Celebration Of National Festivals - Swami Vivekananda BirthDay (Youth Day)
BENGALI VERSION||ENGLISH VERSION
(*** ENGLISH VERSCeION FILE BELOW THE ARTICLE BY PDF FORMAT)
Celebration Of National Festivals - Swami Vivekananda BirthDay (Youth Day)
1. ভূমিকা -
একটি বিদ্যালয়ের পাঠক্রম ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান ও আনুষঙ্গিক বিষয় হয়ে থাকে।বিদ্যালয়ে নানা অনুষ্ঠান,যেমন - সামাজিক অনুষ্ঠান,ধর্মীয় অনুষ্ঠান, ক্রিয়ামূলক অনুষ্ঠান,শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান,ভ্রমণ মূলক অনুষ্ঠান ন্যায় জাতীয় দিবস পালন করা হয়ে থাকে। জাতীয় দিবসের মধ্যে বিদ্যালয়ে প্রজাতন্ত্র দিবস, স্বাধীনতা দিবস,শিক্ষক দিবস,নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন প্রভৃতি অনুষ্ঠানের মতো স্বামী বিবেকানন্দের জন্মতিথি উৎসব পালন করা হয়।স্বামী বিবেকানন্দের বাণী এবং তাঁর জীবনী সম্পর্কে সকল শিক্ষার্থীদের অবগত করার জন্য বিদ্যালয়ে বিবেকানন্দের জন্ম উৎসব পালন করা হয়ে থাকে।এই অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থীদের মনের অন্ধকার দূর করে ঐক্যবদ্ধ ভাবে মহামিলনের পথ প্রশস্ত করে।
2. বিদ্যালয়ের স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিবস পালনের উদ্দেশ্যাবলী -
বিদ্যালয়ের স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিবস পালনের উদ্দেশ্য গুলি হল -
- শিক্ষার্থীদের মধ্যে শ্রেণীহীন ও বর্ণহীন মনোভাব গড়ে তুলতে হবে।
- শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মশক্তি ও বিশ্বাস বোধ গড়ে তুলতে হবে।
- শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন নতুন চিন্তার মনোভাব গড়ে তুলতে হবে।
- শিহ্মার্থীদের জাতীয় চেতনা,সমাজ ভাবনার পথে চলার আর্দশের উদ্ভবুদ্ধ করে।
- সকলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনোভাব গড়ে তুলতে হবে।
- শিক্ষার্থীদের সুদহ্ম ব্যক্তিত্ব ও সুদহ্ম চরিত্র গঠন করতে সহায়তা করে।
- শিক্ষার্থীদের হল আগামী দিনের নাগরিক তাই যুব শক্তিকে এখন থেকে প্রশিক্ষণ দিতে এই দিবস সহায়তা করে।
3. স্বামী বিবেকানন্দের জীবনী -
• সূচনা -
"Get up O lines and shake off the delusion that you are sheep" - Swamiji
পরাধীনতার অন্ধকারে নিমগ্ন জাতির হৃদয়কে কে অগ্নিমন্ত্রে উজ্জীবিত করে তুলেছিলেন ? ....কে এই জড়তাগ্রস্ত, পরানুকরণমত্ত জাতিকে আত্ম অনুসন্ধানে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন ? ..... কে এই অন্ধতামসিকতা মগ্ন, সুপ্ত,নিশ্চেতন মহাদেশকে মৃত্যুঞ্জয়ী বাণী শুনিয়ে তাকে যৌব ধর্মে দীক্ষিত করেছিলেন ? তিনি মহাসন্ন্যাসী বীরেশ্বর স্বামী বিবেকানন্দ।
তিনি নব যুগের নব নির্মিত জিয়ন কাঠির স্পর্শে এই আত্মবিস্মৃত জাতির অনড় দেহে সঞ্চারিত করলেন অভূতপূর্ব প্রাণের স্পন্দন। আকুমারিকা - হিমাচল যেন বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে জেগে উঠল তাঁর উদাত্ত আহবানে। পরাধীন, হৃতসর্বস্ব, কুসংস্কার পীড়িত, জীবন্মৃত জাতি ফিরে পেল তার আত্মশক্তি,লুপ্ত বিশ্বাস ও নব নব চিন্তার অভিপ্রেরনা।দিশেহারা জাতি এতদিন খুঁজে পেল প্রকৃত মুক্তি পথের সন্ধান।
• জন্ম ও বংশ পরিচয় ও শিক্ষা গ্রহণ -
তিনি 1863 সালে 12 ই জানুয়ারি উত্তর কলকাতার বিখ্যাত দত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ছিলেন বিশ্বনাথ দত্ত ও মাতা নাম ভুবনেশ্বরী দেবী। তাঁর আসল নাম ছিল নরেন্দ্রনাথ দত্ত।তিনি মেট্রোপলিটন স্কুল ও জেনারেল এসেমব্লিজ কলেজের মেধাবী ছাত্র নরেন্দ্রনাথ শ্রী রামকৃষ্ণের জ্যোতির্ময় স্পর্শে কীরূপে বীরসন্ন্যাসী বিবেকানন্দে পরিণত হলেন, তা এক পরম বিস্ময়ের বিষয়।সন্ন্যাস ধর্মে দীক্ষা গ্রহণ, হিমালয়ে সাধনা,পরিব্রাজক রূপে সমগ্র ভারত ভ্রমণ,অজ্ঞ দরিদ্র আত্মজ্ঞানঘাতী ও জাতপাতের সংকীর্ণতায় বহুধা বিচ্ছিন্ন ভারতবাসীকে 'অভীঃ' মন্ত্রে দীক্ষা দান তাঁর ভারত সাধনার উজ্জ্বল দিক। তারপর শিকাগো ধর্ম মহাসভায় তাঁর অবিস্মরণীয় ভাষণ এবং বিশ্ব হৃদয় বিজয় তাঁর ভারত সাধনার ই আর এক উজ্জ্বলতর দিগন্ত। তাঁর ভবিষ্যৎ বাণী - বিশ্বাত্মার জাগরণের মহান ক্ষেত্র হবে এই ভারতবর্ষ।
• বেদান্তের আলোকিত পথ -
তিনি বহু শতাব্দীর ওপার থেকে নিয়ে এলেন বেদান্তের সাম্যবাণী : 'ব্রক্ষ্মময় জগৎ।' কাজেই, ব্রক্ষ্মময় সকল মানুষ।মানুষের সৃষ্ট বৈষম্য,শ্রেণীভেদ মিথ্যা,মানুষে মানুষে সাম্যই বৈদান্তিক সাম্যবাদ। জাতিভেদে দীর্ণ ভারতবর্ষকে তাঁর ধিক্কার : 'আমরা হিন্দু নই, বেদান্তিকও নই,আমরা সব ছুঁৎমাগগামীর দল।আমাদের মন্দির হচ্ছে রান্নাঘর, আমাদের দেবতা ভাতের হাঁড়ি, আর ছুঁয়োনা ছুঁয়োনা - এই হচ্ছে আমাদের বেদমন্ত্র।'
• চিন্তানায়ক বিবেকানন্দ -
জাতপাত বৈষম্যের পরিবর্তে স্বামী বিবেকানন্দ বেদান্তের জগৎ থেকে নিয়ে এলেন সেই শ্রেণিহীন বর্ণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার বাণী।সেখানে ব্রাক্ষ্মণ শূদ্রে অবনমিত হবে না, শুদ্র ব্রাক্ষ্মণে উন্নীত হবে,সেখানে থাকবে না অশিক্ষা,দারিদ্র্য,কুসংস্কার বা কোন রূপ সাম্প্রদায়িক ধর্মান্ধতা।আবেগ দৃপ্ত কণ্ঠে তিনি বলবেন : 'ক্ষুধার্ত মানুষকে ধর্মের কথা শোনানো বা দর্শনশাস্ত্র শেখানো তাহাকে অপমান করা।' শেষ পর্যন্ত তিনি নিদ্বির্ধ কন্ঠে বললেন,'খালি পেটে ধর্ম হয় না।'গীতা পাঠের চেয়ে তিনি বলেন ফুটবল খেলা উচিত।তিনি দেখেছিলেন এমন সমাজের স্বপ্ন,যেখানে হ্মুধার আর্তনাদ থাকবে না, থাকবে না শোষণ,'যাতে ব্রাক্ষ্মণ্য যুগের জ্ঞান,হ্মত্রিয়ের সভ্যতা,বৈশ্যের সম্প্রসারণ শক্তি এবং শূদ্রের সাম্যের আদর্শ মিলিত হবে।' তাঁর গেরুয়ার আড়ালে ছিল একজন প্রকৃত মানবতাবাদীর সুমহান হৃদয়।
• রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা -
1893 খ্রিস্টাব্দে আমেরিকা শিকাগো বিশ্বধর্ম মহাসম্মেলনে সমন্বয়বাদী ভারতবর্ষের বিজয় বৈজয়ন্তী উড়িয়ে দিয়ে স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের পর বিবেকানন্দ এই বিপর্যস্থ, সর্বরিক্ত জাতির সংগঠনের মহান ব্রত নিয়ে 1897 খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করলেন তাঁর স্বপ্নের এক আদর্শ সন্ন্যাসী সংঘ - 'রামকৃষ্ণ মিশন'। 1899 খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হল নবযুগের পুণ্যতীর্থ - বেলুড় মঠ।তারপর 1900 খ্রিস্টাব্দে প্যারিসে বিশ্বধর্ম সম্মেলনে যোগদান করে।• বলিষ্ঠ ভারত গঠন -
স্বামী বিবেকানন্দের আবির্ভাবের ফলে জন্ম লাভ করল এক বলিষ্ঠ ভারত।ঘৃণা জাতিভেদই ভারতের অধঃপতনের কারণ।তাই তাঁর উদাত্ত বাণী হল : 'বল,মূর্খ ভারতবাসী, দরিদ্র ভারতবাসী,চন্ডাল ভারতবাসী আমার রক্ত, আমার ভাই...।' সেই সঙ্গে শিবজ্ঞানে মানবতার পূজা এবং কর্মের মাধ্যমে মুক্তির সাধনাই ছিল এই বীর সন্ন্যাসীর বীরবাণী :
'বহুরূপে সম্মুখে তোমার,ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর ? জীবে প্রেম করে যেইজন,সেইজন সেবিছে ঈশ্বর।'
• তিরোধান -
প্যারিসে বিশ্বধর্ম সম্মেলনে যোগদানে পর স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের করার পর 1902 খ্রিস্টাব্দের 4ঠা জুলাই মাত্র 39 বছর বয়সে এই মহাজীবনের ঘটে মহাপ্রয়াণ।
• উপসংহার -
বিবেকানন্দ ভারত আত্মার জ্যোতির্ময় প্রতীক।ভারতকে তিনি পরিনত করেছেন মহামানবতার পূণ্য পীঠস্থানে। এই মহাসন্ন্যাসী ভারতকে আত্মজ্ঞানের জাগরনের যে বাণী শুনিয়েছিলেন, দেশের এই ঘোর দুর্দিনে আমরা যেন শুনতে পাই তাঁর সেই অগ্নিগর্ভ বীরবাণী -
'উত্তিষ্ঠত জাগ্ৰত প্রাপ্য বরান্ নিবোধত।'
4. উপকরণসমূহ -
বিবেকানন্দের জন্মদিবস পালন করার জন্য নিম্নলিখিত উপকরণ গুলি প্রয়োজন -
- স্বামী বিবেকানন্দের প্রতিকৃতি।
- ফুল,ফুলের মালা ও ফুলদানি।
- প্রতিকৃতি বসানো স্থান ও আচ্ছাদন।
- ধূপ ও ধূপ দানি ও প্রদীপ
- মঞ্চ সাজাবার উপকরণ।
- বাদ্যযন্ত্র যেমন, হারমোনিয়াম ও তবলা।
- মাইক্রোফোন ও বক্স।
- কেক, মিষ্টি,লজেন্স প্রভৃতি।
5. বিদ্যালয়ের স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিবস অনুষ্ঠানের পূর্বপ্রস্তুতি -
- স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিবস অনুষ্ঠানের কার্য বিবরনী সম্পর্কে আলোচনার জন্য বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে একটি সভার দিন নির্ধারণ করা হবে।
- সংশ্লিষ্ট দিনের সভায় প্রধান শিক্ষক/শিহ্মিকা,সহ শিহ্মক - শিহ্মিকা,শিহ্মাকর্মী ও শিহ্মার্থীরা উপস্থিত হবেন।
- নির্ধারিত দিনে সভার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের দিন কি কি করা হবে তার একটি তালিকা প্রস্তুত করতে হবে।
- অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য একটি কমিটি গঠন করতে হবে।
- অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা জন্য অনুষ্ঠানের কার্যের জন্য প্রত্যেক সদস্যের মধ্যে নির্দিষ্ট দায়িত্ব বন্টন করে দিতে হবে।
- অনুষ্ঠানের দিনে যারা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যাবলীতে অংশগ্রহণ করবে কমিটির কর্তৃত্ব তাদের নামের তালিকা তৈরি করতে হবে।
- সংগৃহীত তালিকা থেকে মূল পর্বের জন্য চূড়ান্ত নাম বাছাই করা হবে, চূড়ান্ত সদস্যরা জন্য অনেক ক্ষেত্রে মহড়া অনুষ্ঠান ও আয়োজিত হয়।
- অনুষ্ঠানের সময়সূচি নিরিখে সকল শ্রেণির শিক্ষার্থীরাই সেই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়।
- অনুষ্ঠানের কার্যাবলী পূর্ব থেকেই শিক্ষার্থীরা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠান মঞ্চ সাজানো ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক ক্রিয়া কর্ম সম্পাদন করে।
6. বিদ্যালয়ের স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিবস অনুষ্ঠান পালন -
- পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী অনুষ্ঠানের দিন সকল শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের পোষাকে নির্দিষ্ট সময়ে বিদ্যালয় আসবে।
- বিদ্যালয়ে প্রার্থনা সভা হবার পর প্রথম পিরিয়ডে প্রত্যেক শিক্ষক-শিক্ষিকারা শ্রেণিকক্ষে যাবেন এবং শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিয়ে আসবেন।
- এরপর সকল শিক্ষার্থীদের সমবেতভাবে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হতে হবে।
- এরপর সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে অনুষ্ঠানটির সূচনা করে,ঘোষকের ঘোষণা অনুযায়ী মূল অনুষ্ঠানের পর্বের সূত্রপাত ঘটে উদ্বোধনী সংগীতের মাধ্যমে, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও স্বামী বিবেকানন্দের প্রতিকৃতিতে মাল্য দানের মধ্যে দিয়ে।
- সভাপতির ভাষণ, প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকার কর্তৃক ভাষন প্রদান করা হয়।
- এরপর অন্যান্য সকল শিক্ষক-শিক্ষিকারা অনুষ্ঠান সম্পর্কে বিশেষত্ব স্বামী বিবেকানন্দের জীবনী ও যুব দিবসের সংক্রান্ত আদর্শের কথা শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরেন।
- পর্যায়ক্রমে মূল অনুষ্ঠানের বিভিন্ন অংশবিশেষ যেমন সংগীত,নৃত্য,বক্তৃতা,নাটক, আবৃত্তি ইত্যাদি পরিবেশিত হয়।
- এরপর সমবেতভাবে জাতীয় সংগীত গাওয়া হবে।
- এরপর অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে শিক্ষক-শিক্ষিকারা শিক্ষার্থীদের মিষ্টিমুখ করান।
- অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত ঘোষণা করে অনুষ্ঠানটি পরিসমাপ্তি করা হয় ও হাসিমুখে বাড়ি ফিরে যায়।
7. বিদ্যালয়ের স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিবস পালনের তাৎপর্য -
বিদ্যালয়ে স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম দিবস (যুব দিবস) পালনের পেছনে যে তাৎপর্য রয়েছে সেগুলি হল,-
- আজকের শিক্ষার্থীরাই হল যুব সমাজের মেরুদন্ড, তারাই আগামী দিনের সমাজ গড়ার কারিগর। তাই বিদ্যালয় স্তরে স্বামীজীর চিন্তাভাবনা কে তুলে ধরার জন্য যুব সমাজে যুব দিবস পালন করা একান্ত প্রয়োজনীয়তা আছে।
- বর্তমানে উদ্দেশ্যহীন জীবনে শান্তি ও স্বস্তি আনার জন্য স্বামীজীর বাণী গুলি বেদান্তের মতো কাজ করে।
- অধৈর্য,অসহিষ্ণুতা,কাজের প্রতি দায়িত্ব হীনতা, অহেতুক নেতা সাজাবার প্রবণতা যুব সমাজকে কয়েক দশক পিছিয়ে দিচ্ছে।এই ক্ষয়রোধের প্রতিবিধানের যুব দিবস পালন করা জরুরি।
- জাতীয় চেতনা,ধর্মভাবনা,সমাজ ভাবনার পথ চলার সীমারেখা স্বামীজির কর্মজীবনের মধ্যেই নিহিত ছিল।যে পথে অনুসরণ করতে গেলে তাকে স্মরণ করা প্রয়োজন হয়।
8. বিদ্যালয়ের স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিবস পালনের বিভিন্ন ব্যক্তিদের ভূমিকা -
• প্রধান শিক্ষক/শিহ্মিকা -
- বিদ্যালয়ের বিভিন্ন জাতীয় দিবস,যেমন স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিবস পালনের সবকিছু আয়োজন ও কাজের ভাগ করে দেওয়া।
- অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এবং শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে উদ্ভবুদ্ধ করা।
- বিদ্যালয়ে বিভিন্ন দিবস পালনের মতো শিহ্মক দিবসের দিন অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অতিথি হিসেবে নিমন্ত্রন করা।
- স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিবস ও যুব দিবসের পালনের তাৎপর্য সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবগত করানো।
• শিহ্মক - শিহ্মিকা -
- স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনের গুরুত্ব এবং তাৎপর্য কী সেই সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবগত করানো।
- 12 ই জানুয়ারী কেন স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনের যুব দিবস পালন করা হয় সেই সম্পর্কে সকল শিক্ষার্থীদের জানানো।
- অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রত্যেক সদস্যদের মধ্যে নির্দিষ্ট দায়িত্ব বন্টন করে দেওয়া।
- এই দিনে সাংস্কৃতিক কার্যাবলীতে যারা অংশগ্রহণ করবে সেই তালিকা তৈরি করা।
- শিক্ষার্থীদের কার্যে সহযোগিতা করা।
- অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তত্ত্বাবধানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গুলিতে মঞ্চস্থ করবে।
- শিক্ষক শিহ্মিকারা শিক্ষার্থীদের অনুষ্ঠানের মঞ্চ সাজানো ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয় ক্রিয়াকর্ম গুলি নিদের্শনা প্রদান করবে।
• প্রশিক্ষণ শিক্ষক -
- স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিবস অনুষ্ঠানের তাৎপর্য কি শিক্ষার্থীদের অবগত করা।
- শিক্ষার্থীদের কার্য সহযোগিতা করা।
- অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহ প্রদান করা।
- অনুষ্ঠানের দিন সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা।
• শিক্ষার্থী -
- অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য সুষ্ঠুভাবে পালন করবে।
- শিক্ষার্থীরা শিক্ষক-শিক্ষিকার তত্ত্বাবধানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মঞ্চস্থ করবে।
- শিক্ষার্থীদের অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠান মঞ্চ সাজানো ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক ক্রিয়াকর্ম গুলি সম্পন্ন করবে।
- অনুষ্ঠানের দিন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যাবলীতে অংশগ্রহণ করা।
- শিক্ষার্থীরা সক্রিয়ভাবে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে।
9. উপসংহার -
পরিশেষে বলা যায়,বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মতো স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিবস পালন হল একটি অন্যতম অনুষ্ঠান। শিক্ষার্থীই হল যুব সমাজের মেরুদন্ড এবং এরাই হলো আগামী দিনের সমাজ গড়ার কারিগর।আর শিক্ষক হলেন শিক্ষার্থীদের পথ প্রদর্শক। কারণ একজন সুদক্ষ শিক্ষক একজন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত গড়ে দেয়, বিদ্যালয়ে পাঠক্রম ছাড়াও শিহ্মার্থীদের অদৃশ্য ভাবে শেখানো হয় কিভাবে একজন ভালো মানুষ হতে এবং শিক্ষার্থীদের চারিত্রিক গঠন ও সুদক্ষ ব্যক্তিত্বে বিকাশ ঘটে।তাই বিদ্যালয় স্তরে এই অনুষ্ঠানটি একান্ত প্রয়োজনীয়।
CLICK HERE -
Others Community Based Activists -
Cleanliness is and around the campus and beautification