুয়াল বিশ্ববিদ্যালয় বেশ জনপ্রিয় এবং শিহ্মার একটি অন্যতম মাধ্যম হিসেবে তৈরি হয়েছে।
2. Virtual University এর বৈশিষ্ট্যাবলী -
- অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে ভার্চুয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারনাটি নির্মিত হয়েছে।
- ভার্চুয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো প্রকার লেকচার হল,অডিটোরিয়াম, শ্রেণিকক্ষ,ল্যাবস বা কোনো ক্যাম্পাস থাকে না।
- ভার্চুয়াল বিশ্ববিদ্যালয় হল একটি ম্যানেজমেন্ট অফিস দ্বারা পরিচালিত হয়।
- ভার্চুয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি উদ্দেশ্য হল সকল ছেলেমেয়েদের জন্য শিহ্মাগত সুযোগ বৃদ্ধি করা।
- ভার্চুয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিহ্মাগত কার্যপদ্ধতি দুরবর্তী শিক্ষার বিভিন্ন প্রক্রিয়া যেমন ই-লানিং,চিঠিপত্র, অনলাইন কোর্স,ভিডিয়ো,স্ব-লানিং ইত্যাদির মাধ্যমে পরিচালিত হয়
- ভার্চুয়াল বিশ্ববিদ্যালয় খুব সহজেই জ্ঞান ও দক্ষতাকে সকলের মধ্যে প্রসারিত করতে সহায়তা করে।
- ভার্চুয়াল বিশ্ববিদ্যালয় সুশৃঙ্খলা গবেষণা পদ্ধতি, প্রকাশনা বা গবেষণার ক্ষেত্রে প্রতিটি সদস্যের শিক্ষাগত পরামর্শের উপর নির্ভর করে থাকে।
- ভার্চুয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল সহযোগিতা, সাহায্য ও যোগাযোগ।
- ভার্চুয়াল বিশ্ববিদ্যালয় গুলি আইটি ও লজিস্টিক সংস্থাগুলির দ্বারা সমর্থিত এবং সদস্যদের আর্থিক ও শিহ্মাগত সুবিধা প্রদানের উদ্দেশ্যে অ্যাকাডেমিক কনসালট্যান্ট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে।
- ভার্চুয়াল বিশ্ববিদ্যালয় গুলি অ্যাকাডেমিক ও গবেষণার দিক দিয়ে বেসরকারি সংস্থা দ্বারা অনুমোদিত হয়ে থাকে।
- ভার্চুয়াল বিশ্ববিদ্যালয় গুলিকে স্বীকৃত সংস্থার দ্বারা মূল্যায়িত করা হয়ে থাকে।
- গতানুগতিক শিক্ষার মতো ক্লাস ভিত্তিক শিখনের প্রয়োজন হয় না।
- ভার্চুয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকার বা শিক্ষার্থীদের শারীরিক উপস্থিতির প্রয়োজন হয় না।
- এহ্মেত্রে মাল্টিমিডিয়ার সুবিধা ও তথ্য প্রযুক্তির সুবিধার কারণে উচ্চ গুণমান সম্পন্ন শিক্ষা দেওয়া সম্ভব হয়।
- শিক্ষার্থীরা খুব অল্প খরচের শিহ্মাকার্য চালাতে পারে।
- যে কোনো কোর্সে বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থীরা যোগদান করতে পারে।
- বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে উচ্চ শিক্ষা প্রদান করতে পারে।
- প্রযুক্তিগত উপাদানের মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়ার ফলে বেশি সময় ব্যয় করতে হয় না।
- নিজের থেকে শিক্ষা গ্ৰহনের ফলে শিহ্মার্থীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়।
- শিহ্মক শিহ্মিকার নতুন নতুন শিক্ষামূলক উপকরণ ও গ্ৰন্থের প্রস্তাব সহজে করতে পারে।
- নিজের সুবিধা মতো ক্লাসের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
- শিক্ষার্থীদের তাদের গোপনীয়তা ধরে রাখতে পারে।
- এটি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের নমনীয়তা প্রদান করে।
- শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে পঠন পাঠন করতে পারে।
- এখানে শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক শিহ্মা ব্যবস্থা দেওয়া হয়।
- এর মাধ্যমে সৃজনমূলক শিক্ষা প্রদান করা যায়।
- নিরবিচ্ছিন্ন ক্লাসভিত্তিক শিখন হওয়ার ফলে এখানে শিক্ষার্থীকে শিক্ষা গ্ৰহনের হ্মেত্রে প্রশিহ্মণ কোনো রূপ বাধা সৃষ্টি করতে পারে না।
- কোনো বিষয়ে শিক্ষা গ্ৰহন আরম্ভ করার হ্মেত্রে নির্দিষ্ট কোনো দৃঢ় নিয়ম নেই।
- শিক্ষার্থীদের চাহিদা ও সমস্যা গুলোর দিকে মনোযোগের অভাব লহ্ম করা যায়।
- এখানে কোনো বিষয়ে দ্রুত প্রতিক্রিয়ার অভাব লহ্ম করা যায়
- সফল ভাবে ব্যবহারিক শিক্ষা প্রদান করা সম্ভব হয় না।
- শিক্ষার্থীদের ও শিহ্মক শিহ্মিকার শারীরিক উপস্থিতি না থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের যদি কোনো সমস্যার সম্মুখীন হয় তাহলে তা তারা সরাসরি শিহ্মক শিহ্মিকাকে জানাতে পারে না।
- গতানুগতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো ভার্চুয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো কোর্স উপস্থাপন অতি দ্রুত গতিতে চলে না।
- এখানে শিক্ষার্থীকে কেবলমাত্র একজন গ্ৰাহক হিসেবে দেখা হয়,যা মোটেও কাম্য নয়।
- ভার্চুয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে শিক্ষা গ্ৰহনের জন্য কিছু প্রযুক্তিগত দহ্মতা প্রয়োজন,যা অনেক শিক্ষার্থীদের থাকে না।এর ফলে তারা সঠিকভাবে শিহ্মাগ্ৰহন করতে পারে না।
- নতুন নতুন প্রযুক্তির দহ্মতার চাহিদা বিভিন্ন ব্যক্তির মধ্যে দেখা যায়।যা এর মাধ্যমে মেটানো সম্ভব হয় না।
- ভার্চুয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের তদারকির কাজটি করা অনেক কঠিন।
- অনেক সময় প্রযুক্তিগত কোনো সমস্যার কারণে শিক্ষার্থীদের শিখনের বাধা সৃষ্টি হয়।
- ভার্চুয়াল বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু ইন্টারনেটের ব্যবহারের জন্য বেশি টাকা খরচ করতে হয়,যা অনেক শিক্ষার্থীর পহ্মে সম্ভব নয়।
- ভার্চুয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত ডিগ্ৰি সবাই খুব একটা গুরুত্ব প্রদান করে না।ফলে গতানুগতিক শিক্ষার প্রাপ্ত ডিগ্ৰির সঙ্গে এদের ব্যবধান সৃষ্টি হয়।