Community Based Activists - Cultural Programmes

Community Based Activists - Cultural Programmes

Community Based Activists - Cultural Programmes

BENGALI VERSION||ENGLISH VERSION
Community Based Activists - Cultural Programmes



(*** ENGLISH VERSION FILE BELOW THE ARTICLE BY PDF FORMAT)

Community Based Activists - Cultural Programmes

BENGALI VERSION -

1. ভূমিকা -

বর্তমানে শিক্ষাব্যবস্থার বিদ্যালয়গুলিতে শুধুমাত্র পঠন-পাঠন বা পাঠ্যক্রমের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই,বরং আধুনিক দিনে বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিত্বের বিকাশ, আত্মবিশ্বাস তৈরি,যোগাযোগ দক্ষতা এবং শিষ্টাচার ইত্যাদির মধ্যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নানা দক্ষতা প্রদানের ওপর ফোকাস করা হচ্ছে।শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই দহ্মতা গুলি গড়ে তোলার জন্য পাঠ্যক্রম ছাড়াও সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীর প্রতি বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে।এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হল একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জীবনে একটি প্রধান ভূমিকা পালন করে।তাই প্রতিটি বিদ্যালয়ের বার্ষিক বিদ্যালয় দিবসকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের হিসেবে উদযাপন করে থাকে।


2. সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান -

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হল খেলাধুলা বা কার্যকলাপ যা ঐতিহাসিক বা সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখে বা বৃদ্ধি করে,জন সাধারণের সদস্যদের প্রশংসা করে।এটি একজন ব্যক্তির বুদ্ধি,আগ্ৰহ,রুচি ও দহ্মতার প্রশিক্ষণ এবং পরিমার্জন। অর্থাৎ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হল কোনো দেশের বিভিন্ন সংস্কৃতির কৃষ্টি ও ভাষার মিথস্ক্রিয়া।এই মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে কোনো দেশের বিভিন্ন পুরানো ঐতিহ্য যেমন - লোকসংগীত ও লোকনৃত্য ইত্যাদি গুরুত্ব পেয়ে থাকে।এর মাধ্যমে শিক্ষার্থী তথা সমাজের মানুষদের নিজের দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় ঘটানোর সম্ভব হয়ে থাকে। বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কখনো এক দিনেই বা কখনো ৩ - ৪ দিন ব্যাপী হয়ে থাকে।

3. উদ্দেশ্যাবলী -

বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালনের উদ্দেশ্যে গুলি হল -
  1. শিক্ষার্থীদের মধ্যে তাদের সংস্কৃতির সাথে পরিচয় ঘটাতে সহায়তা করে।
  2. বিদ্যালয়ের সাথে জন সম্প্রদায়ের মিথস্ক্রিয়া সুযোগ করে দেওয়া।
  3. শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুপ্ত প্রতিভাকে জাগ্রত করার সুযোগ করে দেয়। 
  4. শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস অর্জনে সহায়তা করে।
  5. শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মসম্মান এবং উচ্চ সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটে। 
  6. শিক্ষার্থীরা যে কোনো কর্মের প্রতি একাগ্রতা বৃদ্ধি পায়।
  7. শিক্ষার্থীদের মধ্যে সময়ের প্রতি গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়।
  8. শিক্ষার্থীদের মধ্যে উন্নত নেতৃত্বদানের দক্ষতা ও সহকর্মী বোঝার বিকাশ করতে সহায়তা করে। 
  9. শিক্ষার্থীদের মধ্যে সু - ভারসাম্য পূর্ণ ব্যক্তি গড়তে সহায়তা করে। 
  10. শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহযোগিতা ও সহমর্মিতা মনোভাব গড়ে ওঠে।
  11. শিক্ষার্থীদের মধ্যে বন্ধু সুলভ মনোভাব গড়ে ওঠে।
 

4. সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রকারভেদ - 

বিদ্যালয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড হল -
  • স্থানীয় উৎসব উদযাপন।
  • প্যারেড।
  • খেলার প্রতিযোগিতা।
  • নাচের প্রতিযোগিতা। 
  • গানের প্রতিযোগিতা।
  • চিত্র অঙ্কন প্রতিযোগিতা। 
  • বিতর্ক এবং বক্তৃতা প্রতিযোগিতা। 
  • প্রদর্শনী। 
  • কর্মশালা। 
  • নাটকীয়তা। 
  • বিদ্যালয়ের বার্ষিক উৎসব।
5. সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালনের গুরুত্ব -

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালনের গুরুত্ব হল -
  • সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসের মাত্রায় বৃদ্ধি করে। 
  • শিক্ষার্থীরা আরও ভালো পারফর্ম করে। 
  • শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটবে। 
  • শিক্ষার্থীদের ভাল ক্যারিয়ার গড়তে সাহায্য করে।
  • শিক্ষার্থীরা সংস্কৃতিকে সম্মান করার মনোভাব গড়ে উঠে।

6. বিদ্যালয়ের সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পালনের তাৎপর্য -

  1. বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের ফলে তাদের মধ্যে উৎসাহ বৃদ্ধি পায়।
  2. শিক্ষার্থীরা সক্রিয় অংশগ্রহণের ফলে তাদের মধ্যে স্টেজে অর্থাৎ সবার সামনে সম্মুখীন হওয়ার ভীত হ্রাস পায়।
  3. যে সমস্ত শিক্ষার্থীরা পাঠক্রম ছাড়াও সহ পাঠক্রমিক ক্রিয়াকলাপের সঙ্গে জড়িত তাদের আত্ম সম্মান এবং উচ্চ সৃজনশীলতার স্তরে কারণে শিক্ষায় উচ্চ স্কোর করে। 
  4. পাঠক্রম বহির্ভূত ক্রিয়াকর্মের অংশগ্রহণের ফলে শিক্ষার্থীদের মনকে সতেজ করে এবং তাদের আরও একাগ্রতার সাথে অধ্যায়ন করতে পারে।
  5. শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দ্বারা নিজ জীবনে তারা সময়ের গুরুত্ব এবং সময়ের ব্যবস্থাপনার পূর্ব পরিকল্পনা সম্পর্কে ধারণা জাগ্ৰত হয়।
  6. পাঠক্রম বহির্ভূত কার্যকলাপের সাথে জড়িত শিক্ষার্থীরা সামাজিক দক্ষতা,সমালোচনামূলক চিন্তা দহ্মতা,দলগত কাজ এবং উন্নত নেতৃত্বের দহ্মতা এবং সহকর্মী বোঝার দহ্মতা ও বিকাশ লাভ করে।
  7. শিক্ষার্থীদের মধ্যে দায়িত্ব বোধের বিকাশ ঘটে।
  8. শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য যেমন হতাশা,উদ্বেগ ইত্যাদি কমানো যায়,যা শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য উভয়কেই ভালো রাখতে সাহায্য করে।
7. বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালনের বিভিন্ন ব্যক্তিদের ভূমিকা - 

• প্রধান শিক্ষক/শিহ্মিকার ভূমিকা -
  1. বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অতিথি রূপ কাকে বলবেন তার নির্ধারিত করা।
  2. অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথিদের নিমন্ত্রণ করা।
  3. অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অশিক্ষক কর্মচারী বৃন্দ মধ্যে বিভিন্ন দায়িত্ব বন্টন করে দেবেন।
  4. শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ের নাম নথিকরণ উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
  5. অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেওয়া। 
  6. অনুষ্ঠানে বিভিন্ন কার্যাবলী পর্যবেক্ষণ করা। 

• শিক্ষকের ভূমিকা -
  1. প্রধান শিক্ষকের নির্দেশ মেনে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করা।
  2. বিভিন্ন অতিথিকে আমন্ত্রণে চিঠি পাঠানো।
  3. বিদ্যালয় ও মঞ্চ সাজানোর জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় করা।
  4. শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কাজের প্রেরণা জাগানো।
  5. অনুষ্ঠানে উপস্থিত জনগণ তথা সকলের জন্য বসার সুব্যবস্থা করা। 
  6. বিদ্যালয়কে সাজানোর সাহায্য করা।
  7. অনুষ্ঠানে অভ্যর্থনার ব্যবস্থা করা।
• প্রশিক্ষণ শিক্ষকের ভুমিকা - 
  1. শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে নৃত্য,সঙ্গীত ইত্যাদিতে অংশগ্রহণ করতে উদ্বুদ্ধ করা।
  2. শিক্ষক মহাশয় ও অন্যান্য অশিক্ষক কর্মচারী বৃন্দ দের অনুষ্ঠান পরিচালনা সাহায্য করা। 
  3. সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গুলি মঞ্চস্থ করতে শিক্ষার্থীদের সাহায্য করা।
• শিক্ষার্থীদের ভূমিকা -
  1. বিভিন্ন নৃত্য,সঙ্গীত,আবৃত্তি,বক্তৃতা দিয়ে থাকে।
  2. অনুষ্ঠানের জন্য বিদ্যালয় সাজানো, মঞ্চ সাজানো ইত্যাদি কাজ করে থাকে। 
  3. অভিভাবক জন্য সুব্যবস্থা করা। 
  4. সঠিক পরিচালনা, দৃশ্য পরিবর্তনে সাহায্য করা।
  5. অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ব্যবস্থাপনা উপর লহ্ম রাখেন।
8. উপসংহার -

পরিশেষে বলা যেতে পারে,আমাদের জীবনে সংস্কৃতি ও সমাজ দুই গুরুত্বপূর্ণ।একটি ব্যক্তিকে সমাজ মুখী করতে হলে সংস্কৃতিকে জানা দরকার আবার সাংস্কৃতিক মধ্যে দিয়ে সামাজিক হয়ে ওঠে।যদি একটি শিশুকে ছোট থেকে অর্থাৎ বিদ্যালয় স্তর হইতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগদান করে তাহলে শিশুর সমাজ মুখী হয়ে ওঠে, তার মধ্যে দিয়ে দেশের সংস্কৃতি ঐতিহ্য ধারণা লাভ করে। বিদ্যালয়ে গতানুগতিক শিক্ষা পদ্ধতি বা পাঠক্রম ছাড়াও সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বর্তমানে।যাতে শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের জন্য একান্তভাবে উপযোগী। বিদ্যালয়ে সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী মধ্যে আবৃত্তি,নৃত্য,সংগীত,বক্তৃতা ও খেলাধুলা ইত্যাদি সমস্ত রকম কার্যাবলী লক্ষ করা যায়।তাই বিদ্যালয় স্তরে শিক্ষার্থীদের পঠন-পাঠন ছাড়াও সহ পাঠক্রমিক কার্যাবলী ও সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গুলি প্রতি বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে।

CLICK HERE -









Post a Comment (0)
Previous Post Next Post