করোনা ( লকডাউন ও আনলক ) পরিস্থিতিতে মাধ্যমিক বিদ্যালয় পঠনপাঠন এবং শিশুর উপর তার প্রভাব || Current studies of Secondary School Education during Covid-19 ( Lockdown and Unlock) situation and impact on children.
Community Based Activities -
BENGALI VERSION -
করোনা ( লকডাউন ও আনলক ) পরিস্থিতিতে মাধ্যমিক বিদ্যালয় পঠনপাঠন এবং শিশুর উপর তার প্রভাব
1. ভূমিকা -
Covid-19 হল SARS-COV-2 ভাইরাসের দ্বারা সৃষ্ট একটি সংক্রামক ব্যাধি।যা 2019 সালে চিহ্নিত একটি করোনা ভাইরাস।এই মহামারীর সারা বিশ্বের কাছে এক ভয়াবহ রূপে দেখা যাচ্ছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ন্যায় ভারতবর্ষে এই রোগের প্রাদুর্ভাব লহ্ম্য করা যায়।তাই ভারত সরকার 24শে মার্চ,2020 সালে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে সমগ্ৰ দেশব্যাপী লকডাউনের ঘোষণা করেন।এর ফলে বিদ্যালয়, কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির, অফিস, আদালতে,শিল্প,ব্যবসা বাণিজ্য,ও পরিবহনে ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলস্বরুপ সামাজিক, অর্থনৈতিক,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রভৃতি দিকে এর প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
অনুরূপভাবে,এর প্রভাব লক্ষ্য করা যায় শিহ্মা মহলে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলি বন্ধ করার ফলে শিহ্মা ব্যবস্থা অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল। তাই শিক্ষাব্যবস্থাকে সচল করার জন্য দুটি পদ্ধতি তথা অনলাইন ও অফলাইন শিক্ষা ব্যবস্থা অবলম্বন করে পঠন-পাঠন চালু করা হয়। করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন চলাকালীন অনলাইন শিক্ষা এবং আনলক প্রক্রিয়ার পর পুনরায় বিদ্যালয় খোলা এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে শিহ্মাব্যবস্থাকে সচল রাখার চেষ্টা করা হয়। তবে এই শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয় বিশেষভাবে প্রভাবিত হয়েছে। লকডাউন এবং আনলক দুই পরিস্থিতিতে শিক্ষাব্যবস্থায় বহু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছে শিক্ষক শিক্ষিকাদের।এই সমস্যাগুলি সমাধানের মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধরে রাখতে সচেষ্ট হয়েছেন।
2. বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ড্রপ আউটের সংখ্যা বৃদ্ধি -
Covid-19 মহামারি পরিস্থিতিতে বিদ্যালয় গুলি বন্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু শিহ্মাব্যবস্থাকে সচল রাখার জন্য দুই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে। অনলাইন ও অফলাইন এই দুই পদ্ধতি শিহ্মাব্যবস্থা চলছিল। কিন্তু এই মহামারীর পরিস্থিতিতে ভারতবর্ষে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল ড্রপ আউট। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, ভারতবর্ষে প্রায় প্রতিটি রাজ্য ড্রপ আউটের সংখ্যা কম বেশি ছিল।
ড্রপ আউটের পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে।, সেগুলি হল -
- করোনা পরিস্থিতিতে অনেক পরিবারের আর্থিকভাবে বেকার হয়ে পড়ে।
- দীর্ঘদিন ধরে বেকারত্ব আর্থিকভাবে চাপ বা ঋনের বোঝা।
- দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয় বন্ধ থাকার ফলে শিক্ষার্থীদের পঠন পাঠন প্রতি মনোযোগ হারিয়ে ফেলেছে।
- পরিবারের আর্থিক সহায়তা করতে গিয়ে অনেক শিহ্মার্থীরা শিশুশ্রমিক হিসাবে কাজ শুরু করেছে।
- অভিবাসী বহু শ্রমিকদের বাস্তুচ্যুত হওয়ার ফলে তাদের সন্তানরা বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়েছে।
- আবার বহু মেয়ে শিহ্মার্থীরা বাল্যবিবাহের ফলে বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়েছে।
- বেসরকারি বিদ্যালয়ের অতিরিক্ত ফি জন্য শিক্ষার্থীরা ঝরে পড়েছে।
- শিহ্মার ফাঁক এবং মান সম্পন্ন শিক্ষার অ্যাক্সেসের মতো চ্যালেঞ্জ।
উপরিউক্ত কারন গুলি জন্য বহু শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়েছে।রাজ্য ভিত্তিতে এই ড্রপ আউটের সংখ্যা তারতম্য রয়েছে।তবে বার্ষিক স্টেট অফ এডুকেশন রিপোর্ট (ASER) 2018-2020 সালে বিদ্যালয় শিহ্মার্থীদের মধ্যে ঝরে পড়ার হার হ্রাসে শীর্ষস্থানে ছিল পশ্চিমবঙ্গ।ASER 2020 সালের রিপোর্ট অনুসারে রাজ্য বিদ্যালয় ড্রপ আউটের হার 3.3% থেকে 1.5% নেমে এসেছে।তখন এটি জাতীয় স্তরে যেখানে 4% থেকে 5.5% পৌঁছেছে। Covid-19 পরিস্থিতিতে সরকারের শিক্ষা দপ্তর ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দ্বারা বিভিন্ন পদহ্মেপ রাজ্যের ড্রপ আউটের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করছে।
3. অনলাইন শিক্ষার ডিজিটাল বিভাজন ও শিখনে অসমতা -
করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে ভারতে এবং বিশ্বব্যাপী অনেক সংস্থা শিহ্মার সমস্যা সমাধান হিসেবে ডিজিটাল শিক্ষা প্রতি জোর দিয়েছেন।এই শিক্ষা ব্যবস্থায় মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে ডিজিটাল বিভাজনের এবং অসমতার মুখে ঠেলে দিয়েছে।শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল বিভাজনে এবং শিখন অসমতার পেছনে বেশ কিছু কারণ লক্ষ করা যায়।যথা -
- করোনা পরিস্থিতিতে বহু পরিবার বেকার এবং আর্থিক ঋণের বোঝা বৃদ্ধি পেয়েছে,ফলে তাদের সন্তানদের পড়াশোনা করাতে পারিনি।
- অনেক পরিবারে লহ্ম করা যায়, তারা একটিমাত্র স্মার্ট ফোন মালিকানা বা অনেক হ্মেত্রে তাও নেই। যা সেই পরিবারের শিহ্মার্থীদের অনলাইন এডুকেশন একটি সমস্যা।
- ভারতে অর্ধেক অংশ পরিবারের কাছে ইন্টারনেট সংযোগ নেই।
- করোনা পরিস্থিতিতে মোবাইলের ডেটা খরচ বহু হওয়ার জন্য তারা নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের পরিবর্তে ডেটার জন্য অতিরিক্ত খরচ করতে চাই নি।
- অনলাইন শিক্ষায় লিঙ্গ গত বৈষম্যতা লক্ষ্য করা যায়।যেমন পরিবারের ছেলে এবং মেয়ে শিহ্মার্থী থাকলে অনলাইন এডুকেশনের জন্য শুধুমাত্র ছেলে শিক্ষার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
- পরিবারে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল ক্লাস বিশেষভাবে কঠিন ব্যাপার।
এই সমস্ত কারণে সম্মুখীন হওয়ার ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিখনের প্রতি একটি অসমতা সৃষ্টি করেছে।যা শিক্ষার্থীদের শিক্ষা থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে এবং বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
4. Covid-19 এ লকডাউন ও আনলক পরিস্থিতিতে বিদ্যালয়ের শিহ্মাদানে চ্যালেঞ্জ -
Covid-19 মহামারি পরিস্থিতিতে 2020,মার্চ মাসে বিভিন্ন বিদ্যালয় গুলি বন্ধ করা হয়েছিল।দেশের লকডাউন এবং আনলক পরিস্থিতিতে এক নতুন ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।এই শিহ্মাব্যবস্থা Offline Classroom থেকে Online Classroom এ পরিবর্তন করা হয়েছিল। কিন্তু যে কোনো নতুন ব্যবস্থাকে মানিয়ে নিতে গেলে কিছু কিছু চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিকে সম্মুখীন হতে হয়।এই দুই পরিস্থিতিতে শিক্ষার পরিবর্তনে শিক্ষক - শিহ্মিকাদের বেশ কিছু চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়।যথা -
ক. লকডাউন চলাকালীন -
লকডাউন সময়ে বিদ্যালয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল মূলত অনলাইন মাধ্যমে।তবে এই শিক্ষা ব্যবস্থায় শিহ্মক শিহ্মিকার যে সমস্ত চ্যালেঞ্জ গুলি সম্মুখীন হয়।তা হল -
১. অনলাইনে শিক্ষা দান -
গতানুগতিক শিক্ষাব্যবস্থা শিহ্মক শিহ্মিকার সাধারনত শ্রেণিকক্ষে শৈলীর পাঠদান পদ্ধতি অনুসরণ করেন, কারন তাঁরা শুধুমাত্র একটি ব্ল্যাকবোর্ড এবং বই দিয়ে পড়াতে ব্যবহার করেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভার্চুয়াল এবং প্রযুক্তি চালিত শিক্ষা পদ্ধতি গ্ৰহন করা হয়।যা শিক্ষক শিক্ষিকার কাছে দহ্মভাবে পরিচালনা করা একটি বড়ো চ্যালেঞ্জিং বিষয়।
২. শিহ্মক শিক্ষার্থীর মধ্যে যোগাযোগ -
অনলাইন শিহ্মাব্যবস্থার শিহ্মক শিহ্মিকার একটি অন্যতম বড়ো চ্যালেঞ্জিং বিষয় হল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা। সিলেবাস যতই হোক,তা শেষ করার জন্য শিহ্মক শিহ্মিকারা যথেষ্ট চেষ্টা করেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইনে শিহ্মার তারা শারীরিক ভাষা ছাড়া অন্য কোনো উপায় থাকে না,ফলে ঠিক মতো শিক্ষার্থীরা সঠিকভাবে বুঝতে পারছে কিনা তা বোঝা মুশকিল। তাছাড়াও অনলাইন শিক্ষার দেখা গেছে যে,বহু শিক্ষার্থীরা ক্লাস চলাকালীন শিহ্মক শিহ্মিকার সাথে ঠিক মতো কথোপকথন করতে পারে না, অধিকাংশ সময় শিক্ষার্থীরা চুপচাপ থাকে, বা বিষয় সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা প্রশ্ন করে না।
৩. শিক্ষার্থীদের স্বাধীন শিখন -
অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থায় শিহ্মক শিহ্মিকারা শিক্ষার্থীদের স্বাধীন শিখন প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছেন।শিক্ষার্থীরা তাদের বিদ্যালয়ের কাজের তত্ত্বাবধানে, নির্দেশিত এবং কঠোরভাবে সময়সূচীতে অভ্যস্ত হয়ে এবং প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম গুলি সহ সংস্থাগুলি ব্যবহার করার হ্মেত্রে,বিদ্যালয় বন্ধের জন্য তাদের প্রয়োজন হয়, বিশেষ করে যাদের অভিভাবকদের কাছে তাদের সাহায্যে করার জন্য কম উপলব্ধ, তাদের আরো। স্বাধীন হওয়ার জন্য। তাদের শেখার মধ্যে। শিক্ষার্থীদের আরও স্বাধীন এবং দায়িত্বশীল করে তোলার জন্য কাজের পরিকল্পনা একটি দরকারী সম্পদ হতে পারে,তবে শর্ত থাকে যে তারা প্রতিটি বিষয়ের জন্য অভিযোজিত হয়।এবং শিক্ষার্থীদের স্পষ্টভাবে শেখানো হয় যে কীভাবে তাদের ব্যবহার করতে হয়।
৪. শিহ্মক শিহ্মিকাদের ডিজিটাল দহ্মতা বৃদ্ধিকরণ -
করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাব্যবস্থা অনলাইনে করার ফলে বহু শিক্ষক শিক্ষিকার কাছে এটি একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। শিক্ষক শিক্ষিকারা শ্রেণিকক্ষ শৈলীর পাঠদান পদ্ধতিতে অভ্যস্ত, কিন্তু এই পরিস্থিতিতে তাদের অনলাইনে পাঠদানের জন্য Google meet, Zoom, YouTube, Microsoft teams মতো অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে পাঠ্য বিষয়বস্তু নিয়ে পঠন-পাঠন করাতে হচ্ছে।তাই এই সমস্ত অ্যাপ্লিকেশন গুলিকে দক্ষ ভাবে পরিচালনা করার দক্ষতা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের থাকা দরকার।
৫. উন্নত পাঠ্যক্রম -
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে বিদ্যালয় গুলি বন্ধ রাখা হয়,পরবর্তীকালে শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে পঠন-পাঠন করানো হচ্ছে।এই শিক্ষাব্যবস্থা সবচেয়ে বড় সমস্যা হল পাঠক্রম,দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয় বন্ধ থাকার ফলে শিক্ষার্থীদের পঠন পাঠন বন্ধ ছিল কিন্তু হঠাৎ অনলাইন ক্লাস শুরু হওয়া পর শিক্ষার্থীদের পাঠক্রমের ওপর একটি বাড়তি চাপ লহ্ম্য করা যায়। তাই পাঠক্রম গুলোকে সংক্ষিপ্তকরণ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রয়োজনীয় অংশ রেখে অপ্রয়োজনীয় অংশ বাদ দেওয়া হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের কল্যাণের জন্য পাঠক্রম গুলিকে উন্নত করা হচ্ছে।
৬. পাঠ্য বিষয় সরবরাহ -
অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে শিক্ষার্থীদের কাছে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল পাঠ্যবিষয়ের নোট বা তথ্যসমূহ সরবরাহ।অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষিকার সেই পাঠ্যবিষয়ের বইের নোট ও তথ্য সমুহ পিডিএফ আকারে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বা মেইলের মাধ্যমে পাঠানো হয় শিক্ষার্থীদের কাছে। এছাড়াও বিষয় বিষয়ে অ্যাসাইনমেন্ট বা হোর্মওয়াক পাঠানো হয়।লকডাউন চলাকালীন শিক্ষার্থীদের কাছে এই সমস্ত বিষয় সরবরাহ করা একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়।
৭. পাঠ্যক্রমের কভার -
অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা একটি বড় সমস্যা হল পাঠক্রম সম্পূর্ণ পাঠ করা শিক্ষক শিক্ষিকার কাছে একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ।তাই শিক্ষক - শিক্ষিকারা
মূলত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের প্রশ্ন বা প্রয়োজনীয় বিষয়গুলি পঠন-পাঠন পড়ানো হচ্ছে।বাকি অপ্রয়োজনীয় অংশ বাদ দেওয়া হচ্ছে।
৮. পরীহ্মা সংক্রান্ত -
করোনা পরিস্থিতিতে বিদ্যালয়গুলিতে পরীহ্মা স্থগিত রাখতে হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে স্থগিত রাখার পর ওপেন বুক পরীক্ষা মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা করা হয়।এই পরীক্ষা ব্যবস্থার শিক্ষার্থীদের সঠিক সময় পরীক্ষার প্রশ্ন এবং পরীক্ষা পর কি কি করতে হবে তা নির্দেশনা ও দেখাশোনা করেন শিহ্মক শিহ্মিকার।
৯. সময় ব্যবস্থাপনা -
গতানুগতিক শিক্ষাব্যবস্থা ছিল শ্রেণিকক্ষ শৈলী বিশেষ কিন্তু বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ নতুন রূপ অনলাইন এডুকেশন। এই শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাছে একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয় হল সময় ব্যবস্থাপনা।দেখা গেছে যে অনলাইন এডুকেশনে শিক্ষক শিক্ষিকা দ্বারা অনলাইন ক্লাসে শিক্ষার্থীরা দেরিতে প্রবেশ করে বা প্রযুক্তিগত ত্রুটি থাকলে শিক্ষক শিক্ষিকার কাছে আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং করে তোলে।একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের পঠন পাঠন এবং তাদের জিজ্ঞাসা গুলি শুনতে হয় শিহ্মক শিহ্মিকাদের।তাই অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষক শিক্ষিকাদের সময় প্রতি বিশেষ নজর দিতে হয়।
১০. মূল্যায়ন -
অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থায়, শিক্ষার্থীদের তখন অ্যাসাইনমেন্ট বা প্রকল্প দেওয়া হয়,তখন শিহ্মক শিহ্মিকারা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। যেহেতু শিহ্মক শিহ্মিকা এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে যোগাযোগ কম থাকে,ফলে শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স তুলনামূলকভাবে আগের পারফরম্যান্সের থেকে পৃথক হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে কম অ্যাসাইনমেন্ট,বা পরে করার মনোভাব বা পরীক্ষা জনিত অনুভব করার সম্ভাবনা তৈরি হয়,যা একজন শিক্ষক বা শিক্ষিকার কাছে শিহ্মার্থীর সার্বিক মূল্যায়ন করা একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়। কিন্তু তবুও পূর্ববর্তী ক্লাসের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে শিহ্মক শিহ্মিকাদের শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করতে হচ্ছে।
খ. আনলক চলাকালীন -
দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাব্যবস্থা গুলি বন্ধ থাকার পর অনলাইনের মাধ্যমে পঠন-পাঠন করানো হয়েছিল। কিন্তু শিক্ষার্থী-অভিভাবক এবং শিক্ষক শিক্ষিকাদের অভিমত শুনে বিদ্যালয় গুলিকে পুনরায় খোলা হয়। Covid-19 বিধিনিষেধ মেনে আবার অনলাইন ও অফলাইন দুই পদ্ধতিতে বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থা গুলিতে পঠন-পাঠন শুরু হয়েছে। বিদ্যালয় গুলির পুনরায় খোলার পর শিক্ষক - শিক্ষিকাদের বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়।যথা -
১. মুক্ত প্রাঙ্গনে শিহ্মাদান -
বিদ্যালয় খোলার পর শিক্ষার্থীদের পর্যায়ক্রমে ভাগ করে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অর্থাৎ মুক্ত প্রাঙ্গণে পঠনপাঠন শুরু করা হয়েছে।তবে শিক্ষক শিক্ষিকাদের বেশ পঠনপাঠনে সুবিধা মতো শিক্ষার্থীদের দিন ভাগ করে দিয়েছে।যা শিক্ষক শিক্ষিকার কাছে একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়।
২. উন্নত পাঠ্যক্রম -
Covid-19 এর আনলক পরিস্থিতিতে শিক্ষা ব্যবস্থার পাঠক্রম প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগত দহ্মতা এবং জ্ঞানের বিষয়ে কিছু পাঠক্রমের অগ্ৰাধিকার প্রস্তাব করা হয়েছিল।যা শিহ্মার্থীদের বয়স,গ্ৰেড স্তরের উপর নির্ভর করে হয়েছে।যেমন পাঠক্রমের প্রয়োজনীয় অংশ রেখে অপ্রয়োজনীয় অংশ গুলি ছাড় দেওয়া হচ্ছে।শিহ্মা ব্যবস্থার পাঠক্রমকে সংশোধন করেছে যে শিহ্মার্থীরা খুব কমই বিদ্যালয় অর্জিত জ্ঞান এবং দহ্মতাকে দৈনন্দিন পরিস্থিতিতে পর্যাপ্তভাবে স্থানান্তর করতে সহ্মম হয়েছে।
৩. ড্রপ আউট -
দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয় বন্ধ থাকার পরে আনলক পরিস্থিতিতে বিদ্যালয় গুলি খোলার পর লহ্ম্য করা যাচ্ছে এক অংশ শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাচ্ছে না।একে বলে হয় ড্রপ আউট।এই সমস্ত শিক্ষার্থীদের পুনরায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে আনা এবং পুনরায় পঠনপাঠন করানো শিহ্মক শিহ্মিকার কাছে একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ।
৪. বিদ্যালয় পরিবেশ -
আনলক পরিস্থিতিতে বিদ্যালয় খোলার পর শিক্ষক শিক্ষিকা এবং বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয় হল বিদ্যালয় পরিবেশকে পুনরায় শিক্ষা পরিবেশে উপযোগী করে গড়ে তোলা। বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ছোট ছোট পরিবর্তন এবং নতুন রুটিন, নতুন কর্ম পদ্ধতি গুলির সূচনা মাধ্যমে শিক্ষার্থীর শ্রেণিকক্ষে এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশকে উন্নত করে। কারণ সমগ্ৰ শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়ে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দবোধ করা আবশ্যক।তাই বিদ্যালয়ে শিখনে হ্মেত্রে পরিবেশকে উন্নত করা একান্ত জরুরী,যা একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়।
৫. শিখন পদ্ধতি -
আনলক পরিস্থিতিতে বিদ্যালয় খোলার পর শিক্ষার্থীদের পঠনপাঠন জন্য শিহ্মক শিহ্মিকার শিখন পদ্ধতির হল অন্যতম একটি চ্যালেঞ্জ।এই সময় শিহ্মক শিহ্মিকার শিখন পদ্ধতির উপর বৈচিত্র্য আনতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের শিখন জন্য তাদের যে অ্যাক্টিভিটি গুলি করতে হবে। শিক্ষার্থীদের কাছে যা শিখতে বলছেন সেটি দৈনন্দিন জীবনের প্রাসঙ্গিক হতে হবে।
৬. সহশিহ্মামূলক কার্যক্রমে প্রধান্য -
বিদ্যালয় খোলার পর অধিক পড়াশোনা চাপ থেকে শিক্ষার্থীদের মুক্ত করার জন্য সহশিক্ষা মূলক কার্যক্রমের উপর বিশেষভাবে প্রাধান্য দেওয়া।তাই একাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের সুরহ্মা নিশ্চিত করা একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ।এহ্মেত্রে সহশিহ্মামূলক কার্যক্রম গুলিতে জোর প্রদানের মাধ্যমে একাধিক উপযোগিতা উপর জোর দেওয়া হয়েছে। সহশিহ্মামূলক কার্যক্রম যেমন বক্তৃতা, বিতর্ক, কবিতা আবৃত্তি অঙ্কন ইত্যাদি বিষয় উপর জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সামাজিক তবে এর ফলে একাডেমিক শিক্ষার বেশ বড়ো একটি অংশও "উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা" পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেয়। অর্থাৎ সহশিহ্মামূলক কার্যক্রম গুলিকে বিনোদন হিসেবেই উপর আনুষ্ঠানিক শিক্ষার পরিবর্তন করে নিয়ে আসতে হবে।
৭. স্বাস্থ্য বিধিনিষেধ -
Covid-19 স্বাস্থ্যবিধি গুলিকে মেনে পূনরায় বিদ্যালয়গুলিকে খোলা হয়েছে। শিক্ষক শিক্ষিকারা যথাযথ ভাবে এই স্বাস্থ্যবিধি গুলি পালন করেছেন। যথা
- নির্দিষ্ট সময় অন্তর হ্যান্ড স্যানিটাইজেসনের ব্যবস্থা করা।
- অধিক সংখ্যক শ্রেণিকক্ষে ব্যবস্থা করা।
- টিফিনের সময় যাতে শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় থাকে,সেই দিকে লক্ষ রাখা।
- শিফটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পঠন-পাঠন করানো।যা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- শিক্ষার্থী,শিক্ষক শিক্ষিকা এবং বিদ্যালয়ের বাকি কর্মীদের মাক্সের ব্যবহার করা।
- পরিশ্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা করা।
- শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বিশেষ নজর দেওয়া।
- শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের সচেতন করা।
৮. শিক্ষার্থীর মূল্যায়ন -
দীর্ঘায়িত বিদ্যালয় বন্ধ এবং অনলাইন শিক্ষার উপরোক্ত অভ্যর্থনার অর্থে অনেক শিহ্মার্থী পাঠক্রমের দিক থেকে পিছিয়ে পড়েছে। অনেকেই সেই পাঠগুলি ভুলে গেছে যা প্রাক্ মহামারিতে শেখানো হয়েছিল এবং প্রয়োজনীয় মৌলিক দহ্মতার সাথে প্রস্তুত নয় যা তাদের একটি আনুষ্ঠানিক গ্ৰেডভিত্তিক পাঠক্রম পরিচালনা করতে সহায়তা করবে। অনেক হ্মেত্রে দেখা গেছে যে,বহু শিক্ষার্থীরা প্রাথমিকভাবে অহ্মর জ্ঞানের ধারণা ভুলে গিয়েছে।যা একজন শিক্ষক বা শিক্ষিকার কাছে চ্যালেঞ্জিং বিষয় হিসেবে দেখা দিয়েছে।
5. বিদ্যালয় বন্ধের ফলে শিশুদের (শিক্ষার্থীদের) উপর পুষ্টিগত ব্যাঘাত -
আধুনিক শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ লহ্ম্য হল শিক্ষার্থীদের দৈহিক বিকাশে সহায়তা করা।সুস্বাস্থ্য যেমন মানুষের একটি ব্যক্তিগত গুন তেমনি সুস্বাস্থ্য বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের শিখন প্রচেষ্ঠাকে সহায়তা করে।তাই বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য রহ্মার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমীক্ষা থেকে দেখা যায় যে, আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলিতে দৈহিক অসুস্থতার একটি প্রধান কারণ হল অপুষ্টি এবং শিশুদের অপুষ্টিজনিত রোগে ভোগে।তাই বিদ্যালয়গুলিতে মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা প্রবর্তন করা পেছনে মূল উদ্দেশ্য হল বিনামূল্যে পুষ্টিকর খাদ্য যেন পাই এবং শিক্ষার্থীদের দৈহিক বিকাশ ও স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।1995 - 96 সালে এই প্রকল্প চালু হওয়ার পর 33.4 মিলিয়ন থেকে 2019 - 2020 সালে 118 মিলিয়নে এসে দাঁড়িয়েছে।
কিন্তু Covid-19 পরিস্থিতিতে জন্য বিদ্যালয় গুলি বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে 115 মিলিয়ন শিশুরা প্রভাবিত হয়েছে এবং অপুষ্টিজনিত ঝুঁকিতে রয়েছে। তাই শিশুদের পুষ্টি শুধুমাত্র নিজের স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়,এটি শিশুর সুস্থ ও উৎপাদনশীল প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার হ্মমতাকে বিকশিত করতে সহায়তা করে। অর্থাৎ এটি মানব পুঁজি গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ একজন অপুষ্টি শিশু বিদ্যালয়ের বেশি দিন পড়াশোনা করতে পারে না এবং দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে যা তাদের জীবিকা অর্জনের হ্মমতাকে প্রভাবিত করে।ফলে বিদ্যালয় গুলি বন্ধ হওয়ার কারণে পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্য ভাবে খারাপ হয়ে যেত।
এই পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রনের জন্য কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সরকার যথেষ্ট উদ্যাগ নেয়।এই পরিস্থিতিতে বিদ্যালয়গুলিতে গরম রান্না করা খাবারের পরিবর্তে শস্য, ডিম, সোয়াবিন এবং তেলের মতো রান্নার উপকরণ সরবরাহ করার একটি নির্দেশ দেয়। কিছু রাজ্য এই পরিস্থিতিতে পরিবার গুলিকে রেশন বা নগদ স্থানান্তর পাঠানোর চেষ্টা করেন।Covid-19 পরিস্থিতিতে M.D.M.S. (Mid Day Meal scheme) এর অধীনে খাদ্যসংগ্ৰহের একটি বিশ্লেষণ থেকে জানা যায় যে,2019 সালে এপ্রিল ও মে মাসের সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দ্বারা মোট গৃহীত পরিমাণ ছিল 2,81,930 টন।যা 2020 সালে এপ্রিল ও মে মাসের সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দ্বারা মোট পরিমাণ ছিল 2,21,310 টন।
6. একাডেমিক কর্মক্ষমতা উপর Covid-19 মহামারীর প্রভাব -
ভারতে Covid-19 মহামারির পরিস্থিতিতে 2020,মার্চ মাসের নিয়ন্ত্রণের জন্য লকডাউনের ঘোষণা করা হয়। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন বিদ্যালয়,কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি পাঠদান স্থগিত করা হয়।ফলে শিক্ষার্থীদের পঠন-পাঠনের প্রতি বিমুখতা দূর করার জন্য অনলাইনে পাঠদানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।এতে একাডেমিক পারফরম্যান্সের উপর একটি নেতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
একটি অনলাইন সমীক্ষার মাধ্যমে দেখা যায় যে, Covid-19 মহামারির পরিস্থিতি 96.7% একাডেমিক কর্ম ক্ষমতাকে প্রভাবিত করেছে।যেমন -
১. বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এমন কিছু কিছু বিষয় আছে,যেগুলির তাত্ত্বিক(Theoretically) বিষয়ের সঙ্গে ব্যবহারিক বিষয়ে অংশ রয়েছে।অনলাইন শিক্ষার মাধ্যমে তাত্ত্বিক বিষয়গুলি পড়াতে তেমন অসুবিধা হয় না, কিন্তু ব্যবহারিক বিষয়গুলি শেখানো সহজ নয়।যা শিক্ষক শিক্ষিকার কাছে চ্যালেঞ্জিং বিষয়।
২. Covid-19 পরিস্থিতিতে লকডাউনের সময় অনলাইনে শিক্ষাগ্রহণ করার শিক্ষার্থীদের মধ্যে একাডেমিক পারফরম্যান্সের একটি আদর্শগত বিচ্যুতি লক্ষ্য করা যায়।যা শিক্ষার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে অর্জন করতে পারে না।
৩. শিক্ষার্থীদের আচরণ,ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য এবং শিক্ষার পরিবেশকে তাদের একাডেমিক পারফরম্যান্সের সাথে একটি শেখার কাঠামোতে ধারণা করার জন্য সামাজিক জ্ঞান মূলক তত্ত্ব গৃহীত হয়েছিল।
৪. Covid-19 পরিস্থিতিতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক - শিক্ষিকারা তাদের শিক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছিল,যাতে শিক্ষার্থীরা শেখার প্রতি নমনীয়তা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
৫. লকডাউনের পরবর্তীকালে শিক্ষার্থীদের কাছে শিক্ষা হয়ে ওঠে দূরবর্তী,যার ফলে তাদের মধ্যে প্রতারণা অনেক সহজ হয়ে ওঠেছে।কিন্তু তার জন্য শিক্ষার্থীদের কোনো অনুশোচনা নেই।
৬. শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিথস্ক্রিয়ার বা যোগাযোগের অভাবে শিক্ষার্থীরা তাদের কাজের সততা সম্পর্কে কম উৎসাহী বোধ করে।
৭. লকডাউনের সময় শিক্ষার্থীরা অনলাইন শিক্ষার মাধ্যমে তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে,তখন তারা নিজের প্রচেষ্টায় পাঠ্যপুস্তক পড়ার মাধ্যমে অধ্যায়ন করেছিল।যেহেতু একাডেমিক সেশনের অধ্যায়নের সময় কাল কিছু পরিবর্তন হয়।তাই শিক্ষার্থীরা সিলেবাসের বেশি কভার করতে সমস্যা হয়েছে।
7. শিক্ষার্থীদের উপর মানসিক স্বাস্থ্য প্রভাব -
করোনা ভাইরাসের প্রভাবে যখন বিশ্বব্যাপী একটি মহামারী হিসেবে তীব্র রূপ নেয়,তখন তা নিয়ন্ত্রনের জন্য
গৃহবন্দী বা লকডাউনের কথা ঘোষণা করা হয়।এর ফলে বিভিন্ন বিদ্যালয়, কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি প্রভৃতি দীর্ঘদিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়।যার একটি নেতিবাচক প্রভাব লক্ষ করা যায় লকডাউন ও আনলক চলাকালীন শিক্ষার্থীদের উপর।ইউনিসেফ বলেছেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক ভাবে 38% শিক্ষার্থীদের মারাত্মকভাবে মানসিক ও শারীরিক ভাবে প্রভাবিত হয়েছে।
১. লকডাউন চলাকালীন -
- লকডাউন চলাকালীন শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা না করার প্রতি মনোযোগ লহ্ম করা যায়।
- শিক্ষার্থী (শিশু এবং কিশোর - কিশোরীদের) গৃহবন্দি থাকার অনিশ্চয়তা এবং উদ্বেগ আচরণ লহ্ম করা যায়।যা তাদের শিক্ষা,শারীরিক ক্রিয়াকলাপে এবং সামাজিকীকরনের সুযোগে ব্যাঘাতের সৃষ্টি করে।
- দীর্ঘ সময়ের জন্য বিদ্যালয়ের কাঠামোগত বিন্যাসের অনুপস্থিতির ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে রুটিন জীবনে ব্যাঘাত ঘটে।
- শিক্ষার্থীদের মধ্যে একঘেয়েমি এবং বিভিন্ন একাডেমিক এবং পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যকলাপে মধ্যে জড়িত থাকার জন্য উদ্ভাবনীয় ধারণার বা সৃজনশীল মনোভাবের অভাব লক্ষ করা যায়।
- শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল মিডিয়ার বর্ধিত অতিরিক্ত ব্যবহার করে ফলে ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পরে এবং এর নেতিবাচক অনুভূতি হয় যেমন কম আত্মবিশ্বাস, হিংসা,তুলনা,কম আত্মসম্মান, শরীরের ইমেজ সমস্যা ইত্যাদি।
- শিক্ষার্থীদের (বিশেষত কিশোর - কিশোরিদের) রুটিন জীবনে ব্যাঘাত ঘটায়,ফলে তাদের অন্য কোন কাজ না থাকায় তারা অনলাইনে জুয়া খেলা, সেক্সটিং,পর্নোগ্ৰাফি প্রতি আসক্তি লহ্ম করা যায়।
- সারাহ্মন ঘরে বসে থাকার ফলে তারা অসাড় বোধ করে এবং তারা কম প্রেরনার ভুগছে।
- শিক্ষার্থীদের তারা নিজেদেরকে বিচ্ছিন্ন করেছে এবং ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২. আনলক চলাকালীন -
- লকডাউনে পরবর্তী কালীন অনেক পরিবার বেকার, আর্থিকভাবে চাপ বা ঋনের মধ্যে থাকার ফলে পিতামাতা তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ের পাঠাতে পারে না।
- লকডাউনের পরবর্তীকালে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ড্রপ আউটের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
- লিঙ্গ বৈষম্যের কারণে লকডাউন তুলে নেওয়ার পর ক্রমবর্ধমান সংখ্যক মেয়েরা বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া পরিণতি বহন করতে পারে।
- শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিশেষত্ব কিশোর-কিশোরী তারা অভিজ্ঞ নেতিবাচক আচরণ লহ্ম করা যায়।যেমন একঘেয়েমি,উদ্বেগ,হতাশা ও লজ্জা দেখা যায়।
- লকডাউন পরবর্তী কালীন শিক্ষার্থীদের মধ্যে অতিরিক্ত বোঝার মতো মানসিক অসুবিধা দেখা যাচ্ছে। শহরাঞ্চলের প্রায় 33% শিক্ষার্থীরা এবং গ্রামাঞ্চলে 82% শিক্ষার্থীরা কয়েকটি অক্ষরের বেশি পড়তে পারছে না।
8. উপসংহার -
পরিশেষে বলা যায় যে, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে শুধুমাত্র মানুষের আর্থিক ও সামাজিক দিককে প্রভাবিত করেছে তা নয়,শিক্ষাব্যবস্থা তো এর একটি নেতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।শিক্ষাব্যবস্থায় দীর্ঘ দিন ব্যাপী বন্ধ থাকার ফলে একটি ঋনাত্মক প্রভাব দেখা যায়।তাই বলে শিক্ষার গুরুত্বকে লাইনচ্যুত করা যাবে না।লকডাউনের পর থেকে পড়াশোনায় অনলাইন পদ্ধতি বা ডিজিটাল মাধ্যমে ক্রমাগত অপরিহার্য হলেও সেই মাধ্যমে যদি সবার কাছে পৌছে দেবার ব্যবস্থা না থাকলে তাহলে শিহ্মাহ্মেত্রে যে বৈষম্য সৃষ্টি হবে।শিক্ষার্থীদের মনে অনলাইন শিক্ষার পড়াশোনার না করার প্রতি মনোভাব বেশি লক্ষ্য করা গিয়েছে।করণা মহামারীর প্রভাব কাটিয়ে তুলতে একটু সময় লাগবে তবুও শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন,পরিকাঠামোগত উন্নয়ন এবং পরিকল্পনার মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থা সফলভাবে গড়ে তুলতে হবে।
Others Community Based Activists -
Cleanliness is and around the campus and beautification