করোনা পরিস্থিতিতে শিহ্মাহ্মেত্রে শিহ্মক শিক্ষিকার উপর প্রভাব|| Effect Of Covid-19 In Teacher In Education
|
Effect Of Covid-19 In Teacher Education |
Community Based Activities -
করোনা পরিস্থিতিতে শিহ্মাহ্মেত্রে শিহ্মক শিক্ষিকার উপর প্রভাব||Effect Of Covid-19 In Teacher In Education
BENGALI VERSION -
1. ভূমিকা -
শিক্ষা হল এক সামাজিক প্রক্রিয়া।এই প্রক্রিয়া মাধ্যমে মানুষকে সমাজসেবা করা হয়,যা কার্যকরী করার জন্য বেশ কয়েকটি উপাদান রয়েছে।তবে নিয়ন্ত্রিত শিহ্মাব্যবস্থা সম্বন্ধে শিহ্মাবিদগন চিন্তাভাবনা করে যে সকল উপাদানগুলি উপস্থাপন করেছেন।সেগুলি হল ক. শিক্ষার্থী, খ. শিক্ষক/শিহ্মিকা, গ. পাঠক্রম, ঘ. বিদ্যালয়।এই চারটি স্তম্ভের মধ্যে শিখনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল শিক্ষক শিক্ষিকা।একজন আদর্শ শিক্ষক বা শিক্ষিকা দহ্মতার সাথে একটি শিশুর সুদহ্ম ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করে তার শিখন কৌশলের মাধ্যমে।তাই বিদ্যালয়ে এই বিষয়ের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হয়।
কিন্তু 2019 সালে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে বিশ্বে এক ভয়াবহ আকারে মহামারির সৃষ্টি হয়।যা 30th Jan,2020 সালে ভারতে প্রথম লহ্ম্য করা যায়।তাই ভারত সরকার 2020 সালে 22শে মার্চ 18 ঘন্টার স্বেচ্ছাসেবামূলক জনতা কার্ফু ঘোষণা করেছিলেন। অবশেষে 24শে মার্চ ভারতের 21 দিনের লকডাউনের নির্দেশ দিয়েছেন। এর ফলে এখনো পর্যন্ত(17th April,2022) 43,042,097 জন করোনা আক্রান্ত ধরা পড়ে,যার মধ্যে 521,781 জনের মৃত্যু ঘটে এবং 42,508,788 জন সুস্থ হয়ে উঠছেন।এই পরিস্থিতিতে ব্যবসা বাণিজ্য থেকে শিল্পে, সামাজিক থেকে সাংস্কৃতিক,পরিবহন থেকে মানব জীবনের প্রভাবিত করে এবং সমস্ত রকমের পরিসেবা গুলি সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল। এই প্রভাব লক্ষ্য করা যায় শিহ্মাহ্মেত্রে।2020 সালে 24শে মার্চের পর সমস্ত বিদ্যালয়, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি সাময়িক ভাবে বন্ধ করে রাখা নির্দেশ দেওয়া হয় সরকারের কর্তৃক।
2. Covid-19 মহামারি সময় শিহ্মাব্যবস্থা -
ভারতীয় সংবিধানে বর্ণিত অনুচ্ছেদে 6 থেকে 14 বছর বয়সী শিশুদের মৌলিক অধিকার হিসেবে বিনামূল্যে ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা প্রদান করা হয়।তাই ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা প্রাথমিকভাবে সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয় দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।এই সরকারি বিদ্যালয় তিনটে স্তরে বিভক্ত কেন্দ্রীয়,রাজ্য এবং স্থানীয় বিদ্যালয়।গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থায় দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হয় এবং শিক্ষক শিক্ষিকারা ব্ল্যাকবোর্ড,চক ও বই এর সাহায্যে পঠনপাঠন করানো হতো।
বর্তমানে Covid-19 পরিস্থিতির এই ভয়াবহতা নিয়ন্ত্রনের জন্য সরকারীভাবে বিভিন্ন বিদ্যালয়,কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিকে সাময়িক ভাবে বন্ধ করে রাখা নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।তবে Covid-19 প্রথম স্রোত ও দ্বিতীয় স্রোতের মাঝে শিহ্মাব্যবস্থা সচল রাখার জন্য শিহ্মাব্যবস্থার রূপ পরিবর্তন করা হয়। অর্থাৎ গতানুগতিক শ্রেণিকক্ষে শৈলীর শিক্ষাব্যবস্থার স্বরূপ পরিবর্তন করা হয় Digital Classroom Education বা Online Classroom Education এ।করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ,শিহ্মার প্রতি অনীহা ও দুশ্চিন্তা দূর করার জন্য এই ব্যবস্থা গ্ৰহন করা হয়।শিহ্মাব্যবস্থার পরিবর্তনের ফলে একদিকে যেমন কিছু সুবিধাবাদী শিক্ষার্থীরা এই ব্যবস্থার মাধ্যমে শিহ্মা লাভের সুযোগ পায় তেমনি সুবিধা বঞ্চিত শিহ্মার্থীরা এই ব্যবস্থার মাধ্যমে শিহ্মা লাভ করার সুযোগ পায় নি।
অনুরূপভাবে,শিহ্মাব্যবস্থার শিক্ষার্থীদের মতো বহু শিহ্মক শিহ্মিকাদের উপর করোনার প্রভাব লহ্ম করা গিয়েছিল। গতানুগতিক শিক্ষাব্যবস্থা তারা যেভাবে অভ্যস্ত ছিল, অনলাইন শিক্ষার এই পদ্ধতি ও প্রযুক্তি গ্ৰহন করা ও তাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা একটি বড়ো চ্যালেঞ্জিং বিষয় ছিল।করোনা ভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব লহ্ম করা গিয়েছিল অনেক শিহ্মক - শিহ্মিকাদের মধ্যে।যে সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা এই প্রযুক্তি সাথে যুক্ত হতে পারেনি,তারা নিজেদের পরিবার চালানোর জন্য একটি বিকল্প চাকরি খুঁজেছিলেন।
এই শিক্ষাব্যবস্থা চালু হওয়া পর একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের কল্যান সাধন জন্য করা হয়েছিল,তেমনি আবার লহ্ম্য করা যায় শিক্ষার্থীরা পড়ানোর প্রতি বিমুখতা বা পরে পড়ার মনোভাব সৃষ্টি হয়েছিল।এই অনলাইন শিহ্মাব্যবস্থার শিহ্মক শিহ্মিকাদের উপর একটি চাপের সৃষ্টি হয়েছিল।তারা যে বিষয়টির। সম্পর্কে অনলাইন ক্লাসে শিক্ষার্থীদের পড়াবেন তার আগে একটি সুন্দরভাবে চিত্র ও লেখার মাধ্যমে নোটস বা slides আকারে PDF FILE তৈরি করতে হতো, শিক্ষার্থীদের গৃহের কাজ স্বরূপ প্রশ্নপত্র,অ্যাসাইনমেন্ট ও প্রকল্পের নাম এবং সেই বিষয়ে তথ্যসমুহ সরবরাহ করেছেন প্রযুক্তির মাধ্যমে। আবার,শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ কমাতে একাডেমিক শিক্ষার সাথে সাথে সহশিহ্মামূলক কার্যক্রমের প্রতি বিশেষভাবে উৎসাহ প্রদান করেছেন।
পরবর্তীকালে, আনলক পরিস্থিতিতে বিদ্যালয় গুলি খোলার পর করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের মুক্ত প্রাঙ্কনে এবং পরে শ্রেণিকক্ষে পঠনপাঠন শুরু করা হয়েছে। এইসময় দেখা গেছে,বহু শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়েছে আর্থিক বা পারিবারিক কারণে,সেই সমস্ত ড্রপ আউট শিক্ষার্থীদের পুনরায় শিক্ষা আঙ্গিনায় আনার প্রচেষ্টা করেছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রত্যেক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা ধৈর্য্য ও আত্মবিশ্বাস শিহ্মার্থীদের উৎসাহিত করে চলেছেন। তবে এই কথা বলা ভুল হবে না করোনা পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের উপর মানসিক চাপ লক্ষ্য করা গিয়েছে তা নয় প্রত্যেক শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনুভব করা গিয়েছিল তবুও তারা শিক্ষার্থীদের কল্যাণে ধৈর্য সহকারে এবং নিখুঁতভাবে নিজেদের কাজ পালন করেছেন। - যা হল একজন আদর্শ শিক্ষক বা শিক্ষিকা গুন।
3. লকডাউন চলাকালীন শিখনের চ্যালেঞ্জ -
লকডাউন সময়ে বিদ্যালয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল মূলত অনলাইন মাধ্যমে।তবে এই শিক্ষা ব্যবস্থায় শিহ্মক শিহ্মিকার যে সমস্ত চ্যালেঞ্জ গুলি সম্মুখীন হয়।তা হল -
১. অনলাইনে শিক্ষা দান -
গতানুগতিক শিক্ষাব্যবস্থা শিহ্মক শিহ্মিকার সাধারনত শ্রেণিকক্ষে শৈলীর পাঠদান পদ্ধতি অনুসরণ করেন, কারন তাঁরা শুধুমাত্র একটি ব্ল্যাকবোর্ড এবং বই দিয়ে পড়াতে ব্যবহার করেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভার্চুয়াল এবং প্রযুক্তি চালিত শিক্ষা পদ্ধতি গ্ৰহন করা হয়।যা শিক্ষক শিক্ষিকার কাছে দহ্মভাবে পরিচালনা করা একটি বড়ো চ্যালেঞ্জিং বিষয়।
২. শিহ্মক শিক্ষার্থীর মধ্যে যোগাযোগ সংক্রান্ত সমস্যা -
অনলাইন শিহ্মাব্যবস্থার শিহ্মক শিহ্মিকার একটি অন্যতম বড়ো চ্যালেঞ্জিং বিষয় হল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা। সিলেবাস যতই হোক,তা শেষ করার জন্য শিহ্মক শিহ্মিকারা যথেষ্ট চেষ্টা করেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইনে শিহ্মার তারা শারীরিক ভাষা ছাড়া অন্য কোনো উপায় থাকে না,ফলে ঠিক মতো শিক্ষার্থীরা সঠিকভাবে বুঝতে পারছে কিনা তা বোঝা মুশকিল। তাছাড়াও অনলাইন শিক্ষার দেখা গেছে যে,বহু শিক্ষার্থীরা ক্লাস চলাকালীন শিহ্মক শিহ্মিকার সাথে ঠিক মতো কথোপকথন করতে পারে না, অধিকাংশ সময় শিক্ষার্থীরা চুপচাপ থাকে, বা বিষয় সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা প্রশ্ন করে না।
৩. পাঠ্যবিষয় সংহ্মিপ্তকরনে সমস্যা -
এই পরিস্থিতিতে শিহ্মার্থীদের অতিরিক্ত মানসিক চাপ এবং শিক্ষাব্যবস্থাকে সঠিক রাখার জন্য মধ্যপর্ষদ বোর্ড কর্তৃক সিলেবাস বা পাঠ্য বিষয়বস্তুকে কিছুটা সংক্ষিপ্তকরণ করা হয়েছে।যাতে কম সিলেবাসের মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ গড়ে তোলা যায়,কিন্তু যতোই কম সিলেবাস হোক না কেন তা সঠিকভাবে শেষ করা একজন শিক্ষক শিক্ষিকার কাছে একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
৫. পাঠ্য বিষযবস্তু সরবরাহ জনিত সমস্যা -
দীর্ঘদিন ধরে একাডেমিক কার্যাবলী বন্ধ রাখা হয় তবে শিক্ষার্থীর এই ক্ষতিপূরণ পুষিয়ে ওঠা বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার হবে।তাই শিক্ষক শিক্ষিকারা শিক্ষার্থীদের কোর্সের মেটেরিয়াল বা পাঠক্রমের বিভিন্ন বিষয়বস্তুর উপর কিছু কিছু তথ্য,নোটস এবং বইের ছবি PDF আকারে সরবরাহ করা একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ ছিল শিক্ষক শিক্ষিকার কাছে।
৩. শিক্ষার্থীদের স্বাধীন শিখন -
অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থায় শিহ্মক শিহ্মিকারা শিক্ষার্থীদের স্বাধীন শিখন প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছেন।শিক্ষার্থীরা তাদের বিদ্যালয়ের কাজের তত্ত্বাবধানে, নির্দেশিত এবং কঠোরভাবে সময়সূচীতে অভ্যস্ত হয়ে এবং প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম গুলি সহ সংস্থাগুলি ব্যবহার করার হ্মেত্রে,বিদ্যালয় বন্ধের জন্য তাদের প্রয়োজন হয়, বিশেষ করে যাদের অভিভাবকদের কাছে তাদের সাহায্যে করার জন্য কম উপলব্ধ, তাদের আরো। স্বাধীন হওয়ার জন্য। তাদের শেখার মধ্যে। শিক্ষার্থীদের আরও স্বাধীন এবং দায়িত্বশীল করে তোলার জন্য কাজের পরিকল্পনা একটি দরকারী সম্পদ হতে পারে,তবে শর্ত থাকে যে তারা প্রতিটি বিষয়ের জন্য অভিযোজিত হয়।এবং শিক্ষার্থীদের স্পষ্টভাবে শেখানো হয় যে কীভাবে তাদের ব্যবহার করতে হয়।
৪. শিহ্মক শিহ্মিকাদের ডিজিটাল দহ্মতা বৃদ্ধিকরণ -
করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাব্যবস্থা অনলাইনে করার ফলে বহু শিক্ষক শিক্ষিকার কাছে এটি একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। শিক্ষক শিক্ষিকারা শ্রেণিকক্ষ শৈলীর পাঠদান পদ্ধতিতে অভ্যস্ত, কিন্তু এই পরিস্থিতিতে তাদের অনলাইনে পাঠদানের জন্য Google meet, Zoom, YouTube, Microsoft teams মতো অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে পাঠ্য বিষয়বস্তু নিয়ে পঠন-পাঠন করাতে হচ্ছে।তাই এই সমস্ত অ্যাপ্লিকেশন গুলিকে দক্ষ ভাবে পরিচালনা করার দক্ষতা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের থাকা দরকার।
৫. উন্নত পাঠ্যক্রম -
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে বিদ্যালয় গুলি বন্ধ রাখা হয়,পরবর্তীকালে শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে পঠন-পাঠন করানো হচ্ছে।এই শিক্ষাব্যবস্থা সবচেয়ে বড় সমস্যা হল পাঠক্রম,দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয় বন্ধ থাকার ফলে শিক্ষার্থীদের পঠন পাঠন বন্ধ ছিল কিন্তু হঠাৎ অনলাইন ক্লাস শুরু হওয়া পর শিক্ষার্থীদের পাঠক্রমের ওপর একটি বাড়তি চাপ লহ্ম্য করা যায়। তাই পাঠক্রম গুলোকে সংক্ষিপ্তকরণ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রয়োজনীয় অংশ রেখে অপ্রয়োজনীয় অংশ বাদ দেওয়া হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের কল্যাণের জন্য পাঠক্রম গুলিকে উন্নত করা হচ্ছে।
৬. পাঠ্যক্রমের কভার -
অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা একটি বড় সমস্যা হল পাঠক্রম সম্পূর্ণ পাঠ করা শিক্ষক শিক্ষিকার কাছে একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ।তাই শিক্ষক - শিক্ষিকারা
মূলত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের প্রশ্ন বা প্রয়োজনীয় বিষয়গুলি পঠন-পাঠন পড়ানো হচ্ছে।বাকি অপ্রয়োজনীয় অংশ বাদ দেওয়া হচ্ছে।
৭. পরীহ্মা সংক্রান্ত -
করোনা পরিস্থিতিতে বিদ্যালয়গুলিতে পরীহ্মা স্থগিত রাখতে হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে স্থগিত রাখার পর ওপেন বুক পরীক্ষা মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা করা হয়।এই পরীক্ষা ব্যবস্থার শিক্ষার্থীদের সঠিক সময় পরীক্ষার প্রশ্ন এবং পরীক্ষা পর কি কি করতে হবে তা নির্দেশনা ও দেখাশোনা করেন শিহ্মক শিহ্মিকার।
৮. সময় ব্যবস্থাপনা -
গতানুগতিক শিক্ষাব্যবস্থা ছিল শ্রেণিকক্ষ শৈলী বিশেষ কিন্তু বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ নতুন রূপ অনলাইন এডুকেশন। এই শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাছে একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয় হল সময় ব্যবস্থাপনা।দেখা গেছে যে অনলাইন এডুকেশনে শিক্ষক শিক্ষিকা দ্বারা অনলাইন ক্লাসে শিক্ষার্থীরা দেরিতে প্রবেশ করে বা প্রযুক্তিগত ত্রুটি থাকলে শিক্ষক শিক্ষিকার কাছে আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং করে তোলে।একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের পঠন পাঠন এবং তাদের জিজ্ঞাসা গুলি শুনতে হয় শিহ্মক শিহ্মিকাদের।তাই অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষক শিক্ষিকাদের সময় প্রতি বিশেষ নজর দিতে হয়।
৯. অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থার শিহ্মার্থীদের অভিযোজনগত চ্যালেঞ্জ -
গতানুগতিক শিক্ষাব্যবস্থা শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে পঠনপাঠনে অভ্যস্ত কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে শিহ্মাব্যবস্থার পরিবর্তন করা হয়েছে। শ্রেণিকক্ষে থেকে মোবাইল বা কম্পিউটার পর্দার স্থানান্তরিত করা হয়েছে।মে কোনো নতুন ব্যবস্থাকে মানিয়ে নিতে কিছুটা সমস্যা হয়। অনুরুপ ভাবে শিহ্মার্থীদের এই সমস্যার চ্যালেঞ্জ পড়তে হচ্ছে।
১০. মূল্যায়ন -
অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থায়, শিক্ষার্থীদের তখন অ্যাসাইনমেন্ট বা প্রকল্প দেওয়া হয়,তখন শিহ্মক শিহ্মিকারা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। যেহেতু শিহ্মক শিহ্মিকা এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে যোগাযোগ কম থাকে,ফলে শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স তুলনামূলকভাবে আগের পারফরম্যান্সের থেকে পৃথক হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে কম অ্যাসাইনমেন্ট,বা পরে করার মনোভাব বা পরীক্ষা জনিত অনুভব করার সম্ভাবনা তৈরি হয়,যা একজন শিক্ষক বা শিক্ষিকার কাছে শিহ্মার্থীর সার্বিক মূল্যায়ন করা একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়। কিন্তু তবুও পূর্ববর্তী ক্লাসের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে শিহ্মক শিহ্মিকাদের শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করতে হচ্ছে।
4. করোনা পরিস্থিতিতে শিখনে সুযোগ -
1.ডিজিটাল ক্লাস -
Covid-19 পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলি বন্ধ থাকার ফলে শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। যা পূরণের জন্য শ্রেণিকক্ষের পরিবর্তে অনলাইনে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।একে ডিজিটাল ক্লাস বলা হয়। এতে বন্ধের দিন উপর চাপ প্রয়োগ না করে অন্য দিনগুলিতে রাতের বেলা অনলাইনের অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়া যেতে পারে,এর জন্য শিক্ষার্থীদের কোন মানসিক চাপ অনুভব করে না।
2. প্রযুক্তি এবং অনলাইন টুলের সাহায্যে শিখন -
করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাক্ষেত্রে ঘাটতি পূরণের তাগিদে প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থা রূপ কায়িক পরিবর্তন করে এক নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা করা হয়।এক্ষেত্রে প্রথাগত শ্রেণিকক্ষ শিখন থেকে মোবাইল ও কম্পিউটারের পর্দায় শিখন স্থানান্তরিত করা হয়।এই শিক্ষাব্যবস্থার ক্ষেত্রে অনলাইনে বিভিন্ন প্রযুক্তি, অ্যাপ্লিকেশন ও অনলাইন টুল ব্যবহার করা হয়েছে যেমন শিক্ষক শিক্ষিকা সাথে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যোগাযোগ বা মিথস্ক্রিয়া হিসাবে Google Meet,Zoom,Socrates.Com,Mudul,Ademdo,Prij,Padlet,Mentimeter, Microsoft teams,Webex, YouTube applications মাধ্যমে Life Conference করা হয়েছে Digital Online class.এই Applications গুলি সঠিকভাবে পরিচালনা ও উপস্থাপনা করা সম্পর্কে শিক্ষক শিহ্মিকার ও শিক্ষার্থীদের জানতে পেরেছেন। কিভাবে নোটসকে PDF করা,তা সঠিকভাবে পাঠানো সম্পর্কে তারা অজ্ঞাত হয়েছে। অর্থাৎ এক কথায় বলা যায়, Digital Online class মাধ্যমে শিহ্মক শিহ্মিকার ও শিহ্মার্থীদের মধ্যে প্রযুক্তি এবং অনলাইন টুলের উপর ব্যবহার করা ও গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
3. ওপেন বুক এক্সাম -
লকডাউন পরিস্থিতিতে শ্রেণিকক্ষে পাশাপাশি অন্যতম সমস্যা হলো পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা। তাই অনলাইন ক্লাসের নেয় অনলাইন পরীক্ষা হল একটি বিকল্প ব্যবস্থা। কিন্তু এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে ওপেন বুক এক্সাম এর প্রস্তাব করা হয়। এই পরীক্ষার ক্ষেত্রে সাধারণত এমন সৃজনশীল প্রশ্নপত্র করা হয় যা অধ্যায়নকৃত বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত কিন্তু বইয়ের মধ্যে সরাসরিভাবে এর উত্তর খুঁজে পাওয়া যায় না। এই ধরনের পরীক্ষার মাধ্যমে একদিকে যেমন পরীক্ষার নেওয়া যাবে অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতার বিকাশ হবে।
4. ভৌগোলিক দুরত্ব ভেদে শিহ্মনের উপযোগীতা -
শিক্ষাক্ষেত্রে দেখা যায় যে, শিহ্মক / শিহ্মিকা /শিক্ষার্থী শিক্ষাকেন্দ্র থেকে অনেক দূরে বসবাস করেন।করোনা পরিস্থিতিতে ডিজিটাল এডুকেশন বা অনলাইন শিক্ষা ভৌগোলিক দূরত্বকে দূর করা সম্ভব হয়েছে। মূলত শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষক/শিহ্মিকা/শিক্ষার্থীদের অনলাইন মাধ্যমের সাহায্যে এক্তিয়ারের মধ্যে আসার সুযোগ পেয়েছে।ফলে শিহ্মক শিহ্মিকাদের শিক্ষাদান করতে এবং শিহ্মার্থীদের শিক্ষা লাভের সুযোগ পেয়েছে।
5. ই-লানিং এর প্রসার -
ই-লানিং বা অনলাইনে পড়াশোনা পদ্ধতি হল ভবিষ্যতের জন্য অন্তত সম্ভাবনাময় শিহ্মা ব্যবস্থা। মূলত দূরবর্তী শিক্ষা, মুক্ত শিহ্মাব্যবস্থা, সৃজনমূলক শিহ্মা তথা শ্রেণি কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে আধুনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ই-লানিং এর ব্যবহার করা হত। কিন্তু বর্তমানে করোনা মহামারির পরিস্থিতিতে ই-লানিং প্রসার ব্যাপক হারে ঘটেছে। করোনা চলাকালীন সকল শিহ্মার্থী গৃহবন্দী অবস্থায় বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট সংযোগের ফলে দুরবর্তী স্থানে বসে এবং মুখোমুখি মিথস্ক্রিয়া না হওয়া সত্ত্বেও অডিও ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রথাগত শিক্ষা পদ্ধতির থেকে আরো ভালোভাবে শিহ্মাব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে ই-লানিং শিক্ষার মাধ্যমে।তাই করোনা পরিস্থিতিতে ই-লানিং এর প্রসার সর্বত্র দেখা মিলছে।যা শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত দহ্মতা এবং জ্ঞানগত দহ্মতা কে বিকাশে সহায়তা করছে।
6. সহশিহ্মামূলক কার্যক্রমে প্রধান্য -
অধিক পড়াশোনা চাপ থেকে শিক্ষার্থীদের মুক্ত করার জন্য সহশিক্ষা মূলক কার্যক্রমের উপর বিশেষভাবে প্রাধান্য দেওয়া।তাই একাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের সুরহ্মা নিশ্চিত করা একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ।এহ্মেত্রে সহশিহ্মামূলক কার্যক্রম গুলিতে জোর প্রদানের মাধ্যমে একাধিক উপযোগিতা উপর জোর দেওয়া হয়েছে। সহশিহ্মামূলক কার্যক্রম যেমন বক্তৃতা, বিতর্ক, কবিতা আবৃত্তি অঙ্কন ইত্যাদি বিষয় উপর জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সামাজিক তবে এর ফলে একাডেমিক শিক্ষার বেশ বড়ো একটি অংশও "উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা" পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেয়। অর্থাৎ সহশিহ্মামূলক কার্যক্রম গুলিকে বিনোদন হিসেবেই উপর আনুষ্ঠানিক শিক্ষার পরিবর্তন করে নিয়ে আসতে হবে।
7. রেকর্ড করা এবং লাইভ কথোপকথনের শোনার সুযোগ -
করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের গৃহবন্দী থাকার ফলে শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ ও জ্ঞানের চাহিদা পূরণ তাগিদে বিভিন্ন Webinar ও Seminar workshop করা হয়েছিল।এই সময় শিক্ষার্থীদের নিজেদের শ্রেণির পড়াশোনা করার পর অতিরিক্ত সময় webinar ও seminar,Workshop এই Life Conference মাধ্যমে কথোপকথনের শোনার এবং নিজের মতামত প্রকাশ করার সুযোগ পেয়েছে।গৃহে বসে দুর দুরান্তে শিক্ষামূলক, সামাজিক, অর্থনৈতিক পেশাগত বৃত্তিগত ও কারিগরি শিক্ষা প্রতি বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি অংশ গ্ৰহন করেছেন। ভবিষ্যৎ জীবনের প্রতি আকৃষ্ট কোর্সের কথোপকথন শোনার ও তা রেকর্ড করা সুযোগ পেয়েছেন।
এইভাবে শিক্ষার্থীদের নিজেদের শ্রেণিকক্ষে পড়াশোনা রেকর্ড ও লাইভ কথোপকথনের শোনার সুযোগ পেয়েছেন।
8. শিহ্মার পাশাপাশি বিভিন্ন Webinar ও Seminar এর অংশ গ্ৰহনের সুযোগ -
করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের বিরক্তিকর ও একঘেয়েমি মনোভাব দূর করার শ্রেষ্ঠ মাধ্যম হল নতুন কিছু শিখন।এই সময় বিভিন্ন কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়, সংস্থা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলির শিহ্মক শিহ্মিকা, আধিকারিক অফিসার সামাজিক,অর্থনৈতিক ,পেশাগত, বৃত্তিগত ও কারিগরি শিক্ষা প্রতি বিভিন্ন ধরনের Webinar ও Seminar workshop অনলাইনে অনুষ্ঠান করা হয়েছিল।এতে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ বৃদ্ধি করা সাথে নতুন কিছু শেখার সুযোগের ব্যবস্থা করার হয়েছিল।
9. অনলাইনে টাইসেমিস্টারে চালু -
দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে সাধারনত বছরে দুটি করে সেমিস্টার হয়ে থাকে।সেই হিসাবে চলতি বছরের প্রথম সেমিস্টার টি অর্ধসম্পন্ন থাকার পর একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়ে এবং পরের সেমিস্টার এই বছর আদৌ হবে কিনা সেই সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।এই পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণের জন্য 2021-2022 সালে চার মাস ব্যাপী তিনটি সেমিস্টার নেওয়া সম্ভব হলেও সেক্ষেত্রে এক বছরে এই ক্ষতিটুকু কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
10. হোম টিচিং এর প্রশিক্ষণ -
করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলি বন্ধ থাকার ফলে শিক্ষার্থীদের ঘাটতি লক্ষ্য করা যায়। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় ও কলেজে বাইরে আলাদাভাবে অন্য শিক্ষকের কাছে পড়াশোনা করে তা নিয়ে তাদের পিতামাতা অতটা নজর নিতে না। কিন্তু এই সময় শিক্ষার্থী বাইরে গিয়ে আলাদাভাবে অন্য শিক্ষকদের কাছে পড়াশোনা করার সুযোগ থাকে না।সেই জন্য শিক্ষার্থীদের যথাযথভাবে পড়াশোনা চালিয়ে নিয়ে যাবার জন্য ও তাদের বাসায় পড়ানোর জন্য তাদের পিতামাতাদের আগের থেকে প্রস্তুত করার সুযোগ করতে হবে এবং বিশেষ শিশুদের ক্ষেত্রে পিতামাতাদের এ প্রশিক্ষণটি একান্ত জরুরী।
5. Covid-19 পরিস্থিতিতে বি.এড শিক্ষার্থীদের উপর প্রভাব -
B.Ed Course হল একটি Under Graduate Course,যা মূলত 2 বছরের হয়ে থাকে।B.Ed বা Bachelor Of Education এটি একজন শিক্ষক বা শিক্ষিকার শিহ্মন ব্যবস্থা অর্থাৎ একজন শিক্ষক বা শিক্ষিকার বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের কীভাবে পড়াবে সেই সম্পর্কে একটি প্রশিক্ষণ।একজন আদর্শ শিক্ষক বা শিক্ষিকার মধ্যে কি কি গুণ থাকা উচিত তাই হল B.Ed Course.যা বিদ্যালয় শিহ্মকতার পূর্বে এই প্রশিহ্মন একটি গুরুত্বপূর্ণ B.Ed শিক্ষার্থীদের ।
বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন ঘোষণা করার পর বিদ্যালয়,কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ন্যায় "WBUTTEPA" বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার অন্তর্গত কলেজ গুলি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল করোনা ভাইরাসের নিয়ন্ত্রনের জন্য। কিন্তু Covid-19 মহামারি পরিস্থিতিতে শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে।2020 মার্চ থেকে বর্তমান (2022) সাল পর্যন্ত 2018-2020 Session,2019-2021 Session,2020-2022 Session,2021-2023 Session এই চারটে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে যা তাদের শিহ্মাগত এবং মানসিক ভাবে প্রভাবিত করেছে।
• 2018 - 2020 Session -
B.Ed এর 2018-2020 Session এ 3টে Semester 1st, 2nd ও 3rd Semester এর ক্লাস ও পরীক্ষা মূলত offline mode হয়েছিল।এই শিহ্মাবর্ষের 2nd ও 3rd Semester এর শিহ্মার্থীদের School Internship 1 মাস ও 3 মাস বিদ্যালয় গিয়ে সম্পাদন করা হয়েছিল। শুধুমাত্র 4th Semester পঠনপাঠন স্থগিত রাখতে হয়েছিল করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতিতে জন্য।এই সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্লাস ও পরীক্ষা নিয়ে একটি অনিশ্চিয়তা বোধের বিকাশ ঘটে।শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরক্তিকর মনোভাবের লহ্ম্য করা যায়।যা পরবর্তী কালীন 2020 অনলাইন পরীক্ষার মাধ্যমে এই শিহ্মাবর্ষের পরিসমাপ্তি ঘটে।
• 2019 - 2021 Session -
2019 - 2021 সালে শিহ্মাবর্ষে চারটে Semester পরীক্ষার মধ্যে 2019 সালে ডিসেম্বর মাসে 1st Semester পরীক্ষা Offline mode হওয়ার পর জানুয়ারি মাস থেকে 2nd Semester ক্লাসের পঠনপাঠন শুরু হয়। জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে মোট 52 দিন ক্লাস হওয়ার পর সরকারীভাবে 24শে মার্চে লকডাউন ঘোষিত হয়েছিল।এই লকডাউনের সময় 2nd Semester এ অনলাইনে মাধ্যমে কোনো ক্লাস হয় নি তেমনি।দীর্ঘদিন ধরে ক্লাস না হওয়ায় B.Ed শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ ও হতাশার সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ পায়। দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা থাকার পর 2020 ডিসেম্বর মাসে অনলাইন পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় (WBUTTEPA)।
পরবর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয় আশা করেছিল যে সম্ভবত 2021 সালে করোনা পরিস্থিতিতে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে ভেবে 3rd Semester এ School Internship পরে করাবে ভেবে 3rd Semester আগে 4th Semester এ পঠনপাঠন শুরু করানো হয় জানুয়ারি মাস থেকে।মাত্র তিন মাস ক্লাস চলার পর 18th March মাসে 4th Semester পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল।2021 মার্চ মাসের পর 3rd Semester এর ক্লাস শুরু হয় অনলাইনে মাধ্যমে।এই সময় করোনা পরিস্থিতির মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় ফলে বিদ্যালয় গুলি পুনরায় বন্ধ করার ফলে 2019-2021 শিহ্মাবর্ষের 3rd Semester এ School Internship স্থগিত করা হয়।তবে 3rd Semester এ B Ed শিক্ষার্থীদের School Internship খাতা প্রস্তুত করতে বেশ অসুবিধা সম্মুখীন হতে হয়েছিল। শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র চিন্তা ও উদ্বেগ লহ্ম্য করা যায়। কারণ বিদ্যালয় বন্ধ থাকার ফলে বিদ্যালয়ের শিহ্মার পরিবেশ ও কার্যাবলী সম্পর্কে অনুমানের ভিত্তিতে করতে হয়েছে।এহ্মেত্রে কলেজের শিক্ষক শিক্ষিকারা নির্দেশনা করেন,যাতে School এ না গিয়েও School Internship এর প্রাথমিক ধারণা পায় এবং খাতা তৈরি করে।তবে শিক্ষক শিক্ষিকারা B.Ed শিক্ষার্থীদের Final Teaching এ কি কি এবং কিভাবে করতে হয় তা ধারণা দিয়েছেন এবং অনলাইন মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের Final Teaching এর Demonstration এর পরীক্ষা দিতে হয়েছিল। অনলাইন এর মাধ্যমে পুনরায় 3rd Semester পরীক্ষা দিয়ে 2019-2021 শিহ্মাবর্ষের পরিসমাপ্তি ঘটে।
তবে এই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ভয়, উদ্বেগ ও বিরক্তিকর মনোভাবের মতো মানসিক চাপ লহ্ম্য করা গিয়েছে।
• 2020 - 2022 Session -
B.Ed 2020-2022 শিহ্মাবর্ষের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ এক বছর অপেক্ষা করতে হয়। যদিও 1st Semester এর শিহ্মার্থীদের online Mode ক্লাস শুরু করে হয়েছিল,তাও তাদের মধ্যে একটি উদ্বেগ লহ্ম্য করা যায়। দীর্ঘদিন ধরে গৃহে বসে থাকার ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরক্তিকর, একঘেয়েমি ও পরীক্ষা না হওয়ার একটি অনিশ্চিয়তা বোধের বিকাশ ঘটে।
দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা পর 1st Semester ও 2nd Semester Class পুনরায় online mode করানো হয়।এবং অনলাইন মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ব্যবস্থা করা হয়েছিল।তবে করোনা পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক হওয়ার পর বিদ্যালয় ও কলেজ খোলার পর 3rd semester পুনরায় ক্লাস শুরু হয়।এই সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক নতুন উৎসাহ লহ্ম্য করা যায়,যা হল School Internship. এই সময়(January to March) প্রতিটি B.Ed শিহ্মার্থীদের করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের School Internship করানো নির্দেশিকা দেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।এই সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন উৎসাহ লহ্ম্য করা যায়। এখনো 3rd Semester পরীক্ষা ও 4th Semester এর Class ও Exam কিছুই হয়নি।এই শিক্ষাবর্ষের এখনো সমাপ্ত হয় নি।
• 2021 - 2023 Session -
B.Ed এর 2021-2023 শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের অনলাইন মাধ্যমে ক্লাস ও পরীক্ষা ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বর্তমানে এই শিহ্মাবর্ষের শিক্ষার্থীদের কলেজে সশরীরে উপস্থিত হয়ে পঠন পাঠন করানো হচ্ছে।তবে এই শিহ্মাবর্ষ এখনো সমাপ্ত হয়নি।
6. উপসংহার -
পরিশেষে বলা যায় যে, একদিকে যেমন আর্থিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে;ঠিক সেইভাবে শিহ্মা ব্যবস্থাকে হ্মতিগ্ৰস্ত করেছে।তবে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং নির্দেশনা শিক্ষা ব্যবস্থার এক নতুন চিন্তাভাবনা উদ্ভব ঘটে। সরকারী নীতি এবং শিহ্মক শিহ্মিকাদের উদ্যোগে ও উৎসাহে শিক্ষাব্যবস্থায় হয়তো সাময়িক ভাবে কিছুটা ক্ষতিপূরণের ঘাটতি পূরণ করা গিয়েছে। করুনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরবর্তীকালে শিক্ষালয় গুলি খোলা হয়েছে এ ক্ষেত্রে দেখা যায় বহু দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা আর্থিকভাবে এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষার প্রতি অনীহা বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়েছে। সেই সমস্ত শিক্ষার্থীদের পুনরায় বিদ্যালয় ও শিক্ষার আওতায় আনা একটি বড় চ্যালেঞ্জিং বিষয়। করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষক শিক্ষিকা সমাজ ও শিক্ষার প্রতি যে প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছিল তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।