Community Based Activists - Community Games

Community Based Activists - Community Games

Community Based Activists - Community Games

BENGALI VERSION||ENGLISH VERSION

Community Based Activists - Community Games


(*** ENGLISH VERSION FILE BELOW THE ARTICLE BY PDF FORMAT)

Community Based Activists - Community  Games 
BENGALI VERSION - 

1. ভূমিকা -

একটি শিশুর হল ভবিষ্যতের নাগরিক।তাই শিশুদের সুনাগরিক হতে দরকার শারীরিক ও মানসিক বিকাশ। আর এই শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য দরকার খেলাধুলা। খেলাধুলার মাধ্যমে শিশু শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটায় এবং সমাজে গুণাবলী অর্জনে সাহায্য করে।খেলাধুলা শরীর ও মনকে সতেজ রাখে এবং শরীর গঠনের সঙ্গে সুন্দর চরিত্র গঠনে সহায়তা করে। তাই খেলাধুলা শিক্ষার্থীদের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।তাই বিদ্যালয়ের পঠন পাঠনের সঙ্গে খেলাধুলার একটি বিশেষ স্থান রয়েছে। বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীরা দলগতভাবে খেলাধুলা করে থাকে,যা তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সহায়তা করে।


2. দলগত খেলাধুলা -

একত্রে কয়েকজন শিশু যখন দুটি দলে বিভক্ত হয়ে খেলাধুলা করে।তাকেই দলগত খেলাধুলা বলে।একটি দলগত খেলা এমন যে কোন খেলাকে অন্তর্ভুক্ত করে সেখানে ব্যক্তিরা বিরোধীদলের সংগঠিত হয় যা জয়ের জন্য প্রতিযোগিতা করে।দলের সদস্যরা একটি ভাগ করা উদ্দেশ্যের দিকে একসাথে কাজ করে।এটি বিভিন্ন উপায়ে করা যেতে পারে যেমন প্রতিপক্ষ দলকে আউট স্কোর করা,দলের সদস্যরা লক্ষ্য নির্ধারণ করে সিদ্ধান্ত নেয়,যোগাযোগ করে,পরিচালনা করে এবং তাদের উদ্দেশ্য পূরণের জন্য এটি সহায়ক বিশ্বস্ত পরিবেশের সমস্যা সমাধান করে।

3. দলগত খেলার উদ্দেশ্যাবলী -
  • শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ সাধন করতে সহায়তা করে।
  • শিক্ষার্থীদের সুশৃংখল মনোভাব গড়ে তুলতে সহায়তা করে। 
  • শিক্ষার্থীদের চরিত্র গঠনে সহায়তা করে।
  • সমাজ ও দেশের প্রতি শিক্ষার্থীদের দায়িত্ববোধ জাগ্রত করে।
  • শিক্ষার্থীদের সামাজিক মুখী মনোভাব গড়ে তুলতে সহায়তা করে। 
  • শিক্ষার্থীদের সক্রিয় ও সচ্ছল জীবন গড়ে তুলতে সহায়তা করে।
  • শিক্ষার্থীদের বুদ্ধি বিকাশের সহায়তা করে।
  • শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা সৃষ্টি হয়।
  • শিক্ষার্থীদের একাগ্রতা ও মনোযোগের বিকাশ ঘটে।

4. দলগত খেলাধুলা প্রকারভেদ -

বিভিন্ন রকমের দলগত খেলাধুলা রয়েছে,যথা -
  • ফুটবল 
  • ক্রিকেট 
  • ভলিবল 
  • হকি  
  • ব্যাডমিন্টন 
  • কাবাডি 
  • বাস্কেটবল 
  • হ্যান্ডবল প্রভৃতি।
5.বিভিন্ন দলগত খেলার বর্ণনা -

১. ফুটবল - 

ফুটবল হল একটি অতি প্রাচীন খেলা।কালের বিবর্তনে এ খেলা বর্তমানে একটি আধুনিক খেলায় পরিণত হয়েছে।আধুনিক ফুটবল খেলার জন্মস্থান এবং এই খেলার আইন কানুন প্রণয়ন হয় ইংল্যান্ডেই।এই খেলা জনপ্রিয় হওয়ার কারণে খুব দ্রুততার সঙ্গে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।সারা বিশ্বের ফুটবল খেলাকে পরিচালিত করে থাকে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা।যার নাম FIFA। 1904 খ্রিস্টাব্দে 21 শে মে প্যারিসে এই সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করে।যার প্রধান কার্যালয়টি সুইজারল্যান্ডে জুরিখ শহরে অবস্থিত ফুটবল কতখানে বিশ্বে জনপ্রিয় খেলা।এই খেলা পরিচালন ও নিয়ন্ত্রণের জন্য 17 টি আইন আছে।একই নিয়মে বিচার সর্বত্রই এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।খেলোয়াড়রা যেমন নিয়ম মেনে চলে তেমনি রেফারি মাঠে নিয়মের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ প্রয়োগ করে থাকেন।ভারতীয় জাতীয় ফুটবল দল এবং তার নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন।এটি এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন FIFA র সদস্য।

• ফুটবল খেলার কলাকৌশল - 

ফুটবল হল গতি,প্রান্ত শারীরিক সামর্থ্যের ও শৈলীর খেলা।এর কলাকৌশল গুলি নিয়ে আলোচনা করা হল।-

i. কিকিং - ফুটবল হল পায়ের খেলা। পায়ের সাহায্যে বলের উপর নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা অর্জন করতে পারলে ফুটবল খেলার প্রাথমিক দক্ষতা অর্জন করা যায়। পায়ের তিনটে দিক রয়েছে।

  • Inside
  • Outside
  • Instep

ii. হেডিং - হেড করার সময় সর্বদা বলকে মাথা দিয়ে আঘাত করতে হয়। 

iii. ড্রিবলিং - পায়ে পায়ে বলকে গড়িয়ে নেওয়াকে ড্রিবলিং বলে।সতীর্থকে সঠিকভাবে বল জোগান দেওয়ার জন্য ড্রিবলিং করা হয়। 

iv. ট্যাপিং - হাতছাড়া শরীরের যে কোনো অংশ দিয়ে বলকে আয়ত্তে আনা বা থামানোকে ট্যাপিং বলে।ট্যাপিং বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে।

v. গোলকিপিং - ফুটবল খেলার গোলকিপারের দায়িত্ব অনেক বেশী।গোলকিপারের শরীরের যে কোন অংশ দিয়ে বল থামাতে পারে।তার মধ্যে হাত দিয়ে বল ধরা বা থামানো গোলকিপারের প্রধান কাজ।যেমন নিচু বল ধরা, কোমরের সামনে উঁচু বল ধরা,মাথার উপরের বল ধরা।

২. ক্রিকেট - 

ক্রিকেট হল একটি দলগত খেলা।যেখানে ১১ জন খেলোয়াড় বিশিষ্ট দল ব্যাট ও বলের দ্বারা খেলাটিকে পরিচালিত করে থাকে।ক্রিকেট খেলার জন্ম ইংল্যান্ডে। পরবর্তীকালে ব্রিটিশ উপনিবেশ গুলি সহ অন্যান্য দেশগুলিতে ব্যাপক ভাবে বিস্তার করে।এর মধ্যে একটি জ্ঞান পরিলক্ষিত হয় তাই এই খেলাকে রাজার খেলা বলা হয়।এর নিয়ম কানুন,প্রচার ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি বিষয়ের জন্য একটি আন্তর্জাতিক কমিটির প্রয়োজন আয়োজিত হয়।তাই 15 ই জুন 1909 খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বোর্ডের প্রতিনিধিদের নিয়ে Imperial Cricket Conference গঠিত হয়।পরবর্তীতে এতে যোগ দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড,ভারত ও পাকিস্তান ক্রিকেট দল ও পরবর্তীকালে 1989 খ্রিস্টাব্দে আবারও এর নাম পরিবর্তন করা হয়।নামকরণ করা হয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল।এর সদর দপ্তর দুবাই এ অবস্থিত।এই খেলার 42টি ক্রিকেট আইন আছে কিন্তু কোনো বিশেষ খেলাতে দলগুলি সর্বসম্মতিক্রমে কোনো আইনে পরিবর্তন বা লঙ্খন করতে পারে।

• ক্রিকেট খেলার সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়সমূহ -

i. ক্রিকেট মাঠ - ক্রিকেট মাঠ দু রকমের হয়।স্ট্যাম্পের মাঝখানে থেকে কমপক্ষে 60 গজ থেকে 75 গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি অর্ধবৃত্ত আঁকা হয়।আবার পিচের মাঝখানে থেকে 60 গজ থেকে 75 গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে বাউন্ডারি লাইন টানা হলে সেই মাঠকে রাউন্ড সাইজ মাঠ বলা হয়।

ii. পিচ - ক্রিকেটের পিচের দৈর্ঘ্য 22 গজ ও প্রস্থ 10 ফুট হয়।পিচের দুই মাথায় তিনটি করে স্ট্যাম্প থাকে। স্ট্যাম্পের উচ্চতা 24 ইঞ্চি বা 71.1 সেন্টিমিটার ও তিনটি স্ট্যাম্পের প্রস্থ 9 ইঞ্চি বা 23 সেন্টিমিটার।স্ট্যাম্পের মাথার উপর দুটি বেশ বসানো থাকে। 

iii. খেলোয়াড় - 16 জন খেলোয়াড় নিয়ে একটি ক্রিকেট দল গঠন করা হয়। 

iv. ক্রিকেট বল - ক্রিকেট বল শক্ত ও গোলাকৃতি হয়। ক্রিকেট বলের ওজন 5.5 থেকে 5.75 পাউন্ড হয়। সাধারনত ক্রিকেট বল লাল রঙের হয়। 

v. ক্রিকেট ব্যাট - ক্রিকেট ব্যাটের দৈর্ঘ্য 38 ইঞ্চি ও প্রস্থ 4.25 ইঞ্চির বেশি হয় না।

vi. মাঠে খেলোয়াড়দের অবস্থান - একটি দল মাঠের ফিল্ডিং করার সময় বিভিন্ন অবস্থানে খেলোয়াড়দের দাঁড়াতে হয়।এটি নির্ভর করে বোলারের বোলিং কৌশলের উপর প্রতি দলের 11 জন খেলোয়াড় থাকে।

vii. ওভার - ছটি বৈধ বলে এক ওভার হয়। ছটি বল করার পর আম্পিয়ার ওভার বলে থাকেন।তাই ওভার নামকরণ করা হয়েছে।বাউন্ডারি রেখা অতিক্রম করে তাকে বাউন্ডারি বলে।বাউন্ডারি হলে ব্যাটসম্যান চার রান যোগ হয়।

৩. হকি -

হকি খেলা কখন কীভাবে কোথায় শুরু হয়েছে এই নিয়ে ঐতিহাসিকরা একমত নন।তবে অনেকেই মনে করেন হকি খেলা ও পুরাতন খেলার গুলির মধ্যে অন্যতম। যতদূর জানা যায় খ্রিস্টপূর্ব দুই হাজার বছর আগে পারস্য দেশে হকি খেলার মতো এক প্রকার খেলা প্রচলিত ছিল।পরে পারস্য থেকে গ্ৰীসে,গ্ৰীস থেকে রোমে প্রচলিত হয়।পরে ফ্রান্সের লোকেরা 'হকেট' নামে খেলা শুরু করেন।'হকেট' একটি ফরাসি শব্দ যার অর্থ মেষ পালকের লাঠি।এরও অনেক পর ইংল্যান্ডের লোকেরা ফ্রান্সের কাছ থেকে একেলা শিখে 'হকে' নাম দিয়ে খেলতে শুরু করেন।ইংরেজি উচ্চারণ অনুযায়ী পরবর্তীকালে এ খেলা হকি নামে সারাবিশ্বের ছড়িয়ে পড়ে।

• হকি খেলার সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়সমূহ - 

i. দল - 16 জন খেলোয়াড় নিয়ে একটি দল গঠিত হয়।11 জন খেলে ও 5 জন অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে থাকে।

ii. সেন্ট্রাল পাস - মাঠের কেন্দ্রে বল বসিয়ে যে কোনো দিকে বল পুশ বা হিট করাকেই সেন্টার পাস বলে।অর্থাৎ এই পাশের মাধ্যমে খেলা শুরু হয়। 

iii. স্ট্রিক - স্ট্রিকের সাহায্যে বলকে খেলা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া,আঘাত করে বা সরিয়ে দেওয়ার পদ্ধতিকে স্ট্রোক বলে। 

iv. খেলার মাঠ - হকি খেলার মাঠ হয় আয়তাকার।যার দৈর্ঘ্য 100 গজ এবং প্রস্থ 60 গজ।  

v.প্লেইং ডিস্ট্যান্স - যে দূরত্বে থেকে একজন খেলোয়াড় বলের নিকট পৌঁছে খেলার চেষ্টা করে।

vi. বল - বল যে কোনো শব্দ পদার্থের হয়ে থাকে।বলের ওজন কমপক্ষে 156 -163 গ্রাম হয়। 

vii. খেলার সময় - খেলার প্রতি অর্ধে খেলার সময় 35 মিনিট মাঝে বিরতি 5 -10 মিনিট অর্থাৎ 35 + 35 মিনিট করে 70 মিনিট এবং বিরতি সহ 75 মিনিট। 

• হকি খেলার সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন কলাকৌশল - 

হকি খেলার কৌশলগুলি নিম্নে আলোচনা করা হল। - 

i. স্টিক ধরা - বাম হাত দিয়ে স্টিকের মাথা ধরতে হয় ও গান হাত দিয়ে স্টিকের মাঝখানে হালকাভাবে ধরতে হয়।গান পা সামনে বাম পা পিছনে থাকে। 

ii. বল থামানো - বলের লাইন বরাবর স্টিকের মাথা নিতে হয়।স্টিকের চ্যাপ্টা অংশ দিয়ে বল থামাতে হয়।

iii. বলড্রিবলিং - বল সামনে থাকবে।স্টিক ডানে বা বামে ঘুরিয়ে বলকে সামনের দিকে নিতে হবে। 

iv. হিট - হিট করার সময় দুই পা সমান্তরাল রেখে দাঁড়াতে হয়। স্টিক কাঁধ বরাবর তুলে বলের মাঝখানে জোরে আঘাত করতে হয়।এই জোরে আঘাত করাকেই হিট বলে।

৪. ব্যাডমিন্টন -

ব্যাডমিন্টন খেলার উৎপত্তি নিয়ে বহুমত থাকলেও অধিকাংশের ধারণা এ খেলার জন্ম হয়েছে ভারতে পুনাতে।সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে পুনায় অবস্থিত ইংরেজ সৈন্যরা স্থানীয় লোকজনকে শীটলকর্ক ও ছোট ব্যাট দিয়ে খেলতে দেখে কৌতূহল বোধ করেন। তারা স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে এই খেলা শিখে ইংল্যান্ডে গিয়ে খেলাটি প্রমাণ করেন।ভারতে কর্মরত ইংরেজ সৈন্যরা ছুটিতে বাড়ি গিয়ে ব্যাডমিন্টন নামক জায়গায় একত্র হয়ে খেলাটি শুরু করেন।সেখান থেকেই সেই জায়গার নাম নাম অনুসারে ব্যাডমিন্টন খেলার নামকরণ করা হয়।

• ব্যাডমিন্টন খেলার সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় সমুহ -

i. খেলার কোর্ট - সিঙ্গেল কোর্টের দৈর্ঘ্য 13.41 মিটার।খবর কোর্টের দৈর্ঘ্য 13.41 এবং প্রস্থ 6.10 মিটার। কোর্টের দুটি পার্শ্ব রেখায় দুই মধ্য কিছু বরাবর ব্যাডমিন্টন নেট টাঙানোর জন্য দুটি খুঁটি থাকে।

ii. পোস্ট বা খুঁটি - খুঁটি উচ্চতা মেঝে থেকে 1.55 মিটার হয়।নেটের দৈর্ঘ্য 5.18 মিটার (17 ফুট) প্রস্থ 0.76 মিটার।মেঝে থেকে নেটের দুই পোস্টের দিকে উচ্চতা 1.54 মিটার এবং মাঝখানের মেঝে থেকে উচ্চতা 1.52 মিটার।নেটের উপরের প্রান্ত 0.076 মিটার চাওয়া একটি সাদা ফিতা দিয়ে দুদিকে মুড়ে দিতে হয়। 

iii.ব্যাকেট - ব্যাডমিন্টন রেকেটের হাতলের দৈর্ঘ্য 68 সেন্টিমিটার এবং ব্যাকেটের মাথা 29 সেন্টিমিটার বেশি হয় না।

iv. র্শাটলকর্ক - র্শাটলের ওজন হয় 4.74 - 5.50 গ্রাম। একটি কর্কের মধ্যে 14 - 16 টি হাঁসের পালক ঢোকানো থাকে।এর পরিধি এক ইঞ্চির।

• ব্যাডমিন্টন খেলার নিয়মাবলী - 

i. টস - যে খেলোয়াড় বা দল টসের জয় লাভে করবে সে দল সার্ভিস অথবা কোর্ট পছন্দ করে নেবে।বাকি পছন্দ পরাজিত দল গ্রহণ করবে।

ii. পয়েন্ট - একক বা দ্বৈত খেলার 21 পয়েন্ট গেম  সম্পন্ন হয়।তবে 2 পয়েন্টের ব্যবধান থাকতে হয়। কিন্তু 30 পয়েন্টের উপর যাওয়া যাবে না। যে আগে 30 পয়েন্ট পাবে সে বিজয়ী হবে।

iii. সার্ভিস ফল্ট - নিম্মলিখিত কারণে সার্ভিস ফল্ট হয় - a. র্শাটলটি কোনাকুনি শের্ট না পড়লে। b. র্শাটল কোর্টের বাহিরে পড়লে।c.র্শাটলটি যদি নেটে আটকে যায়।d.প্রতিযোগিতা ব্যাডমিন্টনের পাঁচটি বিষয় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় - পুরুষ একক,পুরুষ দ্বৈত,মহিলা একক, মহিলার দ্বৈত ও মিশ্র দ্বৈত। 

v. পরিচালনা পদ্ধতি - খেলা পরিচালনার জন্য একজন  রেফারি, একজন আম্পয়ার,একজন স্কোয়ার ও দুই বা চার লাইন টানার লোকজন থাকে।

• ব্যাডমিন্টন খেলার সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন কলাকৌশল - 

ব্যাডমিন্টন খেলার কলাকৌশলকে প্রধানত চার ভাগের ভাগ করা যায়।- 

i. গ্ৰিপ বা রেকেট ধরা।এই গ্রিপের আবার দুই প্রকার যথা ফোর হ্যান্ড গ্রিপ ও ব্যাক হ্যান্ড গ্রিপ।

ii. ফুটওয়ার্ক বা পায়ের কাজ।

iii. সার্ভিস - একজন ভালো ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়কে তিন ধরনের সার্ভিসের কৌশল জানতে হয়।সেই গুলি হল -1.দাইডিপ সার্ভিস,2লো সার্ভিস ,3.ড্রাইড সার্ভিস।

iv. স্ট্রোক বা স্ম্যাশিং - একে আবার ৫টি ভাগে ভাগ করা যায়,যথা- ফোর হ্যান্ড স্ট্রোক,ব্র্যাক হ্যান্ড স্ট্রোক, ওভার হ্যান্ড স্ট্রোক,ড্রপ শট,স্ম্যাশিং। 

৫. ভলিবল -

ভলিবল একটি দলগত খেলা।খেলার জায়গায় কিংবা জিমন্যাসিয়ামে সকল বয়সের নারী পুরুষের ভলিবল খেলতে পারে।এই খেলাটি প্রথম উদ্ভব ঘটে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের 1895 খ্রিস্টাব্দে হলিউডের ওয়াই.এম.সি.এ কলেজের শরীর শিক্ষা বিভাগের পরিচালক উইলিয়াম জি মরগ্যান এই খেলা আবিষ্কার করেন।1896 খ্রিস্টাব্দে আমেরিকা স্প্রিং ফিল্ড কলেজের শরীর শিক্ষা বিভাগের শিক্ষকরাই এ খেলার ধরন অনেকটা ভলির মতো দেখে এর নাম ভলিবল রাখেন। 

• ভলিবল খেলার সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়সমূহ -

ভলিবল খেলার বিষয়সমূহ হল - 

i. খেলার কোর্ট - এই খেলার কোর্ট আয়তকার হয়।তাঁর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ যথাক্রমে 18 মিটার ও 9 মিটার হয়।

ii. বাউন্ডারি লাইন - কোর্টের চারদিকের সীমানা 5 সেন্টিমিটার চওড়া ও বাউন্ডারি লাইন দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।

iii. সেন্টার লাইন - নেটের সরাসরি নিচে 18 মিটার দৈর্ঘ্যের পুরো কোর্টটিকে সমান দুইভাগে ভাগ করে পার্শ্ব রেখা এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত যে রেখা টানা হয় তাকে সেন্টার লাইন বলে। 

iv. সার্ভিস রেখা - ব্যাক লাইনের পিছনে পুরো জায়গা এবং ব্র্যাক লাইনের থেকে ২০ সেন্টিমিটার ফাঁকা রেখে 15 সেন্টিমিটার দাগকে দিতে হয়।এর ভিতরের জায়গাকে সার্ভিস এরিয়া বলে।

v. গঠন - এ নেটের দৈর্ঘ্য 9.5 মিটার এবং প্রস্থ 1 মিটার হয়। নেটের প্রতিটি ঘর 100 সেন্টিমিটার হয়। 

vi. নেটের উচ্চতা -  নেটের মাঝামাঝি জায়গায় ভূমি থেকে শীর্ঘ দেশের উচ্চতা পুরুষদের জন্য 2.43 মিটার ও মহিলাদের জন্য 2.24 মিটার।

vii. বল - বল নরম গোলাকার চামড়া দিয়ে তৈরি হয়।

viii. দল - প্রতি দলে 12 জন খেলোয়াড় নিয়ে গঠিত হয়। 

• ভলিবল খেলার সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন কলাকৌশল -

ভলিবল খেলার কলাকৌশল গুলি হল -

i.সার্ভিস - এক হাতে বল শূন্যে তুলে অপর হাতে খোলা বা সৃষ্টি বদ্ধ অবস্থায় জোরে আঘাত করে বিপক্ষের কোর্টে প্রেরন করাকে সার্ভিস বলে।সার্ভিস সাধারণত দুই প্রকার হয়ে থাকে।আন্ডার হ্যান্ড সার্ভিস ও টেনিস সার্ভিস।

ii. পাসিং -  বলকে পাসকে সাধারণত দু'ভাগে ভাগ করা যায়।1.দুহাত মাথার উপর দিয়ে সামনে পাস করা, 2.কুনই কাঁধের নিচে এনে পাস দেওয়া। 

iii. সেট আপ - কোর্টের সম্মুখে সারির কোনো খেলোয়াড় আন্ডার আর্ম পাস থেকে প্রাপ্ত বল দুই হাতের প্রসারিত তালু ও আঙুল সহযোগে নেটের কাছাকাছি উপরে উঠিয়ে দেয়।

iv. ব্লকিং - ব্লক দেওয়ার সময়ে জোড়া পায়ে উপরে লাফাতে হয়।তবে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন ব্লকিং করার সময়ে হাত নেট স্পর্শ করে।

v. স্ম্যাশিং - স্ম্যাশিং এর বলটিকে অবশ্যই নেটের উপরে থাকতে হয়।

৬. কাবাডি -

কাবাডি হল এশিয়া মহাদেশের নিজস্ব ঐতিহ্য ও জনপ্রিয় খেলা।বিশেষ করে প্রাক্ ভারত মহাদেশের এটি একটি প্রাচীন খেলা।যেহেতু আঞ্চলিক খেলায় তাই  বিধিবদ্ধ নিয়মকানুন ছিল না।1978 খ্রিস্টাব্দে ভারতবর্ষ, বাংলাদেশ,নেপাল,বার্মার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এশিয়ান কাবাডি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।এভাবে আস্তে আস্তে কাবাডি খেলা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

• কাবাডি খেলার সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় সমূহ - 

i. কাবাডি মাঠ - কাবাডি মাঠ হবে সমান্তরাল ও নরম। কাবাডি খেলার তিন ধরনের মাঠ রয়েছে যথা 1.পুরুষ ও জুনিয়র বালক,2.মহিলা ও জুনিয়র বালিকা,3.সাব জুনিয়র বালক ও বালিকা।

ii. সিটিং ব্লক - আউট হওয়া খেলোয়াড়দের বসার জন্য যে জায়গা তাকে বলা হয় সিটিং ব্লক।

iii. লবি - খেলার মাঠে উভয় দিকে 1 মিটার চওড়া যে জায়গা আছে তাকে লবি বলে।

iv. মধ্যরেখা - যে রেখা কোর্টকে সমান দু'ভাগে ভাগ করেছে, তাকে মধ্যরেখা বলে।

v. কোর্ট - প্রত্যেক অর্ধেক খেলার মাঠ যা মধ্য রেখা দ্বারা বিভক্ত থাকে তাকে কোর্ট বলে।

vi. পরিচালনা - কাবাডি খেলা পরিচালনার জন্য ছয়জনকে প্রয়োজন হয়।একজন রেফারি,দুজন আম্পয়ার,একজন স্কোয়ার দুজনসহ সহকারী স্কোয়ার।

• কবাডি খেলার সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন কলাকৌশল -

কবাডি খেলার কলাকৌশল গুলি হল - 

i. রক্ষণাত্মক কৌশল -

  • গোড়ালি ধরা - যখন রেইভার পা দ্বারা বিপক্ষ খেলোয়াড়কে ছোঁয়ায় চেষ্টা করে তখন এই কৌশল ব্যবহার করা হয়। 
  • হাটু ধরা - যখন রাইভার পা দ্বারা ছোঁয়ায় চেষ্টা করে বা পায়ের নড়াচড়ার সময় পা স্থির থাকে বা পা দুই একত্র হয় তখন এই কৌশল ব্যবহার করা হয়।
  • কোমর ধরা পদ্ধতি।
  • কোমর ধরা পদ্ধতি।
  • চেইন ধরা পদ্ধতি প্রভৃতি।
ii. আক্রমনাত্মক কৌশল - রেইভার দম দিয়ে বিপহ্মে খেলোয়াড়কে ছোঁয়ায় জন্য যে পন্থা অবলম্বন করে তাকে আক্রমনাত্মক কৌশল বলে।যেমন পা দিয়ে ছোঁয়া,হাত দিয়ে ছোঁয়া প্রভৃতি। 

6. বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা - 

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা গুলি হল -
  1. শিক্ষার্থীদের মানসিক উন্নয়নের খেলাধুলা সহায়তা করে।
  2. শিক্ষার্থীদের শরীর গঠনে খেলাধুলা বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
  3. শিক্ষার্থীদের সু - শৃঙ্খলা বোধ গড়ে তুলতে সহায়তা করে।
  4. শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার মাধ্যমে চরিত্রে গঠনের সহায়তা করে।
  5. শিক্ষার্থীদের মধ্যে জাতীয়তাবোধ সৃষ্টি করে।
  6. শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যোন্নয়নে ও রোগ প্রতিরোধ করতে খেলাধুলা বিশেষ গুরুত্ব পালন করে।
  7. শিক্ষার্থীদের অমনোযোগিতা ও একঘেয়েমিতা দূর করে পঠন-পাঠনের মনোযোগী করে তুলতে সাহায্য করে।
  8. শিক্ষার্থীদের  সক্রিয় ও সচ্ছল জীবন গড়ে তুলতে সহায়তা করে।
  9. শিক্ষার্থীদের সমাজ মুখী মনোভাব গড়ে তুলতে সহায়তা করে যা তাদের সমাজ ও দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ জাগ্রত করে।
  10. শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা বিকাশ হয়।
7. উপসংহার - 

পরিশেষে বলা যেতে পারে,শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় শুধুমাত্র পঠন-পাঠনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না।একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শুধু মানসিক নয় শারীরিক বিকাশ বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং সুদক্ষ করার জন্য খেলাধুলা একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে।শিক্ষার্থীদের সমাজ মুখী,মনোযোগী ও দায়িত্ব বোধ গড়ে তুলতে সহায়তা করে খেলাধুলার। তাই স্বামী বিবেকানন্দ যথার্থই বলেছেন "গীতা পাঠের চেয়ে ফুটবল খেলা উচিত।"

CLICK HERE -

ENGLISH VERSION PDF FILE











Post a Comment (0)
Previous Post Next Post