Place And Relevance Of Geography As A Social Science In School Curriculum||বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমের সামাজিক বিজ্ঞান হিসাবে ভূগোলের স্থান এবং প্রাসঙ্গিকতা

Place And Relevance Of Geography As A Social Science In School Curriculum||বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমের সামাজিক বিজ্ঞান হিসাবে ভূগোলের স্থান এবং প্রাসঙ্গিকতা

Place And Relevance Of Geography As A Social Science In School Curriculum||বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমের সামাজিক বিজ্ঞান হিসাবে ভূগোলের স্থান এবং প্রাসঙ্গিকতা

BENGALI VERSION||ENGLISH VERSION

Place And Relevance Of Geography As A Social Science In School Curriculum||বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমের সামাজিক বিজ্ঞান হিসাবে ভূগোলের স্থান এবং প্রাসঙ্গিকতা
Place And Relevance Geography As A Social Science In School Curriculum


(*** ENGLISH VERSION FILE BELOW THE ARTICLE BY PDF FORMAT)

বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমের সামাজিক বিজ্ঞান হিসাবে ভূগোলের স্থান এবং প্রাসঙ্গিকতা

BENGALI VERSION -


1. ভূমিকা -

সমাজের বিভিন্ন ও বৈচিত্র্যপূর্ণ বিষয়,যা সমাজ বিজ্ঞানের আওতাভুক্ত। ইতিহাস,ভূগোল,রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিদ্যা,অর্থনীতি,পৌরবিজ্ঞান ও শিক্ষাবিজ্ঞান ইত্যাদি সমন্বয় এই সামাজিক বিজ্ঞান গঠিত। সামাজিক বিজ্ঞানে মাজের বহুবিধ ক্ষেত্রকে প্রতিফলিত করে। ইতিহাস,ভূগোল,রাষ্ট্রবিজ্ঞান,শিক্ষাবিজ্ঞান,অর্থনীতি ও পৌর বিজ্ঞান থেকে প্রাপ্ত ব্যাপক সংখ্যক ধারণাকে অন্তর্ভুক্ত করে।এটি অর্থপূর্ণ সামাজিক বিজ্ঞানের পাঠক্রমে উপকরণের নির্বাচন ও সংগঠন যেটি শিক্ষার্থীকে সমাজের সমালোচনা মূলক দৃষ্টিভঙ্গি বিকাশে সহায়তা করবে সেটি অবশ্যই একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ এবং শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নতুন নতুন মাত্রা ও ধারণার সংযোজন ঘটানো হয়।একটি নীতিনিষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনের জন্য সামাজিক বিজ্ঞানের জ্ঞান ও দৃষ্টিভঙ্গি অপরিহার্য। প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের তুলনায় সামাজিক বিজ্ঞানকে কম গুরুত্ব দেওয়া হলেও একটি ক্রম প্রসারিত পরস্পর নির্ভরশীল বিশ্বে মানানসই হয়ে উঠতে প্রয়োজনীয় সামাজিক,সাংস্কৃতিক এবং বিশ্লেষণ দক্ষতা অর্জনের পথ সামাজিক বিজ্ঞানই প্রসারিত করে,তাই এর মূল্য গভীর।সমাজ বিজ্ঞান পাঠের প্রাসঙ্গিকতা অনস্বীকার্য। তাই আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞানের শিক্ষাকে কেন প্রাসঙ্গিকতা দেওয়া হচ্ছে তা নিম্নে আলোচনা করা হল।

2. সামাজিক বিজ্ঞানের ধারণা -

সামাজিক বিজ্ঞান হল একটি যৌগিক রূপ।যে সমাজবদ্ধ মানুষ, সমাজের সঙ্গে তার সম্পর্কে, আচরণ কৃষ্টি ও সামাজিক বিকাশের নির্ণায়ক শক্তি গুলি সম্পর্কে যা কিছু মানবিক বিষয় আছে এবং তার চর্চার ফলে যে সমস্ত বিদ্যার উদ্ভব হয়েছে তাদের একত্রিত নামই হল সামাজিক বিজ্ঞান। 

        অর্থাৎ, বিজ্ঞানের নিয়ম ও পদ্ধতি অবলম্বন করে মানুষ ও মানুষের সমাজ সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয়ের অনুসন্ধান রত সমস্ত একত্রিত বিদ্যার নাম সমাজ বিজ্ঞান।

দুটি পরিভাষার ব্যবহারিক প্রয়োগ প্রায় একই রকম। একটি হল সমাজবিদ্যা - প্রাথমিক ও মাধ্যমিক ক্ষেত্রে এটি সমাজবিদ্যা,ইতিহাস,রাষ্ট্রবিজ্ঞান,অর্থনীতি,ধর্ম, ভূগোল ও নৃতত্ত্ব বিষয়গুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে।আর দ্বিতীয়টি হল সামাজিক বিজ্ঞান - আইনশাস্ত্র, শিক্ষা বিজ্ঞান,স্বাস্থ্য,অর্থনীতি,ও শিল্পকলা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করে।

3. সামাজিক বিজ্ঞানের উদ্দেশ্যাবলী -

সামাজিক বিজ্ঞানের উদ্দেশ্যগুলি হল -

  • একটি ন্যায় নিষ্ঠা ও শান্তিপূর্ণ সমাজ স্থাপনের জন্য সামাজিক বিজ্ঞানের জ্ঞান ও দৃষ্টিভঙ্গি অপরিহার্য।
  • একটি ক্রম প্রসারিত পরস্পর নির্ভরশীল বিশ্বের মানানসই হয়ে উঠতে প্রয়োজনীয় সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং বিশ্লেষণ দক্ষতা অর্জন সমাজ বিজ্ঞান সহায়তা করে। 
  • দ্রুত প্রসারণশীল পরিষেবার ক্ষেত্রে এবং বিশ্লেষণাত্মক ও সৃজনশীল দহ্মতা বিকাশের বিভিন্নভাবে সমাজবিজ্ঞান মূল চালিকাশক্তি হয়ে উঠতে সহায়তা করে। 
  • সমাজ বিজ্ঞান প্রধানত স্বাধীনতা,আস্থা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং বৈচিত্র্য এই সব মানবিক মূল্যবোধ গড়ে তুলতে সহায়তা করে। 
  • সমাজ বিজ্ঞানের লক্ষ্য হল,শিক্ষার্থীদের মনে একটি যুক্তিনিষ্ঠ নৈতিক ও মানবিক শক্তি জাগাতে সহায়তা করে। 
  • এটি সামাজিক দক্ষতা ও অভিযোজিত সামাজিক মিথস্ক্রিয়া সম্পর্কে শিহরনের দ্বারা বাস্তব জীবনে শিক্ষার্থীদের কাজ করার জন্য সাহায্য করে।
  • শিক্ষার্থীরা যে সমাজে বাস করে সেই সমাজকে এবং তার উত্তরন ও পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে সামাজিক উন্নয়নের পথে চালিত করে অর্থাৎ সামাজিক গবেষণা একটি বিদ্যালয় পাঠ্য বিষয় হিসেবে শিশুদের গণতান্ত্রিক সমাজের একটি সক্রিয় ও দায়িত্বশীল সদস্য হিসাবে বিকশিত করে তোলে।

4. ভূগোল -

ইংরেজি ভাষার "Geography" শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে গ্রিক শব্দ "Geo" অর্থাৎ পৃথিবী এবং "Graphy"অর্থাৎ বর্ণনা শব্দ থেকে।এর খুব সহজ অর্থ হল "পৃথিবীর বর্ণনা।" 

      বিখ্যাত ভূ - বিজ্ঞানী Huntington এর মতে," The Central theme of Geography is the explanation of the part played by the land,the water and the air in Causing the plants,animals and people of one region that differs from those of other regions."

Prof. E. A. Macnce এর মতে, " Geography is the study of Earth as the home of man or in other words Geography is the study of the environment of man physical Social particularly in it's relation to human activities."

5. ভূগোলের পাঠের উদ্দেশ্যাবলী -

১. ভৌগোলিক জ্ঞান অর্জন -

ভূগোল শিক্ষার প্রধান উদ্দেশ্যই হল পৃথিবী এবং পৃথিবীতে বসবাসকারী মানুষ সম্পর্কে জ্ঞান লাভ।ভূগোল বিষয়টিতে পাঠ্য পাঠ গ্রহণের ফলে শিক্ষার্থীরা পৃথিবীর প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং সেখানে বসবাসকারী মানুষের সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ সম্পর্কে জানতে পারে। ভৌগলিক বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে তাদের ধারণা জন্মায়। জীবনে চলার ক্ষেত্রে প্রয়োজন মতো ভূগোলের বিষয়বস্তু গুলির সংজ্ঞা দিতে পারে,স্মরণ করতে পারে, তালিকাবদ্ধ করতে পারে ইত্যাদি।

২. ভৌগোলিক বিষয়ের উপলব্ধি - 

ভূগোল শিক্ষার অন্যতম একটি উদ্দেশ্য হল ভৌগোলিক বিষয়সমূহ সম্পর্কে বোধের উন্মেষ ঘটানো,বা বোঝা বা উপলব্ধি করা।একজন শিক্ষার্থী যখন তার ভূগোল বিষয়ে আহরিত জ্ঞান,ধারণা নীতিগুলি মানসিক প্রক্রিয়ার দ্বারা অনুধাবন করতে বা ব্যাখ্যা করতে পারবে তখনই তার বিষয় পাঠের বোধমূলক উদ্দেশ্য সাধিত হবে।শিক্ষার্থীর মধ্যে বোধের বিকাশ ঘটলে,তবে সে ভৌগোলিক তথ্য গুলির মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করা, সাদৃশ্য বৈসাদৃশ্য নির্ধারণ করা,শ্রেণীবিন্যাস করা,উপযুক্ত উদাহারন দিয়ে ব্যাখ্যা করা,বিচার করা প্রভৃতি করতে সমর্থ হবে।পৃথিবীর সম্পর্কে অর্জিত জ্ঞান শিক্ষার্থীর বৌদ্ধিক স্তরে বোধ বা চেতনার উন্মেষ ঘটাতে সাহায্য করে,বিভিন্ন ভৌগোলিক ঘটনাবলী অনুধাবনের মাধ্যমে তারা ঘটনার কার্য কারন সম্পর্কে নির্ণয় করতে পারে।

৩. ভৌগলিক উপলব্ধিতে বাস্তব প্রয়োগ -

ভূগোল বিষয়ে শিক্ষার পরবর্তী উদ্দেশ্য হল ভৌগোলিক বিষয় সম্বন্ধে যে জ্ঞান ও বোধের বিকাশ শিক্ষার্থীর বৌদ্ধিক স্তরে ঘটেছে,তার উপর ভিত্তি করে বাস্তব অভিজ্ঞতার বিশ্লেষণ করা এবং নিত্য নতুন সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট হওয়া।এই স্তরে শিক্ষার্থী তার লদ্ধ জ্ঞান এবং উপলব্ধি বোধের বাস্তব প্রয়োগ তথা ব্যবহার শেখে।এই বাস্তব প্রয়োগের মধ্যে দিয়েই শিক্ষার্থী তার লব্ধ জ্ঞানের একাত্ম করে অনুভব করতে পারে।ফলস্বরুপ শিক্ষা গ্রহণের পরবর্তী পর্যায়ে কর্ম জীবনে প্রবেশের সাথে সাথে সে পৃথিবীর প্রাকৃতিক এবং মানব সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের বিষয়ে সচেষ্ট হতে পারে।

৪. ভৌগোলিক দক্ষতা অর্জন - 

ভূগোল শিক্ষার অপর উদ্দেশ্য হল শিক্ষার্থীর বৌদ্ধিক স্তরের বিকাশের সাথে সাথে সঞ্চালন মূলক স্তরের বিকাশ। এক্ষেত্রে শিক্ষামূলক জিনিস বানাতে,অঙ্কন করতে সমর্থ হয়।তারা মানচিত্র অঙ্কন করতে শেখে, চার্ট বা মডেল তৈরি করতে পারে,চিত্র অঙ্কন করে ইত্যাদি।

6. বিদ্যালয়ের ভূগোল পাঠের প্রাসঙ্গিকতা -

১. জীবিকা অর্জনে জ্ঞান লাভের প্রাসঙ্গিকতা -

"ভূগোল" শিখনের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ জীবনের বৃত্তি গ্রহণের এবং আত্মনির্ভর হওয়ার উপযোগী করে শিক্ষার্থীকে গড়ে তোলা।ভূগোল বিষয় পাঠের মাধ্যমে শিক্ষার্থী যেহেতু পৃথিবী সম্পর্কে বাস্তব জ্ঞানার্জন করে তাই পরবর্তী জীবনে কৃষি, শিল্প, খনিজ, বানিজ্য, নগরোন্নয়ন, পরিবহন ও যোগাযোগ প্রভৃতি যে কোনো হ্মেত্রে কাজের ব্যাপারের তার এই ভৌগোলিক জ্ঞান কার্যকরী হয়।এছাড়াও ভূগোল বিষয় নিয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করলে বৃত্তি নির্বাচনের ক্ষেত্রে কতকগুলি সংস্থার অগ্রাধিকার পাওয়া যায়।যেমন - NATMO, Centre for Urban Studies, Survey Of India, Urban Planning And Development, Kolkata Metropolitan Development Authority.

২. ভৌগোলিক দৃষ্টিভঙ্গি গঠনের প্রাসঙ্গিকতা -

বিদ্যালয় স্তরে শিক্ষার্থীরা পর্যবেক্ষণ,প্রকল্প,শিক্ষামূলক ভ্রমণ প্রভৃতিতে ভূগোল পাঠ গ্রহণ করার ফলে তাদের সরাসরি বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ হয়। ফলস্বরূপ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভৌগোলিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে ওঠে।বাস্তব পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পায়। কোনো স্থানের প্রাকৃতিক এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহে বিশেষ আগ্রহী হয়ে ওঠে এবং কোনো ঘটনার যথাযথ ভৌগোলিক ব্যাখ্যা দিকে সমর্থ হয়।

৩. অনুসন্ধানী মনোভাব গঠনের প্রাসঙ্গিকতা -

ভূগোল বিষয়ে পাঠ গ্রহণের ফলে শিক্ষার্থীরা কোনো প্রাকৃতিক ও সামাজিক ঘটনার অন্তর্নিহিত কারণগুলি জানতে পারে।ফলস্বরূপ পরবর্তীকালে বাস্তবজীবনে অনুরূপ ঘটনার অভিজ্ঞতা হলে শিক্ষার্থীরা তার যথাযথ বিশ্লেষণ করতে পারে এবং ঘটনার অন্তর্নিহিত কার্য কারণ অনুসন্ধানে আগ্রহী হয়।

৪. জাতীয় সংহতি বোধের প্রাসঙ্গিকতা

ভূগোল বিষয়ে পাঠের মাধ্যমে ভারতবর্ষের মতো সুবিশাল এবং বৈচিত্র্যময় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রাকৃতিক পরিবেশ, সাংস্কৃতিক ভাবধারা এবং মানুষের জীবন যাত্রা প্রণালীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পরিচয় ঘটে। ফলস্বরুপ তাদের মধ্যে দেশের প্রতি ভালোবাসা,আগ্রহ, একাত্ম বোধ গড়ে ওঠে বা জাতীয় সংহতি বোধ গঠনের তাদের সহায়তা করে।

৫. আন্তর্জাতিকতা বোধের প্রাসঙ্গিকতা - 

ভূগোল বিষয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ সম্পর্কে তথ্য দেওয়া থাকে। ফলস্বরুপ অন্যান্য দেশের মানুষের জীবনযাত্রা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়।তাদের সঙ্গে নিজেদের একাত্ম বোধ অনুভব করে,তাদের সভ্যতা সংস্কৃতির প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে ওঠে এবং শিক্ষার্থীর মধ্যে বিশ্ব সম্পর্কে আগ্রহের সঞ্চার ঘটে ও আন্তর্জাতিকতা বোধে গড়ে ওঠে।

৬. সুনাগরিকতা প্রাসঙ্গিকতা -

ভূগোল পাঠের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পায়,যুক্তি বাদী হয়ে ওঠে,দৃষ্টিভঙ্গির প্রসারতা বৃদ্ধি পায়, অবসর বিনোদনের উন্নতি গুণমান সম্পন্ন উপর নির্ণয় করতে পারে,পারিপার্শ্বিক পরিবেশ সম্পর্ক আগ্রহ বৃদ্ধি পায় এবং উদর,সচেতন,বিশ্লেষণী ক্ষমতা সম্পন্ন একজন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে।

           পশ্চিমবঙ্গে মাধ্যমিক স্তরে ভূগোল বিষয়ের পাঠ্যসূচি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে কতকগুলি উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এই পাঠ্যসূচি তৈরি করা হয়েছে। এখানে শিক্ষার্থীরা প্রথমে দৈনন্দিন কিছু প্রাকৃতিক ঘটনা বলি (ঝড়,বৃষ্টি,বায়ুপ্রবাহ,ভূমিকম্প ইত্যাদি)এবং নিজের রাজ্য ও দেশের ভূ - প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য ও মানুষের জীবনযাত্রা প্রণালী সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ করে,পরে তারা পৃথিবীর অন্যান্য প্রান্তের মানুষের জীবনযাপন (মেরু অঞ্চল,তুন্দ্রা অঞ্চল ইত্যাদি) এবং পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া ভৌগোলিক ভিন্ন ঘটনাবলি(পর্বত গঠন, ভূমিকম্প,নদী উপত্যকা গঠন ইত্যাদি) সম্পর্কে গভীর ভাবে শিক্ষা অর্জন করে। ফলস্বরুপ শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশের প্রতি ভালোবাসা জন্মায়,পৃথিবী সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্ক প্রসারতা বৃদ্ধি পায়,যুক্তিবাদী মনোভাব গড়ে ওঠে এবং ভৌগলিক ঘটনার সঠিক কার্যকারণ নির্ণয়ে সহায়ক হয়।

7. বিদ্যালয়ের ভূগোল পাঠের প্রয়োজনীয়তা -

বিদ্যালয়ের ভূগোল পাঠের প্রয়োজনীয়তা গুলি হল -

  • ভূগোল শিক্ষার দ্বারা শিক্ষার্থীদের মধ্যে অঞ্চল,রাজ্য এবং দেশ সম্পর্কে একটি ধারণা জন্মায়।
  • ভূগোল শিহ্মার মাধ্যমে প্রাকৃতিক ও সামাজিক পরিবেশের সঙ্গে একটি আন্তঃসম্পর্ক গড়ে তোলে।
  • ভূগোল পাঠের অন্যতম প্রয়োজনীয়তা হল পৃথিবী এবং পৃথিবীতে বসবাসকারী মানুষের সঙ্গে জ্ঞান লাভ করা।
  • ভূগোল শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর মধ্যে চিন্তন,ব্যাখ্যা, নীতি নির্ধারণ ও জ্ঞান অর্জনের মতো বিভিন্ন বিকাশমূলক দক্ষতা গড়ে ওঠে।
  • শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৌদ্ধিক বিকাশে সহায়তা করে।
  • ভূগোল শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি বাস্তবিক ধারণা জন্মায়। 
  • দেশের বিভিন্ন প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সংস্কৃতিক  ভাবধারা এবং মানুষের জীবনযাত্রা প্রণালীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পরিচয় ঘটে।

8. শিক্ষার্থীদের উপর ভূগোল পাঠের প্রভাব -

  • সঠিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্সের বা উপযুক্ত ক্যারিয়ার নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ও মনোভাব বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
  • বিশ্বজনীনতার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীর অঞ্চল,রাজ্য ও দেশ সম্পর্কে তার জ্ঞান বৃদ্ধিকরন করে।
  • শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশের আন্তঃসম্পর্ক সম্বন্ধে ধারনা তৈরি করে।
  • শিক্ষার্থীদের বৌদ্ধিক বিকাশ বৃদ্ধি পায়।
  • শিক্ষার্থীরা নানা সমস্যার সহজেই সমাধান করতে পারে।
  • পরিবেশে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনাবলী কে ভৌগোলিক অনুধাবনের মাধ্যমে কার্যকরণ সম্পর্কে তা নির্ণয় করতে পারে।
  • শিক্ষার্থীদের মধ্যে সঞ্চালনমূলক বিকাশ ঘটে।
  • কোন স্থানে প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে সেই ঘটনাটিকে যথাযথ ভৌগোলিক ব্যাখ্যা দিতে সমর্থ হয়।

9. উপসংহার -

পরিশেষে বলা যায় যে,প্রচলিত পাঠক্রমে সমাজ বিজ্ঞানের অন্তর্গত ভূগোল বিষয় হিসাবে পড়ানো হয়। শিশুর বয়স থেকে সামাজিক বিষয় গুলি সম্বন্ধে যদি ইতিবাচক মনোভাব গড়ে না ওঠে তবে তার প্রকৃত কার্যকারিতা কিছু থাকে না।সেই কারণেই সমাজ বিজ্ঞানের বিষয় হিসেবে ভূগোলকে একটি সংহত বিষয় হিসাবে বিদ্যালয় পাঠক্রমে স্থান দেওয়া উচিত। National Focus Group On Teaching The Social Sciences পাঠ্যপুস্তক প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন যে পাঠ্যপুস্তক যেন সামাজিক মানবিক মূল্যবোধ - স্বাধীনতা, আস্থা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ইত্যাদি সম্বন্ধে অনুসন্ধিৎসু করে তোলার উপযোগী হয়।শিক্ষার্থীরা যেন শুধুমাত্র সমাজ বিজ্ঞানের বিষয় হিসেবে ভূগোল পাঠের ভবিষ্যৎ গতি প্রকৃতি নির্দেশ করতে সচেষ্ট হয়েছে।এই কারণে যে সামাজিক বিজ্ঞানের বিষয় হিসেবে ভূগোলের প্রাসঙ্গিকতা যেন আরও বৃদ্ধি পায়।

          সামাজিক বিজ্ঞানের বিষয় হিসেবে ভূগোল শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক উন্নয়নে একটি আদর্শবাদী ভূমিকা পালন করে এবং এটি সমালোচনা মূলক দৃষ্টিভঙ্গি গঠনে ভীষণ ভাবে সাহায্য করে।তাই শিক্ষার বিকাশে সামাজিক বিজ্ঞানের গুরুত্ব অনস্বীকার্য।

CLICK HERE -

ENGLISH VERSION PDF FILE‌












Post a Comment (0)
Previous Post Next Post