Place And Relevance Of History As A Social Science In School Curriculum||বিদ্যালয়ে পাঠ্যক্রমে সামাজিক বিজ্ঞান হিসাবে ইতিহাসের স্থান এবং প্রাসঙ্গিকতা

Place And Relevance Of History As A Social Science In School Curriculum||বিদ্যালয়ে পাঠ্যক্রমে সামাজিক বিজ্ঞান হিসাবে ইতিহাসের স্থান এবং প্রাসঙ্গিকতা

Place And Relevance Of History As A Social Science In School Curriculum||বিদ্যালয়ে পাঠ্যক্রমে সামাজিক বিজ্ঞান হিসাবে ইতিহাসের স্থান এবং প্রাসঙ্গিকতা

BENGALI VERSION||ENGLISH VERSION

Place And Relevance Of History As A Social Science In School Curriculum||বিদ্যালয়ে পাঠ্যক্রমে সামাজিক বিজ্ঞান হিসাবে ইতিহাসের স্থান এবং প্রাসঙ্গিকতা
Place And Relevance Of History As A Social Science In School Curriculum


(*** ENGLISH VERSION FILE BELOW THE ARTICLE BY PDF FORMAT)

বিদ্যালয়ে পাঠ্যক্রমে সামাজিক বিজ্ঞান হিসাবে ইতিহাসের স্থান এবং প্রাসঙ্গিকতা

BENGALI VERSION -

1. ভূমিকা -

সমাজের বিভিন্ন ও বৈচিত্র্যপূর্ণ বিষয়,যা সমাজ বিজ্ঞানের আওতাভুক্ত। ইতিহাস,ভূগোল,রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিদ্যা,অর্থনীতি,পৌরবিজ্ঞান ও শিক্ষাবিজ্ঞান ইত্যাদি সমন্বয় এই সামাজিক বিজ্ঞান গঠিত। সামাজিক বিজ্ঞানে মাজের বহুবিধ ক্ষেত্রকে প্রতিফলিত করে। ইতিহাস,ভূগোল,রাষ্ট্রবিজ্ঞান,শিক্ষাবিজ্ঞান,অর্থনীতি ও পৌর বিজ্ঞান থেকে প্রাপ্ত ব্যাপক সংখ্যক ধারণাকে অন্তর্ভুক্ত করে।এটি অর্থপূর্ণ সামাজিক বিজ্ঞানের পাঠক্রমে উপকরণের নির্বাচন ও সংগঠন যেটি শিক্ষার্থীকে সমাজের সমালোচনা মূলক দৃষ্টিভঙ্গি বিকাশে সহায়তা করবে সেটি অবশ্যই একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ এবং শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নতুন নতুন মাত্রা ও ধারণার সংযোজন ঘটানো হয়।একটি নীতিনিষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনের জন্য সামাজিক বিজ্ঞানের জ্ঞান ও দৃষ্টিভঙ্গি অপরিহার্য। প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের তুলনায় সামাজিক বিজ্ঞানকে কম গুরুত্ব দেওয়া হলেও একটি ক্রম প্রসারিত পরস্পর নির্ভরশীল বিশ্বে মানানসই হয়ে উঠতে প্রয়োজনীয় সামাজিক,সাংস্কৃতিক এবং বিশ্লেষণ দক্ষতা অর্জনের পথ সামাজিক বিজ্ঞানই প্রসারিত করে,তাই এর মূল্য গভীর।সমাজ বিজ্ঞান পাঠের প্রাসঙ্গিকতা অনস্বীকার্য। তাই আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞানের শিক্ষাকে কেন প্রাসঙ্গিকতা দেওয়া হচ্ছে তা নিম্নে আলোচনা করা হল।

2. সামাজিক বিজ্ঞানের ধারণা -

সামাজিক বিজ্ঞান হল একটি যৌগিক রূপ।যে সমাজবদ্ধ মানুষ, সমাজের সঙ্গে তার সম্পর্কে, আচরণ কৃষ্টি ও সামাজিক বিকাশের নির্ণায়ক শক্তি গুলি সম্পর্কে যা কিছু মানবিক বিষয় আছে এবং তার চর্চার ফলে যে সমস্ত বিদ্যার উদ্ভব হয়েছে তাদের একত্রিত নামই হল সামাজিক বিজ্ঞান। 

        অর্থাৎ, বিজ্ঞানের নিয়ম ও পদ্ধতি অবলম্বন করে মানুষ ও মানুষের সমাজ সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয়ের অনুসন্ধান রত সমস্ত একত্রিত বিদ্যার নাম সমাজ বিজ্ঞান।

দুটি পরিভাষার ব্যবহারিক প্রয়োগ প্রায় একই রকম। একটি হল সমাজবিদ্যা - প্রাথমিক ও মাধ্যমিক ক্ষেত্রে এটি সমাজবিদ্যা,ইতিহাস,রাষ্ট্রবিজ্ঞান,অর্থনীতি,ধর্ম, ভূগোল ও নৃতত্ত্ব বিষয়গুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে।আর দ্বিতীয়টি হল সামাজিক বিজ্ঞান - আইনশাস্ত্র, শিক্ষা বিজ্ঞান,স্বাস্থ্য,অর্থনীতি,ও শিল্পকলা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করে।

3. সামাজিক বিজ্ঞান পাঠের উদ্দেশ্যাবলী -

সামাজিক বিজ্ঞানের পাঠের উদ্দেশ্যগুলি হল -

  • একটি ন্যায় নিষ্ঠা ও শান্তিপূর্ণ সমাজ স্থাপনের জন্য সামাজিক বিজ্ঞানের জ্ঞান ও দৃষ্টিভঙ্গি অপরিহার্য।
  • একটি ক্রম প্রসারিত পরস্পর নির্ভরশীল বিশ্বের মানানসই হয়ে উঠতে প্রয়োজনীয় সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং বিশ্লেষণ দক্ষতা অর্জন সমাজ বিজ্ঞান সহায়তা করে। 
  • দ্রুত প্রসারণশীল পরিষেবার ক্ষেত্রে এবং বিশ্লেষণাত্মক ও সৃজনশীল দহ্মতা বিকাশের বিভিন্নভাবে সমাজবিজ্ঞান মূল চালিকাশক্তি হয়ে উঠতে সহায়তা করে। 
  • সমাজ বিজ্ঞান প্রধানত স্বাধীনতা,আস্থা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং বৈচিত্র্য এই সব মানবিক মূল্যবোধ গড়ে তুলতে সহায়তা করে। 
  • সমাজ বিজ্ঞানের লক্ষ্য হল,শিক্ষার্থীদের মনে একটি যুক্তিনিষ্ঠ নৈতিক ও মানবিক শক্তি জাগাতে সহায়তা করে। 
  • এটি সামাজিক দক্ষতা ও অভিযোজিত সামাজিক মিথস্ক্রিয়া সম্পর্কে শিহরনের দ্বারা বাস্তব জীবনে শিক্ষার্থীদের কাজ করার জন্য সাহায্য করে।
  • শিক্ষার্থীরা যে সমাজে বাস করে সেই সমাজকে এবং তার উত্তরন ও পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে সামাজিক উন্নয়নের পথে চালিত করে অর্থাৎ সামাজিক গবেষণা একটি বিদ্যালয় পাঠ্য বিষয় হিসেবে শিশুদের গণতান্ত্রিক সমাজের একটি সক্রিয় ও দায়িত্বশীল সদস্য হিসাবে বিকশিত করে তোলে।
4. ইতিহাসের  ধারণা -

সামাজিক বিজ্ঞানের একটি শাখা হল ইতিহাস।ইতিহাস শব্দটি এসেছে প্রাচীন গ্রিক শব্দ "Historia"থেকে।যার অর্থ "তদন্ত" বা "অনুসন্ধান থেকে জ্ঞান" বা "বিচারক"। এই অর্থেই অ্যারিস্টটল তাঁর "হিস্ট্রি অফ অ্যানিম্যালস" এ শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন।
1961 খ্রিস্টাব্দে,ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ E.H.Carr লিখেছেন - 
"প্রাগৈতিহাসিক এবং ঐতিহাসিক সময়ের মধ্যে সীমাবদ্ধতার রেখাটি অতিক্রম করা হয় তখন মানুষ শুধুমাত্র বর্তমানের মধ্যে বসবাস করা বন্ধ করে এবং সচেতনভাবে তাদের অতীত এবং ভবিষ্যতে উভয় বিষয়ে আগ্ৰহী হয়। ইতিহাসের সূচনা হয়।ঐতিহ্যকে তুলে দিয়ে, এবং ঐতিহ্য মানে অতীতের অভ্যাস এবং পাঠ ভবিষ্যতে বহন করা। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুবিধার জন্য অতীতের রেকর্ড রাখা শুরু হয়।"
ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদারের মতে - "মানুষ ও মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক বিভিন্ন মানবগোষ্ঠী মত আদান প্রদান, সংঘর্ষ,ও সমন্বয়ে ফলে বৃহত্তর
মানব সমাজের ক্রমোন্নতির ধারাবাহিক বিবরনই হল ইতিহাস।"
5. ইতিহাসে পাঠের উদ্দেশ্যাবলী -

ইতিহাস পাঠের উদ্দেশ্য গুলি হল -
  • শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা ও বিশ্লেষণী ক্ষমতা বিকাশ করে ইতিহাসের বিষয়বস্তুকে তথ্য নিষ্ট ও বস্তুনিষ্ঠ করা।
  • ইতিহাস পাঠের সাংস্কৃতিক, সামাজিক, শিক্ষা ভিত্তিক ও বৌদ্ধিক মূল্যের পরিপূর্ণতা পায়,যা শিক্ষার্থী যে সমগ্ৰ বিশ্বের সভ্যতা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে আগ্রহী হয়। 
  • শিক্ষার্থীর বিভিন্ন মানসিক গুণাবলির বিকাশ এবং বিচার শক্তির সুসামঞ্জস্য মানসিকতা বৃদ্ধির সহায়ক বিশ্লেষণী কার্যাবলির অন্তর্ভুক্ত করা।
  • পৃথিবীর সভ্যতার ধারাবাহিক অগ্রগতি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জানতে সাহায্য করা এবং অতীতের আলোকে বর্তমানের এই অভাবনীয় অগ্রগতি বিচার করে নিজের ব্যক্তি জীবনের,সমাজ জীবনের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গঠনে নিরন্তন অনুপ্রাণিত করা।
6. বিদ্যালয়ের ইতিহাস বিষয়ে বিভিন্ন কমিশনের সুপারিশ -

১. জাতীয় পাঠক্রমের রূপরেখা(2005) ও ইতিহাস -

সমাজ বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত বিষয় গুলির মধ্যে ইতিহাস অন্যতম সমাজ বিজ্ঞানের অংশ হিসেবে ইতিহাস পঠন - পাঠনের প্রসঙ্গে জাতীয় পাঠক্রমের রূপরেখা(2005) - এ বলা হয়,- "History will take into account developments in different Parts of India with Sections on events or development in others parts of the world." পদ্ধতি সংক্রান্ত ব্যাপারে জাতীয় পাঠক্রমের রূপরেখার বলা হয় - "The teaching of the Social Science must adopt methods that promote creativity acsthetics and critical perspectives,and enable children to draw relationships between past and present ........."জাতীয় পাঠক্রমের রূপরেখার সমাজ বিজ্ঞানের অংশ রূপে ইতিহাস পঠন পাঠনের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয় এবং বলা হয় যে "History will takes into account developments in different parts of the world."NCF 2005 এর সুপারিশ অনুযায়ী উচ্চ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সমাজ বিজ্ঞানের পাঠক্রমে ইতিহাস অন্তর্ভূক্ত হবে।বিশ্বের ইতিহাসের প্রেক্ষিতে দেশের ইতিহাস পাঠদানের সুপারিশ করে এবং বিশ্ব ইতিহাসের ঘটনাগুলি যথাযথভাবে বিভিন্ন শ্রেণির ইতিহাস পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়।পাঠক্রমে এমন কিছু নির্দিষ্ট বিষয় ভাবনা অন্তর্ভুক্ত করা উচিত যেখানে সমাজ বিজ্ঞানের আওতাভুক্ত ইতিহাস,ভূগোল,রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতির মধ্যে অন্তত - সম্পর্ক স্থাপিত হয় এবং একটি সামগ্ৰিক ধারনা গড়ে ওঠে। ইতিহাসের বিষয়বস্তুর মধ্যে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং আধুনিক ইতিহাসের অন্যান্য দিক গুলিই থাকবে।সমসাময়িক ভারতের উপরই দৃষ্টি নিবদ্ধ থাকবে।ইতিহাস পঠন পাঠনের বড়ো উদ্দেশ্য হল শিক্ষার্থীদের মধ্যে জাতীয় দৃষ্টিভঙ্গি গঠন করা।ইতিহাস শিখনের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।তাই NCF 2005 -এ রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে ইতিহাসের সঙ্গে পড়ানোর সুপারিশ করে।

২. মুদালিয়র কমিশন - 

মাধ্যমিক শিক্ষা দুটি স্তরে বিভাজিত নিম্ন মাধ্যমিক (5-8) এবং উচ্চ ও উচ্চতর মাধ্যমিক স্তর(9-11)।এই কমিশনের নিম্ন মাধ্যমিক স্তরে ইতিহাসকে পৃথক বা স্বতন্ত্র বিষয় হিসাবে না শিখিয়ে সমাজ বিদ্যার অন্তর্ভুক্ত বিষয় হিসাবে পড়ানোর সুপারিশ করে। 

৩. মাধ্যমিক কমিশন - 

ইতিহাস,ভূগোল,অর্থনীতি,পৌর শাস্ত্রকে পৃথক বা স্বতন্ত্র বিষয় হিসাবে না শিখিয়ে সমাজ বিদ্যার অন্তর্ভুক্ত বিষয় হিসেবে শেখানো বিষয়বস্তুর ভার লাঘব হবে। কমিশন উচ্চ ও উচ্চতর মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যক্রম কে দুটি ভাগে বিভাজিত করে কেন্দ্রীয় বিষয় এবং ঐচ্ছিক বিষয়। ঐচ্ছিক বিভাগে সাতটি প্রবাহের মধ্যে একটি প্রবাহ হল মানববিদ্যা, এবং মানব বিদ্যার অন্তর্ভুক্ত আটটি বিষয়ের মধ্যে একটি হল ইতিহাস। কমিশন সুপারিশ করে যে উচ্চ  ও উচ্চতর মাধ্যমিক স্তরে ইতিহাস ঐচ্ছিক বিষয় হিসাবে পাঠক্রমে স্থান পায়। 

৪. কোঠারি কমিশন - 

বিদ্যালয় স্তরের শিক্ষাব্যবস্থাকে চারটি স্তরে ভাগ করে প্রাথমিক(I - IV),উচ্চ প্রাথমিক(V - VII),নিম্ন মাধ্যমিক(VIII - X) উচ্চ মাধ্যমিক(XI - XII)।কমিশনের মতে উচ্চ প্রাথমিক স্তরে যোগ্য শিক্ষক ও প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা থাকলে সমাজ বিজ্ঞান এই স্তরে রাখা যেতে পারে, না হলে ইতিহাস,ভূগোল,পৌরনীতি পড়ানো হবে।নিম্ন মাধ্যমিক স্তরে ইতিহাস,ভূগোল,পৌরনীতি ভিন্ন ভিন্ন বিষয় রূপে আবশ্যিকভাবে পড়ানো হবে।কমিশন উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ঐচ্ছিক বিষয় রূপে ইতিহাস পাঠের সুপারিশ করে,1974 সালে কোঠারি কমিশনের প্রস্তাবিত সুপারিশের ভিত্তিতে পশ্চিমবঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয় এবং 1976 সালে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হয়।

7. বিদ্যালয়ের ইতিহাস পাঠের প্রাসঙ্গিকতা - 

তুলনামূলক বিচারে বিজ্ঞান ও কারিগরি বিদ্যা অপেক্ষা ইতিহাসের মুল্য কম হলেও বর্তমানে পৃথিবীর,প্রায় সকল দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ইতিহাস বিদ্যালয় স্তরে পাঠ্য হিসাবে সমাদৃত।অধ্যাপক K.D.Ghosh এর মতে, History has not only a fundamental place in the curriculum today but has her needs ministered to by such subjects as geography.বিদ্যালয়ে ইতিহাস পাঠের প্রাসঙ্গিকতার কারন গুলি হল - 

১. ঐতিহ্যের সঙ্গে শিশুর পরিচয় ঘটানো - 

শিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য হল দেশ,যাতি ও বিশ্ব মানবের সর্বাঙ্গীণ ঐতিহ্যের সঙ্গে শিশুকে পরিচয় করানো। এক্ষেত্রে ইতিহাসের মূল অনস্বীকার্য।ইতিহাস পড়ার মধ্যে দিয়ে মানব সংস্কৃতির ঐতিহ্য এবং আমাদের সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের সঙ্গে পরিচয় ঘটে।মানুষের বিস্তীর্ণ জ্ঞান ক্ষেত্র বিচরণ করার ফলে শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক চেতনার বিকাশ ঘটে।

২. সুনাগরিক গঠন -

শিক্ষার লক্ষ্য হল সুনাগরিক গড়ে তোলা।শিক্ষা হল নাগরিক জীবনে প্রস্তুতির প্রশিক্ষণ।এহ্মেত্রে ইতিহাস পঠন - পাঠনের গুরুত্ব অপরিসীম।ইতিহাস পাঠের মধ্যে দিয়ে নাগরিক জীবন,নাগরিক সংস্থা,নাগরিক অধিকার, দায়িত্ব ও কর্তব্য প্রভৃতি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের পরিচয় ঘটে ও নাগরিক চেতনার বিকাশ ঘটে। 

৩. সামাজিক দহ্ম মানুষ গঠন -

সামাজিক দক্ষতা সম্পন্ন মানুষ গড়াই যদি শিহ্মার লহ্ম্য হয় তবে এই লহ্ম্য পূরনে ইতিহাস পাঠই অন্যতম সহায়ক। ইতিহাস মানব সমাজ ও সভ্যতার ক্রমিক বিবর্তনের ধারা।সমাজ বিবর্তন এবং বিবর্তনের কার্যকরন সম্পর্কের সূত্রেই বর্তমান সমাজকে শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারে, চিনতে পারে এবং নিজেকে সমাজ উপযোগী করে গড়ে তোলে।

৪. চরিত্র গঠন - 

চরিত্র গঠন শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ এবং এক্ষেত্রে ইতিহাস পড়ার বিশেষ ভূমিকা আছে।ইতিহাসের শিক্ষাই চরিত্র গঠনের শ্রেষ্ঠ উপাদান।মহান পুরুষদের জীবনী, আদর্শ,মানব কল্যাণে আত্মত্যাগ প্রভৃতি বিষয়গুলি সম্পর্কে ইতিহাস পাঠের মাধ্যমে জানতে পারে যা শিক্ষার্থীদের নৈতিক চরিত্র গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৫. স্বদেশ প্রীতি জাগ্ৰত -

শিক্ষার একটি বড়ো কাজ হল শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বদেশ প্রীতি জাগ্রত করা এবং সুস্থ স্বাদেশীকতা সৃষ্টিতে ইতিহাসের শর্ত মূল্য আর কোনো বিষয়ের তত মূল্য নেই।

৬. জাতীয় সংহতি এবং আন্তর্জাতিকতা - 

শিক্ষার একটি বড়ো কাজ হল জাতীয় সংহতি এবং আন্তর্জাতিকতা তথ্য বিশ্ব মানবতা বোধের বিকাশ ঘটানো।এক্ষেত্রে ইতিহাস পাঠের গুরুত্ব অপরিসীম।

৭. বিশেষীকরণ যুগ - 

বর্তমান যুগ হল বিশেষীকরণের মুখ।আধুনিক শিক্ষার প্রবণতা হল বিশেষীকরণের শিক্ষা প্রস্তুতি পর্ব হল সাধারণ শিক্ষা,সাধারণ শিক্ষার সুদৃঢ় ভিত্তির উপর গড়ে ওঠে বিশেষীকরণ শিহ্মার ইমারত।নিঃসন্দেহে এই প্রস্তুতিপর্বে ইতিহাস একটি আবশ্যিক বিষয় হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত।একথা অস্বীকার করা যায় না যে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে ইতিহাস পাঠের অনুকূল শক্তি অর্জন করতে গেলে বিদ্যালয় স্তরে তার প্রস্তুতির প্রয়োজন।সুতরাং ইতিহাসকে বিদ্যালয় স্তরে পাঠ্য হিসাবে অন্তর্ভুক্তিকরণ যুক্তিসম্মত। 

৮. উদার ও বিজ্ঞানসম্মত দৃষ্টিভঙ্গি -

শিক্ষার একটি বড়ো কাজ হল শিক্ষার্থীর মধ্যে উদার ও বিজ্ঞানসম্মত দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলা।ইতিহাস শিক্ষার্থীর মনের সংকীর্ণতা ঘুচিয়ে দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রসারিত করে। মানব সভ্যতার অগ্রগতির বিভিন্ন পর্বে বিভিন্ন জাতি,ধর্ম, আচার আচরণ,রীতিনীতি ইত্যাদি পঠন পাঠনের ফলে শিক্ষার্থীর মনে উদারনৈতিক মনোভাবের সৃষ্টি হয়। আসলে ইতিহাসের পাঠ হল এক ধরনের "Mental Training."এটি শিক্ষার্থীর মধ্যে যুক্তি,বিশ্লেষনী শক্তি, নিরপেক্ষ বিচার বোধ,নৈর্ব্যক্তিক মনোভাব,গঠন মূলক চিন্তাশক্তি প্রভৃতির বিকাশ ঘটায় যা পরোহ্মে শিক্ষার্থীর মধ্যে যুক্ত মন,বিজ্ঞানসম্মত সৃষ্টি মুরগি ও উদার মনোভাবে গড়ে তোলে।

8. বিদ্যালয়ের ইতিহাস পাঠের প্রয়োজনীয়তা -
  • দেশ,জাতি ও বিশ্ব মানবের সর্বাঙ্গীণ ঐতিহ্যের সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা ধারণা লাভ করতে পারে।
  • বিশ্বের অন্যান্য অংশের সমসাময়িক উন্নয়নের প্রেক্ষিতে ভারতবর্ষের অতীত সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান শিক্ষার্থীরা অর্জন করতে পারে।
  • ভবিষ্যতের নাগরিকদের মধ্যে সমস্যা সমাধান সক্ষমতা ও সৃজনশীলতা চিন্তাধারার উন্নয়ন ঘটবে।
  • সঠিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্স বা উপযুক্ত কেরিয়ার নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ও মনোভাব বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
  • শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুনাগরিক চেতনার বিকাশ ঘটবে।
  • শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বদেশপ্রীতি জাগ্রত হবে।
  • শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদার ও বিজ্ঞানসম্মত দৃষ্টিকোণ গড়ে তোলা সম্ভব।
  • সংস্কৃতিক আধিপত্যবাদ সম্বন্ধে সচেতন হয়ে উঠবে এবং শুধু গ্রহণ নয়,নিজের টাও বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে চেষ্টা করবে।
9. ইতিহাস পাঠের শিক্ষার্থীদের ওপর প্রভাব -
  • বিশ্বের অন্যান্য অংশের সমসাময়িক উন্নয়নের প্রেক্ষিতে ভারতবর্ষের অতীত সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান অর্জন করে।
  • ভবিষ্যতের নাগরিকদের মধ্যে সমস্যা সমাধান সহ্মমতা ও সৃজনশীল চিন্তাধারার উন্নয়ন করা।
  • সঠিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্স বা উপযুক্ত কেরিয়ার নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ও মনোভাব বৃদ্ধিতে সহায়তা প্রদান করা।
  • শিক্ষার্থীরা মানব সংস্কৃতির ঐতিহ্য এবং আমাদের সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের সঙ্গে পরিচয় করার ফলে তাদের মধ্যে সাংস্কৃতিক চেতনা বিকাশ ঘটে।
  • শিক্ষার্থীদের মধ্যে নাগরিক চেতনার বিকাশ ঘটে।
  • শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদারনৈতিক ও বিজ্ঞানসম্মত মনোভাব বিকশিত হয়।

10. উপসংহার -

পরিশেষে বলা যায় যে,প্রচলিত পাঠক্রমে সমাজ বিজ্ঞানের অন্তর্গত বিষয় হিসেবে ইতিহাস বিষয়টি পড়ানো হয়। শিশুর বয়স থেকে সামাজিক বিষয় হিসাবে ইতিহাস সম্বন্ধে যদি ইতিবাচক মনোভাব গড়ে না ওঠে তবে তার প্রকৃত কার্যকারিতা কিছু থাকে না।সেই কারণেই সমাজ বিজ্ঞানের বিষয় হিসেবে ইতিহাস একটি সংহত বিষয় হিসাবে বিদ্যালয় পাঠক্রমে স্থান দেওয়া উচিত। National Focus Group On Teaching The Social Sciences পাঠ্যপুস্তক প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন যে পাঠ্যপুস্তক যেন সামাজিক মানবিক মূল্যবোধ - স্বাধীনতা, আস্থা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ইত্যাদি সম্বন্ধে অনুসন্ধিৎসু করে তোলার উপযোগী হয়।শিক্ষার্থীরা যেন শুধুমাত্র সমাজ বিজ্ঞানের বিষয় হিসেবে ইতিহাস পাঠের ভবিষ্যৎ গতি প্রকৃতি নির্দেশ করতে সচেষ্ট হয়েছে।এই কারণে যে সামাজিক বিজ্ঞানের বিষয় হিসেবে ইতিহাসে প্রাসঙ্গিকতা যেন আরও বৃদ্ধি পায়।

          সামাজিক বিজ্ঞানের বিষয় হিসেবে ইতিহাস শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক উন্নয়নে একটি আদর্শবাদী ভূমিকা পালন করে এবং এটি সমালোচনা মূলক দৃষ্টিভঙ্গি গঠনে ভীষণ ভাবে সাহায্য করে।তাই শিক্ষার বিকাশে সামাজিক বিজ্ঞানের গুরুত্ব অনস্বীকার্য।

CLICK HERE -

ENGLISH VERSION PDF FILE










Post a Comment (0)
Previous Post Next Post